উমার কবি, উমার সব্যসাচী

উমার কবি, উমার সব্যসাচী

Uma kazi

অসুস্থ নজরুলকে বিলেত থেকে কোলকাতায় ফিরিয়ে আনার পর কাগজে নার্স চেয়ে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। বন্ধুর আগ্রহেই কবির সেবায় নিযুক্ত হন উমা মুখার্জি। পরবর্তী সময়ে কবির পুত্রবধূ। মুখার্জি থেকে কাজী। একসময় নিজের পরিবার আর কাছের মানুষদের ছেড়ে কবির সঙ্গে ঢাকায় চলে আসা। সেই থেকে এ শহরের জনারণ্যে মিশে যাওয়া। কবি গত হলেও স্মৃতি আগলানো তিনি আজ বর্র্ষীয়সী। নিভৃতচারী। প্রচারবিমুখ। খোঁজ যে বড্ড একটা কেউ রাখেন, তাও বলা যাবে না। এ নিয়ে তাঁর মনঃকষ্ট আছে। সম্প্রতি উমার উষ্ণ সান্নিধ্যে শেখ সাইফুর রহমান কাটিয়েছেন অনেকটা সময়। একরাশ অভিমান আর উষ্মা ঝেড়ে এক সময় সহজ হয়েছেন উমা। উল্টেছেন জীবনখাতার একের পর এক পাতা….

৯৪২ সালে অসুস্থ হয়েছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তারই রেশ ধরে বাকশক্তিও হারিয়ে ফেলেন। দিনটি ২২ জুলাই। কিন্তু তাঁর বোধ ছিল প্রখর। কোলকাতায় কবির অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বেশ পরে তাঁকে বিলেতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা সঠিকভাবে হয়নি, সেটা সেখানকার ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন। একটা বড় ঝুঁকিও ছিল। মস্তিষ্কের বিশেষ এক জায়গায় অস্ত্রোপাচারের দরকার ছিল, তবে তাতে জীবন বিপন্ন হওয়ার শঙ্কায় সেখানকার ডাক্তাররা তা করেননি। ১৯৫২ সালে কোলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয় কবিকে। পিজি হাসপাতালের দুজন ডাক্তার তাঁকে দেখতেন। তবে সার্বক্ষণিক দেখভালের জন্য স্থায়ী একজনের প্রয়োজন পড়ে। যেহেতু কবিপতœী প্রমীলাও তখন অসুস্থ। শয্যাশায়ী। তাঁকে আবার দেখতেন ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়। ওই সময়ে কবির জন্য নার্স চেয়ে কাগজে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। খবরটা উমা মুখার্জিকে দেন বন্ধু হাসি দত্ত। বিহারের এক সম্ভ্রান্ত বাঙালি পরিবারের মেয়ে উমা তখন কোলকাতার ডাবলিন হাসপাতালের নার্স। শিশু এবং শল্য বিভাগে দায়িত্ব পালনে অভিজ্ঞ। বন্ধুর কথামতো কবির বাসায় আসেন। তবে কবি সম্পর্কে তাঁর কোনো ধারণা আগে ছিল না। প্রমীলা তাঁকে বলেছিলেন, ‘ও তো শিশুর মতো। পারবে তো ওকে সামলাতে?’

আর এভাবেই শুরু হয়েছিল তাঁর কবিসেবা। অব্যাহত ছিল কবির মৃত্যু পর্যন্ত। একসময় কোলকাতা ছেড়ে ঢাকায় চলে এসেছেন কবির সঙ্গে। নিজের সংসার ছেড়ে। কারণ, কাজী সব্যসাচী তখনো আকাশবাণীতে। তিনি আসেননি। রেখে এসেছেন নিজের সংসার। আর এখন আগলাচ্ছেন কবির স্মৃতি। কবে থেকে তিনি কবির পরিচর্যা শুরু করেছিলেন, সে দিনক্ষণ আজ আর মনে নেই। তবে প্রথম দিকে সকাল আটটায় আসতেন আর রাত আটটায় ফিরে যেতেন। জানালেন আমাদেরকে।

নজরুলের চাচাতো ভাই সাহেবজানের ছেলে আবদুস সালামও সে সময়ে থাকতেন তাঁর বাসায়। তাঁকে দেখাশোনার জন্য। কবিকে দিনে দু’বার অক্সিজেন দিতে হতো। তিনি থাকতেন তখন উত্তর কোলকাতার মানিকতলায় নগেন ঘোষের বাড়িতে। দোতলায়। এ বাড়িতেই খিলখিলের জন্ম। নগেন ঘোষের পরিচিতি ছিল কুস্তিগির হিসেবে।

