
ভারতীয় দলে নক্ষত্রের পতন এবং দলীয় অধিনায়ক মহেন্দার সিং ধোনীর ভূমিকা নিয়ে বেশ প্রশ্নবাণ উথ্থিত হচ্ছে। অনেকের মতে, ধোনীই তুলোধূনো করে একের পর এক দলের বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন স্বনামধন্য ক্রিকেটারদের।
এদিকে ইংল্যান্ডের কাছে টেস্ট সিরিজ হারলেও সিংহাসনচ্যুত হননি এমএস ধোনি। তিনি কবে নেতৃত্ব হারাবেন তা কেউ জানে না। তবে ভারতীয় মিডিয়ার একটি অংশ মনে করে, ধোনি যতদিন অধিনায়ক থাকবেন, ভারতীয় ক্রিকেটে একের পর এক মহীরুহের পতন ঘটবে।
বলা হয়, গত বছর রাহুল দ্রাবিড়কে অবসর নিতে বাধ্য করেন ধোনি। আর ভিভিএস লক্ষণকে বলা হয়েছিল, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোম টেস্ট সিরিজ খেলেই তাকে অবসর নিতে হবে। শর্তসাপেক্ষে অবসর নিতে রাজি হননি লক্ষণ। তাই রাগে-দুঃখে-ক্ষোভে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
ধোনি ভারতীয় দলে ‘উইকেট পতনের’ খেলা শুরু করেন পাঁচ বছর আগে। নাগপুর টেস্টে সৌরভ গাঙ্গুলীকে কাঁধে তুলে টেস্টের আঙ্গিনা থেকে চিরবিদায় দিয়ে। ভারতীয় মিডিয়ায় জোর গুজব, ধোনির পরবর্তী টার্গেট বীরেন্দর সেহওয়াগ।
এটা সবাই জানেন যে, ধোনির সঙ্গে সেহওয়াগের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নেই। ভারতীয় অধিনায়ক ঠাত্তরেঠুরে সেহওয়াগের শ¬থ ফিল্ডিংয়ের প্রকাশ্যে সমালোচনা করতে ছাড়েননি।
ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাসনের আশীর্বাদপুষ্ট ধোনির যদি নেতৃত্ব না হারান, তাহলে এবার সেহওয়াগ তার শিকারে পরিণত হতেও পারেন। আসলে একের পর নক্ষত্রকে বিদায় করে দিয়ে ধোনী কি চাইছেন? স্বীয় দলে অমরত্ব?