ডেস্ক রিপোর্ট: কা নাডায় সাম্প্রতিক সময়ে খুনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
গত বছর পুলিশের নথিভুক্ত অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘটনের হার আগের বছরের তুলনায় ৩ শতাংশ কমেছে। ১৯৭২ সালের পর থেকে এই প্রথম দেশটির অপরাধ কর্মকাণ্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা।
কানাডিয়ান সেন্টার অফ জাস্টিস স্ট্যাটিসটিকসের প্রস্তুত করা প্রতিবেদনটি গত বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে।
খুন-খারাবির মত অপরাধসহ গত বছর প্রায় ২ মিলিয়ন অপরাধের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৬,০০০ কম। গত অনেক বছর ধরেই জাতীয়ভাবে এসব কর্মকাণ্ড কমে আসছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০০৬ সালে হারপার সরকারের ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্রাইম বিষয়ক ৩০ টি বিল পাশ হয়েছে যা এই নিম্নসুচক হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ, সিঁদ কেটে চুরি এবং গাড়ি চুরির মতো ঘটনা দিন দিন কমে যাওয়ায় অপরাধ কর্মকাণ্ডের হার কমে যাচ্ছে। তুলনামূলকভাবে খুনের ঘটনাও কমেছে বলে জরিপে দেখা যাচ্ছে। অবশ্য, ১৯৯১ সালে কানাডায় খুনের ঘটনা সাময়িক বৃদ্ধি পেলেও বর্তমানে সে তুলনায় কমেছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে খুনের হার প্রতি ১০০,০০০০জনে ১.৫৬ এ নেমে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাসকাচুয়ান রাজ্যে গত বছর সর্বাধিক অপরাধ প্রবণতা পরিলক্ষিত করা গেছে।
কানাডার সবচেয়ে বড় শহর, টরোন্টতে অপরাধ কর্মকাণ্ডের ভয়াবহতা নির্ধারণকারী সূচকের হিসাবে গত বছরের তুলনায় তা কমেছে ৭ শতাংশ, যা আগের ছয় বছরের তুলনায় কম। তাছাড়া কিউবেক সিটি ২য় নিম্নগামী অপরাধ সংগঠনের শহর বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পুলিশের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ কলম্বিয়া রাজ্যের কেলয়না শহরটিকে সবচেয়ে বেশি অপরাধমূলক শহর বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। রেজাইনা শহরটি ২০১১ সালে সবচেয়ে বেশি অপরাধমূলক শহর হলেও ২০১২ সালে তা ২য় বৃহত্তর অপরাধমূলক শহর বলে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে ২০১২ সালে অপরাধ ১০ শতাংশ কমে এসেছে।
নারী অপহরণকারীর সংখ্যা, পতিতা বৃত্তি এবং চুরির ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।
সম্প্রতি এফবিআই থেকে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধের পরিমান আগের বছরের তুলনায় ১.২ শতাংশ বেড়েছে।