বাড়িতে আর ছিল দুই কাজের লোক কাটিয়া (কাট্টু সিং) আর উষা (উষা সাউ, উড়িয়া)। উষাকে ছোটবেলায় নিয়ে এসেছিলেন কবি। দুজনেই এসেছিলেন ঢাকায়। মায়ের পাশে বসে যোগ করলেন খিলখিল। কবিভবনে মায়ের সঙ্গে থাকেন তিনি আর তাঁর ছোট ভাই বাবুল কাজী। খিলখিলের বোন মিষ্টি থাকেন কোলকাতায়। আলাপের ফাঁকে ফাঁকে আসছিলেন ছোট ভাইয়ের ছেলেমেয়েরা।

যা হোক, উমা বলছিলেন কবিসেবা নিয়ে। সকাল ১০-১১টার দিকে উঠিয়ে কবিকে বারান্দায় মাদুরে বসিয়ে দেয়া হতো। তাঁর খাবার ছিল খুবই পরিমিত আর নির্দিষ্ট। নাশতায় থাকতো দুধ-রুটি, দুধ-চিড়া, দুধ-পাউরুটি বা পায়েস। সঙ্গে ছানার সন্দেশ।

দুপুরে গোসল করিয়ে দিতে হতো চন্দন সাবানে। তারপর পরানো হতো ধুতি আর হাফ শার্ট। কবির জ্ঞান ছিল টনটনে। কখনো গেঞ্জি উল্টো করে পরিয়ে দিলে নিজেই ঠিক করে নিতেন। দুপুরে খেতেন ভাত আর মাছ-ঝোল বা মুরগির স্টু। ঝাল ছাড়া। সঙ্গে দই।

কবির হারমোনিয়াম, তবলা আর লেখার কাগজ গুছিয়ে রাখতে হতো। দাড়ি কেটে দিতে হতো। মাঝে মাঝে পা টিপে দেয়া, অলিভ অয়েল মাখিয়ে দেয়া, মাথা আঁচড়ে দেয়া তো ছিলই। কবি মাঝে মাঝে হাসতেন। আবার কখনো কাঁদতেনও।

‘আস্তে আস্তে আমি কবির খুব কাছের মানুষ হয়ে উঠি। আমার ওপর নির্ভর করতে শুরু করেন। ফলে একবার আমি রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গেলে কবি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন’, বললেন উমা।

তখন কবির বাড়িতে এসেছেন অনেকেই। ইন্দিরা গান্ধীর উপদেষ্টা, জুলফিকার আলী ভুট্টো, ধীরেন্দ্র চন্দ্র মিত্র, শৈলজারঞ্জন মজুমদার, ধীরেন বসু, আঙ্গুরবালা দেবী, ইন্দুবালা দেবী, খান মহম্মদ মইনুদ্দীন, জুলফিকার হায়দার, কবি জসীমউদ্দীন।

নাতি-নাতনীদের সাতে উমা কাজী

নাতি-নাতনীদের সাতে উমা কাজী

সব্যসাচীকে উমা প্রথম দেখেন কবির সেবা শুরু করার কয়েক দিন পর। লুঙি পরা অবস্থায় ছিলেন তিনি। পরে মাঝেমধ্যে কথা হয়েছে। সেসবই নিছক বাবার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর। কিন্তু কবে, কীভাবে জড়িয়ে পড়লেন, তা আজ আর মনে পড়ে না। তবে প্রস্তাবটা এসেছিল সব্যসাচীর পক্ষ থেকেই। তার আগে কথাটা সব্যসাচী তাঁদের পালিত বোন মালবিকাকেই বলেছিলেন। মালবিকার ভালো নাম ছিল শান্তিলতা দেবী। নজরুল তাঁকে মানুষ করেছিলেন। এখানে সব্যসাচী একটা বিষয়কেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন, বাবার দেখভাল। কারণ, বাইরের আরেকজন এসে কী করবেন, কতোটা করবেন তা নিয়ে শঙ্কা ছিল তাঁর। সব্যসাচীকে উমারও যে ভালো লাগেনি, তা নয়। বিয়ের আগে একবার তাঁরা সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। উমাকে তখন শাড়ি পরায় সাহায্য করেছিলেন দেবর সালাম। ট্যাক্সি করে মেট্রো সিনেমায় গিয়েছিলেন। দু’জনে ইংরেজি ছবি দেখেন। সব্যসাচী ওদের কোয়ালিটি আইসক্রিম খাইয়েছিলেন। রিকশা করেও দুজন দু-একবার ঘুরেছেন।

