কোরানের আয়াত না জানলেই হত্যা করা হয়েছিল

কোরানের আয়াত না জানলেই হত্যা করা হয়েছিল

pic4যেসব জিম্মিরা কোরানের আয়াত মুখস্হ বলতে পারেননি, তাদেরকেই হামলাকারীরে জবাই করে হত্যা করেছে বলে জানান ভেতরে আটকে থাকা একজন জিম্মি। হাসনাত করিমের পিতা রেজাউল করিম যিনি ভেতরে আটকা পড়েছিলেন, তিনি এসব তথ্য প্রদান করেন।

এই পরিবার জন্মদিনের অনুষ্ঠান উদযাপন করার জন্য এই বেকারিতে প্রবেশ করেছিলেন। পরে হামলাকারীদের কারনে ভেতরে প্রায় ১০ ঘন্টা আটকা পড়েন।

হামলাকারীরা ব্যকগ্রাউন্ড চেক করার উদ্দেশ্যে একে একে সবাইকে কোরানের আয়াত জিজ্ঞেস করে, যারা পারেনি তাদেরকে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করে বাকিদের আটকে রাখে।

রেহাই পাওয়া জিম্মিদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশী ছিলেন। বাংলাদেশীরা কোরান বলতে পারার কারনে তাদের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করা হয়নি, বরং তাদেরকে রাতের খাবারও দেওয়া হয়েছিল।

একজন মহিলা হিজাব পরা ছিলেন বলে তাকেও রেহাই দেওয়া হয়েছিল।

আর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে মোট ২০ বিদেশি জিম্মিকে ধারাল অস্ত্রে হত্যা করা হয়।  জিম্মিকারীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ৬ জন হামলাকারীকে হত্যা, ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের সবাই বিদেশি বলেও সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে। রেস্টুরেন্টে আটকা পড়া জিম্মিদের উদ্ধারে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। অভিযানে জীবিত জিম্মিদের তখনি উদ্ধার করা হয়েছে।

সামরিক অপারেশন পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী বলেন, নিহতদের বেশিরভাগকেই রাতের বেলা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে।

এর আগে গতরাতে জঙ্গিদের গুলিতে ২ পুলিশ সদস্য নিহত হন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট ‘ নামের ১২ থেকে ১৩ মিনিটের মূল অভিযানে হামলাকারী ৭ জঙ্গির ৬ জন নিহত হয়। তবে, এক সন্দেহভাজনকে আটক করতে পারে যৌথবাহিনী।

উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীরা বিদেশিসহ কমপক্ষে ২০জন নাগরিককে জিম্মি করে রেখেছে। রেস্টুরেন্টের ভেতর থেকেই ৭ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করে। হোটেলের আশপাশ এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছিল।

হোটেলটির আশে পাশের লোকজন জানিয়েছে সন্ত্রাসীরা আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে।

এরআগে গুলশানের ৭৯ নং রোডের হলি আর্টিজেন বেকারিতে সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়।

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.