কোন্ পথে দেশের ফুটবল?

কোন্ পথে দেশের ফুটবল?

Bangladesh_Football_Federation[1]

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩। দিনটি বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ প্রথমবারের মতো ব্যর্থতার প্রতিবেদন সবার সামনে প্রকাশ করা হল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কর্তৃক গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদনে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যর্থতার জন্য বাংলাদেশ দলের ডাচ্ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফের উদাসীনতা, বিদেশী ফিটনেস কোচ ইয়ামালি মোহাম্মেদকে অব্যাহতি এবং চার জন ফুটবলারের দায়িত্বহীন আচরণকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি।

বাদল রায়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের হাতে প্রতিবেদনটি তুলে দেয়া হয়।

প্রতিবেদনে নেপালের কাঠমন্ডুতে অনুষ্ঠিত সাফ ফুটবলে মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম মামুন ও সোহেল রানা, ফরোয়ার্ড জাহিদ হোসেন এবং স্ট্রাইকার সাখাওয়াত হোসেন রনির ভূমিকা ‘রহস্যজনক’ ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাহিদকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্চকিত ছিলেন বাদল রায়। তদন্ত কমিটির সভাপতি বলেন, জাহিদ প্রশিক্ষণে অনিয়মিত ছিল। কর্তব্যে অবহেলার পাশাপাশি মাঠের খেলাতেও উদাসীন ছিল। এ ধরনের খেলোয়াড় জাতীয় দলের জন্য ক্ষতিকারক!

মাথা থাকলে সেটা ব্যথা করবেই। তেমনি সমস্যা থাকলে সেটারও সমাধান আছে। বাংলাদেশের ফুটবল এখন পার করছে ক্রান্তিকাল। ফুটবলের এই দুঃসময়ে শক্ত হাতে হাল ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন। বড় স্বপ্ন দেখা এবং সেটার বাস্তবায়ন করতে ভালবাসেন তিনি। সারাবছর মাঠে ফুটবল রাখা, খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি, মেসিদের ঢাকায় আনা, জেলা ফুটবল লীগের সম্প্রসারণ, সিলেট বিকেএসপি নির্মাণসহ অনেক কিছুই বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তিনি। তাঁর আরেকটি স্বপ্ন আছে, যা অনেক বড়। সেটা যদিও সুদূরপ্রসারী। আর তা হলো, ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে খেলবে বাংলাদেশ। যার নাম তিনি দিয়েছেন ‘ভিশন ২০২২।’ এর জন্য এখন থেকেই বয়সভিত্তিক দলগুলো নিয়ে বাফুফের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। তবে বর্তমানের জাতীয় দলকে নিয়েও তাঁর একটি স্বপ্ন ছিল। সেটি নেপালের কাঠম-ুতে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলা। কিন্তু এ স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ভেঙ্গে খান্ খান্ হয়ে গেছে। ফাইনালে ওঠা তো দূরের কথা, গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে দলকে! এজন্য গোটা দেশবাসী স্তম্ভিত ও হতাশ। কেন হলো এমন স্বপ্নের সলিলসমাধি?

ফুটবল কি কাঙ্খিত স্বপ্নের সন্ধান আদৌ দিতে পারবে?

ফুটবল কি কাঙ্খিত স্বপ্নের সন্ধান আদৌ দিতে পারবে?

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ দুটি শব্দের সাথে কম-বেশি পরিচিত। সেটা হচ্ছে ‘তদন্ত কমিটি।’ জাতীয় বা বেসরকারী পর্যায়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বা অনিয়ম হলেই যে জিনিষটা খুব দ্রুততার সঙ্গে গঠন করা হয়, সেটা হচ্ছে তদন্ত কমিটি। তারপর? তারপরের ঘটনা সবারই জানা। তদন্ত কমিটি সাধারণত হয় ‘তিন’ সদস্যবিশিষ্ট। তারা কি করেন কে জানে, তবে মিডিয়ার কাছে ঠিকই কমিটমেন্ট করেন, আমরা অমুক তারিখে বা খুব শিগগীরই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। এরপর দিন, সপ্তাহ, মাস, বছর চলে যায়। কিন্তু তদন্ত কমিটির রিপোট আর আলোর মুখ দেখে না। তখন আবার আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় আগের তদন্ত কমিটি কেন রিপোর্ট প্রকাশ করতে ব্যর্থ হলো, সেটা খুঁজে বের করতে! বাংলাদেশের প্রেক্ষপটে তদন্ত কমিটি অনেকদিন ধরেই অবিশ্বাস আর হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এমন বিষয়বস্তুতে পরিণত হতে নারাজ ছিল। বাফুফের তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি (এর নতুন নাম বাফুফে দেয় ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’) সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলের ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করতে আদাজল খেয়ে কার্যক্রম শুরু করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে। কমিটির প্রধান বাদল রায় ঘোষণা দেন, ‘সাত কর্মদিবসের মধ্যে আমরা রিপোর্ট প্রকাশ করব এবং সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য করণীয় পদক্ষেপ নিয়ে কাজ শুরু করব।’ এ প্রেক্ষাপটে কমিটির মুখোমুখি হন জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ, ফুটবলার, স্থানীয় কোচ, ফুটবল সংগঠক, বাফুফে স্টাফ এমনকি সাংবাদিকরা। সবমিলিয়ে মোট ৩০ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করে কমিটি।

