শেষ পর্যন্ত বহুল আলোচিত ইন্ডিয়ান আইডল জুনিয়ার শিরোপাটি জয় করে নিলো অঞ্জনা। অবশ্য এবারে এ শিরোপাকে ঘিরে তেমন একটা টান টান উত্তেজনা শেষঅবদী লক্ষ্য করা যায়নি। এর অবশ্য কারণও ছিলো, কেননা, ধারাবাহিক চমৎকার পারফরমেন্সের জন্য অঞ্জনার শিরোপা জয়ের ব্যাপারটি যেনো অনেকটা নিশ্চিত হয়েই ছিলো। ২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এবারের আসরের চূড়ান্ত ফলাফলে বিজয়ী অঞ্জনার বয়স বর্তমানে দশ বছর। মজার ব্যাপার হচ্ছে, অনর্গল ইংরেজি বলতে পারলেও ভালো করে হিন্দি বলতে পারতো না অঞ্জনা। ভালো বুঝতো না হিন্দি ভাষা। কিন্তু হিন্দী গানে তার দক্ষতা এক কথায় অসাধারণ!
প্রতিযোগিতার বিচারক সঙ্গীত পরিচালক বিশাল-শেখর ও শিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল শুরু থেকেই অঞ্জনাকে প্রশংসা করেছেন তাঁর গানে মুগ্ধ হয়ে তুলনা করেছেন ভারতের জনপ্রিয় প্রতিনিধি সুনিধি চৌহানের সঙ্গে।
ইন্ডিয়ান আইডল জুনিয়র প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই দারুন আত্মবিশ্বাস ছিল অঞ্জনার মধ্যে। লাগাতার স্টেজ পারফর্মেন্সও করেছে চমৎকার ফলে, এক ধরনের অঘোষিত চ্যাম্পিয়নও ছিল অঞ্জনা। তবে প্রতিযোগিতা চলাকালে তাকে টক্কর দিতে হয়েছে কলকাতার মেয়ে দেবাঞ্জনার সঙ্গে। প্রতিযোগিতায় পেছনে ফেলতে হয়েছে নির্বেশ সুধাংশুভাই দাভে ও আনমোল জয়সওয়াল, সুগন্ধা দাতে, আকাশ শর্মা, সোনাক্ষী কর, প্রিয়ম, সংকল্প ও ইমনকে।
সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশন এশিয়ার এ আয়োজন ১ জুন শুরু হয়। প্রতিযোগিতার শুরুতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৮৬ জন প্রতিযোগি বাছাই করার পর বিজয়ী ১১ জনকে নিয়ে শুরু হয় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল। ফাইনালে অঞ্জনার মাথায় উঠেছে বিজয়ীর মুকুট।
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে ভারতের তারকা অভিনেত্রী-শিল্পীরা এসে জুনিয়রদের প্রেরণা দিয়ে গেছেন, উৎসাহ দিয়ে গেছেন। অমিতাভ বচ্চন, লতা মুঙ্গেশকর, সালমান খানের মতো তারকা এ অনুষ্ঠান নিয়ে উৎসাহী টুইট করেছেন। অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন অনেকেই। ফাইনালে বিজয়ী অঞ্জনার হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছেন বলিউডের অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন।
ট্রফির পাশাপাশি জুনিয়র আইডল হিসেবে অঞ্জনা পেয়েছে ২৫ লাখ রুপি, নিশান মাইক্রো গাড়ির মতো আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
নিজের ভবিষ্যত ইচ্ছে ব্যক্ত করতে গিয়ে ক্ষুদে এই শিল্পী জানিয়েছে, বড় হয়ে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন তার। এ ছাড়াও কণ্ঠশিল্পী হিসেবেও ক্যারিয়ার গড়বে সে। নিজেকে একজন শ্রেয়া ঘোষাল (কণ্ঠশিল্পী ও প্রতিযোগিতার বিচারক) হিসেবে গড়ে তোলার ইচ্ছা তার।