বিয়ের কথা শুরু হলে উমা তাঁর পুলিশ ইন্সপেক্টর জামাইবাবুকে জানান (দুলাভাই)। তবে সব্যসাচী বিষয়টি কবিকে জানিয়েছিলেন। বাবার সঙ্গে কথা বলেই তিনি চলে যান উমাদের বাড়িতে। তাদের পরিবার পরে ধানবাদ থেকে বর্ধমানের কাটোয়ায় চলে এসেছে। তবে হিন্দু-মুসলমান বিয়ে বলে উমাদের পরিবার তা মেনে নিতে পারেনি, বরং উমার সঙ্গে পরিবারের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এই ত্যাগ তিনি মেনে নিয়েছিলেন কবির সঙ্গে থাকার জন্যই।

উমা বললেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছাতা আর চশমা দেখলে রেগে যেতেন। কিন্তু এর কী কারণ, তা তাঁরা উদ্ধার করতে পারেননি। জেলে থাকার সময় ব্রিটিশ পুলিশ তার ওপর অত্যাচার কম করেনি। সেই সময়ে তাঁর আলজিভ নষ্ট হয়ে যায়। একবার অসাবধানে কী একটা মুখে পুরে দেন। পরে সব্যসাচী এসে তা বের করেন।

গাড়ি চড়তে ভালোবাসতেন কবি। নিজের একটা ক্রাইসলার ছিল। নিদারুণ অর্থকষ্টের মুখে একসময় গাড়িটা বিক্রি করে দিতে হয়েছিল। ওই সময় কবির দিন পার হয়েছে চরম দুরবস্থার মধ্য দিয়ে, যোগ করলেন খিলখিল। তিনি বলেন, কবির গানের, বইয়ের রয়্যালটিও তিনি তখন পাচ্ছিলেন না। ছেলেরা বড় হলেও কাজ ছিল না।

তাঁর পরিবার পরে চলে আসে পার্ক সার্কাসে। সিআইটি রোডের ক্রিস্টোফার বিল্ডিংয়ে। ঢাকায় আসার আগ পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন।

খিলখিল জানান, ঢাকায় আসার পর একটা ভক্সহাগেন দেয়া হয়েছিল। তাতে করে মাঝে মাঝেই ঘোরাতে হতো কবিকে। বাড়ির সামনে চলে এলেও গাড়ি থেকে নামতে চাইতেন না।

আবার কথায় ফেরেন উমা, এবার স্বামী সব্যসাচীকে নিয়ে। একসময় অ্যাকর্ডিয়ান বাজাতেন তিনি। আর অনিরুদ্ধ লিখতেন। পরে বদলে যায় উভয়ের পেশা। অনিরুদ্ধ পরিচিতি পান গিটারবাদক হিসেবে। অন্যদিকে সব্যসাচী হয়ে ওঠেন অবিসংবাদিত আবৃত্তিকার। উমার অনুরোধেই বিদ্রোহী কবিতাটা সব্যসাচী প্রথম আবৃত্তি করেন ১৯৬৬ সালে। প্রথমবারেই হিট। সেই জনপ্রিয়তায় আজও ভাটা পড়েনি।

সব্যসাচী প্যান্ট আর শার্ট পরতেন। ফুল শার্ট। খাকি প্যান্টই তাঁর প্রিয় ছিল। সাদা শার্ট কম পরতেন। পারফিউম প্রিয় ছিল। পাউডার মাখতেন। কোনো কিছু খেয়ে মায়ের আঁচলে মুখ মোছা ছিল তাঁর অভ্যেস। আত্মসম্মানবোধ ছিল প্রগাঢ়। নজরুলের রয়্যালটি-সংক্রান্ত বিষয়ে একবার সব্যসাচীকে বলা হয়, তিনি যে নজরুলের ছেলে, তার প্রমাণ দিতে হবে। এতে তিনি ভীষণ ক্ষেপে যান।

বৃষ্টি পড়লে খিচুড়ি তাঁর চাই-ই। পছন্দ করতেন বিকেলে চিড়া ভাজা। কখনো বাদাম আর কিশমিশ। চুইংগাম চিবানোর অভ্যেসও ছিল।

পরিবারের সাথে উমা কাজী

পরিবারের সাথে উমা কাজী

‘আমার রান্না তাঁর প্রিয় ছিল। কিন্তু বাবার সঙ্গে আমি এখানে চলে এলে অন্যের রান্না তাঁকে খেতে হয়েছে। এ নিয়ে আমার মনঃকষ্ট যে ছিল না, তা নয়। ভীষণ বড় মনের ছিলেন। বাবার ছেলে তো! বাড়িতে কেউ এলে না খেয়ে তার যাবার জো ছিল না। এটা ছিল যাকে বলে তাঁর নির্দেশ।’ ১৯৭৯ সালে মারা যান সব্যসাচী। হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তখনো তিনি ছিলেন কোলকাতায়। আর উমা এখানে। এসব স্মৃতিচারণায় বুঝিবা চোখের কোণ চিকচিক করে ওঠে। অনেক কথাই আজ মনে হয় তাঁর। টুকরো টুকরো স্মৃতি। ছবির মতো। সব্যসাচীকে ভারত সরকার পদ্মভূষণ দেয়নি। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও। এই দুঃখ, অপ্রাপ্তি তাঁকেও পীড়া দেয়।