সাতদিনের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করার পর বাফুফে সভাপতির কাছে রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির। কিন্তু তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য তাবিথ আউয়াল দেশের বাইরে থাকায় রিপোর্ট সময়মতো জমা দেয়া হয়নি। তাবিথকে তদন্ত কমিটির সদস্য করা নিয়ে বিতর্ক ছিল প্রথম থেকেই। কারণ তিনি ন্যাশনাল টিম ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য। এ কমিটির কার্যক্রম কতটা নিরপেক্ষ বজায় রাখতে পারবে, এমন প্রশ্ন ছিল অনেকেরই। সাফে ব্যর্থতার যে কারণগুলো সনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে, তার মধ্যে একটি হলো ন্যাশনাল টিম ম্যানেজমেন্ট কমিটির অপরিণামদর্শিতা, অনভিজ্ঞতা ও দায়িত্ব পালনে অবহেলা। আর তাবিথ ছিলেন এই কমিটিতে! তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালোÑ নিজের ব্যর্থতা খুঁজতে নিজেই তদন্ত করা! এ যেন সরিষার মধ্যেই ভূত! এছাড়া বাফুফে সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিনও অসুস্থ। গুজব রটে, আদৌ কি তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখবে? দেখলেও তদন্ত রিপোর্টে কি থাকবে? এটা কি অতীতের মতো আরেকটি গতানুগতিক রিপোর্ট হবে, যাতে প্রসব হবে অশ্বডিম্ব? নেয়া হবে কি কার্যকর কোন পদক্ষেপ, যাতে সত্যিকার অর্থেই উন্নতির ছোঁয়া লাগবে দেশের ফুটবলে?

অবশেষে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করা হয় বহুল আলোচিত তদন্ত কমিটির সেই রিপোর্ট। রিপোর্ট পেশ করার আগে কমিটির প্রধান বাদল রায় বলেন, ‘আমরা গর্বিত বাফুফে এ প্রথম কোন তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেছে। আশা করি রিপোর্টে যা এসেছে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য যেসব সুপারশ করা হয়েছে, তার প্রেক্ষাপটে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে এবং বাংলাদেশের ফুটবল উন্নতি করবে।’ কমিটি যেসব কারণগুলো খুঁজে পেয়েছে সেগুলো হলোÑ জাতীয় ফুটবল দল গঠনের সময় ভাল প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের বাছাই প্রক্রিয়া ছিল অস্বচ্ছ, দলগঠনের সময় আশ্রয় নেয়া হয়েছে স্বজনপ্রীতির। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে বিদেশী খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেশী হওয়ায় জাতীয় দলের প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় না, তারা যখন জাতীয় দলে খেলতে যায়, তখন নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেন না। ঘরোয়া লীগ দুর্বল, আকর্ষণীয় নয়। খেলোয়াড় বাছাইয়ে জাতীয় ফুটবল দলের স্বার্থের পরিবর্তে ক্লাবপ্রীতির কিছুটা প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। জাতীয় ফুটবল দল গঠনের আগে বিদেশী কোচ নিয়োগের বিষয়টিও সুদুরপ্রসারী হয়নি। বিদেশী কোচদেরকে জাতীয় ফুটবল দলের প্রশিক্ষণের জন্য বুঝিয়ে দেয়ার আগে খেলোয়াড়, পরিবেশ ও বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক সীমাবদ্ধতার বিষয়টি তাদেরকে সঠিকভাবে বোঝানো হয়নি। ন্যাশনাল টিম ম্যানেজমেন্ট কমিটি কর্তৃক দলের ম্যানেজমেন্ট নিয়োগের বিষয়টি জাতীয় ফুটবল দল গঠনের আগে করা হয়নি, ফলে কোচিং স্টাফ ও ম্যানেজমেন্টের সাথে সমন্বয়ের অভাব ছিল। ফুটবলাররা কেউ কেউ নেপালে প্রথম ম্যাচে ক্লান্ত ছিলেন। দলের চার গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের ইনজুরির বিষয়ে টিম ডাক্তারের সাথে আলোচনার পর তার কাছ থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। টিম ডাক্তারের মতামত ছিল অসন্তোষজনক। জাতীয় ফুটবল দলের চূড়ান্ত খেলোয়াড় নির্বাচনে খেলোয়াড়দের ফিটনেসের বিষয়ে টিম ডাক্তারের কাছ থেকে কোন পরামর্শ নেয়া হয়নি। ক্লাব পর্যায়ে প্রশিক্ষণ নেয়ার পর জাতীয় দলে খেলতে এসে বিদেশী কোচের প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে ফিটনেসসহ অন্যান্য বিষয় মানিয়ে নিতে সমস্যায় পড়েছে ফুটবলাররা, যার প্রভাব পড়েছে নেপালে গিয়ে।

এমিলি, ওয়ালী ও মামুনুলরা কি দেখাতে পারবে আলোর মুখ?

