সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের কবিতা
নাক-কান-গলা বিভাগের কবিতা
…আমরা তার চেয়ে একটু বেশি।
আরেকটু নেশা হলে- …কাঁঠালের আটা, সুপার গ্লো।
খন্ডিত নয়; ছিঁড়ে যাবো।
আমাদের কানের আর কন্ঠস্বরের সমস্যা থাকবে না,
নাক-কান-গলা বিভাগের চেয়ে একটু বেশি।
আরেকটু বেশি হলে,
আরেকটু নেশা হলে কন্ঠশীলন থেকে কোকিলা হবো।
তখন কেউ থাকবে না, তখন কর্ণফুলির স্রোত বলবে:
‘আমি কান পেতে রই, ও আমার আপন হৃদয় গহন-দ্বারে বারে বারে’।
জুলাই ২১, ২০১৩
……………………………………………………………………………………………………………………………………….
তমিজ উদদীন লোদীর কবিতা
ফকির ইলিয়াস এর তিনটি কবিতা
ভা দ্রে র বা য়ু কি স্তি
চারপাশে কয়েকটি জবাফুলের পাপড়ি। ছেঁড়া সুতোয়
জড়ানো স্মৃতি। গোপন চন্দ্রের জ্যোতি নিয়ে টুকরো
চাঁদ। সবটুকুই রেখে দিয়েছি , তুলে -সাজাবো বলে
নবম আস্তানা । খরাঝড়ে মিলিত ঋতুর মোহনায়।
তারপর ঋতুবতী নদীর কাছে জানতে চাইবো
তার ভেসে যাবার সর্বশেষ রহস্য । কিভাবে
আঁকতে হয় লাভার লাস্যময়ী হাসি , জেনে
নেবো পাহাড়ের কাছ থেকে। ভাঙনের সূত্র শিখে।
একদিন তোমার জন্য আগামী ভাদ্রের আগে
আমি লিখবো আরেকটি কবিতা। কিছু ঋণ শোধ
করে, আবারো নেবো কয়েক কিস্তি ঋণ। থাক না
দেনা। যা আজীবনই থাকে মানুষের করতলের দাস।
জ ল ও জ ন ব স তি
পরিবেশবাদী পাখিরা জানে বিবিধ ভাঙনের সংজ্ঞা।
নির্ধারকরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে কিভাবে নির্ধারণ
করে বনেদি কৃষিনীতি, তা দেখেও বুঝতে পারে না
কালের কৃষক। হায় ভূমি ! হায় জমিনের বিবর্ণ প্রচ্ছদ !
আমি তোমার লালিত মুখ এঁকে যাচ্ছি আমার যে সুনীল
কবিতাটিতে- সেটাই আপাততঃ আমার শেষ ইশতেহার।
ফেরার পর প্রান্তিক চাষীরা যেমন ঋতুসংলগ্ন ভোর বহন
করে মাঠে যায়, আমিও তেমনি লিখে রাখছি জলের প্রিয়
সীমান্ত।এখানে কোনোদিনই বিপুল জনবসতি গড়ে উঠবে
না জেনেও ; সকল জোতদারদের হাত থেকে মুক্ত ঘোষনা
করছি এই মৌসুমি অঞ্চল। প্রবল ইচ্ছা নিয়ে গ্রহণ করছি
প্রকৃতির নিয়ন্ত্রন। সম্পদের হিস্যা চাই, এবং নথিদদ্ধ জল
সীমানারও, আজ সে দাবির ধানতন্ত্র আমি পুনর্ব্যক্ত করছি।
রো দে র র শ্মি তে ভে জা
কিছুটা বিশিষ্ট হবার আগে এ মাটির অস্তিত্ব ছিল
জলের আকর। আঁকাআঁকি নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম বলে
আমাদের ও দেখা হয়ে ওঠেনি, বৈঠার টান আর
নদীদের বিবিধ সূত্রমুখ। পাশ কাটিয়ে যেতে যেতে
কেবল গোণে রাখতাম দূরের বনমুদ্রা এবং সুদূরের
প্রান্তিক পরাণ । কেউ সাথে যাবে না জেনেও আমরাই
বাড়িয়ে নিতাম পথের পরিধি , প্রেমের নৃত্যপরিধান।
কিছুটা নিমগ্ন হবার আগে জোসনার গতি ছিল সমান্তরাল
ফসলের ঢেউ। বাঁকা আ’লের বুকে বেড়ে উঠা সবুজ ঘাসে
কার্তিকের কলি – আবার ফুটবে বলে ছড়াতো যে প্রহর,
সেখানেই অতন্দ্র অক্ষর পোষে লিখতাম রোজনামচা …..
রোদের রশ্মিতে ভেজা পৃথিবীর জোড়াসাঁকো গ্রামে ।