প্রিয় কোনো নামে তাঁকে ডাকতেন কি না জানতে চাইলে লজ্জারুণ হন উমা। অন্যদিকে একটা ভালো লাগাও হয়তো তাঁকে আবিষ্ট করে। তাই বলে দেন সব্যসাচীর দেয়া ডাকনাম। বুলবুলি।

অনেক কথাই তিনি বলেছেন কবিকে নিয়ে। সব্যসাচীকে নিয়ে। কথায় কথায় বেলা গড়িয়েছে। তিনি উঠে ভেতরের ঘরে গেছেন। খিলখিল তখন যোগ করেছেন কিছু তথ্য। তাতে আশার কথা যেমন আছে, আছে পরিতাপও।

বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুল। কিন্তু আজও ক্যালেন্ডারে তাঁর জন্ম আর মৃত্যুদিনের উল্লেখ নেই। এমনকি জাতীয় ছুটির তালিকায় নেই কোনো একটা দিন। স্কুলে স্কুলে তাঁর জন্মদিন উদ্যাপিত হয় না।

তবে কিছুটা আশা ছড়িয়ে খিলখিল বললেন, কাজ বাংলাদেশেই তুলনামূলকভাবে বেশি হচ্ছে। মৌলিক নজরুলকে বাঁচিয়ে রাখার। কোলকাতায় সেটা হচ্ছে না। যদিও পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নজরুলের স্মৃতি সংরক্ষণের ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, নজরুলকে নিয়ে আরও প্রচার দরকার। অনুবাদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে ইংরেজি মিডিয়ামের ছেলেমেয়েদের কাছে নজরুলকে পৌঁছে দিতে হবে। অন্যদিকে দাদুকে নিয়ে বৃহত্তর পরিসরে কাজের প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন খিলখিল। জানালেন, স্কটল্যান্ডের রবার্ট বার্নস সেন্টারে নজরুলের নামে চেয়ার হয়েছে। আমেরিকাতেও কাজ হচ্ছে তাঁকে নিয়ে। অন্যদিকে দাদুকে নিয়ে অনেক কিছু করার ইচ্ছা তাঁর। রয়েছে পরিকল্পনা। কিন্তু হচ্ছে না পৃষ্ঠপোষণার অভাবে। বললেন, দু’বাংলার খাঁটি শিল্পীদের নিয়ে নজরুলসঙ্গীতের অনুষ্ঠান বিনিময় জরুরি।

নজরুল সত্যিকারের সম্প্রদায়-নিরপেক্ষ ব্যক্তিত্ব। অন্নদাশঙ্কর লিখেছেন: ‘ভাগ হয়ে গেছে বিলকুল/ ভাগ হয়নিকো নজরুল’।

বর্তমানের যে প্রেক্ষাপট, যে অস্থির সময়, ধর্মের নামে যেভাবে অপপ্রচার চলছে, তাতে সত্যিই প্রয়োজন একজন নজরুলের। মানে, নজরুলের সৃষ্টিগুলো জাতির সামনে নতুন করে তুলে ধরা দরকার, তাঁর মতো নির্ভীক কণ্ঠের প্রয়োজন। কারণ তিনি মানুষকে, মানবতাকেই এগিয়ে রেখেছেন।

এভাবেই কথায় কথায় সময় গড়িয়েছে। উঠে আসার সময় খিলখিল ভালো একটা নাড়া দিয়েছেন। তাঁর প্রশ্নসঙ্কুল একটা কথায় আলোড়িত হলাম আমরা। সংশয়ে দুলে উঠেছে মন। তিনি বললেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে দাদুর যথেষ্ট ভালো সম্পর্ক ছিল। বহুবার তিনি শান্তিনিকেতনে গেছেন। জেলে থাকার সময় নজরুলকে চিঠি লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ। নিজের বই উৎসর্গ করেছেন। অথচ দুজনের কোনো ছবি আমরা কোথাও পাই না। কেন? তোলা হয়নি কখনো? নাকি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে?’

এভাবে তো সত্যিই ভেবে দেখা হয়নি। উঠে আসি আমরা। আর ভাবতে থাকি, খিলখিলের এই জিজ্ঞাসার জবাব আদৌ কারও জানা আছে কি? না-কি সংশয়বিদ্ধ দীর্ঘ এক নীরবতা ছাড়া এর কোনো উত্তর মিলবে না!

ছবি: হাদী উদ্দীন রাসেল

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.