এমিলি, ওয়ালী ও মামুনুলরা কি দেখাতে পারবে আলোর মুখ?

সমস্যা তো বের করা গেল। এখন সমাধানের রাস্তা কি? সেটাও বের করেছে তদন্ত কমিটি। জাতীয় ফুটবল দলের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব যদি কোন বিদেশী কোচিং স্টাফকে দেয়া হয়, তাহলে তাদের সাথে সার্বক্ষণিকভাবে দেয়া হবে স্থানীয় দুজন অভিজ্ঞ সংগঠক/সাবেক খেলোয়াড়কে। তাদের নিয়োগ দেবে ন্যাশনাল টিম ম্যানেজমেন্ট কমিটি। ওই দুজনের কাজ হবে নতুন কোন কোচ নিয়োগের আগে বাফুফের টার্গেট, সীমাবদ্ধতা, পরিবেশ এবং সর্বোপরি দেশ সম্পর্কে কোচদেরকে অবহিত করা। যেহেতু জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্যক্তিগত ও দলগত সমন্বয়ের অভাব প্রকট, সেহেতু  কমিটি মনে করে ফিটনেস কোচ ইয়ামলি মোহাম্মেদ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। তাই তাকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হবে। দলের প্রধান কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফকে আরেকটি সুযোগ দেয়া হবে এবং তিনি নেপালে যে ব্যর্থ হলেন, সেজন্য তাকে সর্তক করেছে কমিটি। ক্রুইফের সৌভাগ্য, বাংলাদেশের আগের বিদেশী কোচদের মতো তিনি ব্যর্থ হয়েও বরখাস্ত হননি।

পুরো ফিট থাকার পরও জাহিদ হোসেন বাজে খেলেন, কোচের সঙ্গে বচসায় লিপ্ত হন, ডাকার পরও তদন্ত কমিটির সামনে আসেননি, সর্বোপরি তার আচরণগত সমস্যার জন্য অচিরেই তাকে শাস্তি দেয়া হবে বলে জানায় কমিটি (এর আগেও শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য জাহিদ একাধিকবার শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছেন)।

অধিনায়ক মামুনুলকেও সতর্ক করা হয়েছে। কেননা, ডাক্তারি পরীক্ষাতে পুরো ফিট হলে তিনি নিজেকে চোটগ্রস্ত বলে দাবী করেন। কমিটি মনে করে তিনি না খেলার জন্য এমনটা করেছেন। ফুটবলার সাখাওয়াত হোসেন রনি ও সোহেল রানা ইনজুরি লুকিয়ে খেলার জন্য তাদেরকেও সতর্ক করেছে কমিটি।

গোলরক্ষক মামুন খান নেপালে দায়িত্ব নিয়ে খেলেননি। এর জন্য দায়ী করা হয়েছে গোলরক্ষক কোচ কর্নেলাস কাল্ককে। কাল্ককেও সর্তক করেছে কমিটি।

ভবিষত্যে জাতীয় দলের নির্বাচিত খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণের বিষয়টি ক্লাবের প্রশিক্ষণের সাথে সমন্বয় করে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম তৈরীর ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। বর্তমান প্রশিক্ষণ পদ্ধতি কমিটির কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি।

কমিটি আরও মনে করেছে বর্তমানে জাতীয় ফুটবল দলে খেলোয়াড়দের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে ২০/২৫ জনের একটি পুল তৈরী করে তাদেরকে মাসিক ভাতা প্রদান এবং পুলের সকল খেলোয়াড়কে তাদের ভবিষ্যত নিশ্চয়তার লক্ষ্যে বীমা প্রবর্তন করার সুপারিশ করে।

এছাড়া বাংলাদেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে অর্থাৎ অ-১০ ও অ-১২ বছর খেলোয়াদেরকে প্রথম থেকেই ফুটবল খেলার বিভিন্ন পদ্ধতি/কৌশল শিখিয়ে তাদেরকে দিয়ে ফান/ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে ফুটবল খেলার উপযোগী করে গড়ে তুলতে গুরুত্ব আরোপ করেছে কমিটি। এছাড়া  অ-১৪, অ-১৬ ও অ-১৮ বছর বয়সী খেলোয়াড়দের নিয়ে পর্যায়ক্রমে প্রতি বছর দেশব্যাপী টুর্নামেন্টের আয়োজন করার মাধ্যমে প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই করে একাডেমীর মাধ্যমে তাদের লেখাপড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য অত্র কমিটি সুপারিশ করে।

তদন্ত কমিটির রিপোর্ট তো আলোর মুখ দেখলো। এখন দেখার বিষয়, কমিটির সুপারিশ কতটা বাস্তবায়ন হয় এবং সেই আলোকে দেশের ফুটবল সত্যিই উন্নতির শিখরে পৌঁছুতে পারে কি না। নতুন দিশার সন্ধান পাবে কি বাংলাদেশের ফুটবল?

rumelboss@gmail.com

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.