কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করবে গণজাগরণ মঞ্চ।
শনিবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সকালে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানান গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।
রোববার সন্ধ্যায় টিউশনি করে বাসায় ফেরার পথে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় সোহাগী জাহান তনুকে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়নামতি সেনানিবাসের অভ্যন্তরে পাওয়ার হাউসের পানির ট্যাংক সংলগ্ন স্থানে সোহাগীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। কালভার্টের পাশের একটি জঙ্গলের ভেতর মাথা থেতলানো সোহাগীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ পড়েছিলো।
সোমবার নিহতের বাবা ইয়ার হোসেন কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাতদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগী জাহানের (তনু) মা, ভাই ও চাচাতো বোনকে বাসা থেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১১) একটি দল।
শুক্রবার রাত ১২টার দিকে মুরাদনগর মির্জাপুরের বাসা থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে বিকেলের দিকে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন ও তাঁর বড় ভাইকে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মকর্তারা এসে নিয়ে যান।
শনিবার সকালে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তনুর চাচা আলাল হোসেন। তিনি বলেন, আমার মেয়ে লাইজু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ে। সে তনুদের বাসাতেই থাকে। দুজন একই কক্ষে থাকত। এখন আমার মেয়ের জন্যও ভয় করছে।
এ ব্যাপারে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক খোরশেদ আলম বলেন, তনু হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে গতকাল রাত ১১টার দিকে তনুর মা ও আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে তাঁদের ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের বাসায় রেখে আসা হয়েছে।
মির্জাপুরে তনুদের প্রতিবেশী হুমায়ুন কবির বলেন, গতকাল গভীর রাতে র্যাব আসায় তনুর পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে প্রতিবেশীদের মধ্য থেকে দুজন তাঁদের সঙ্গে র্যাব অফিসে যায়। সারা রাত সেখানে অবস্থানের পর আজ সকালে তাঁরা ফিরে এসেছেন। আজ বিকেলে তনু হত্যার বিচারের দাবিতে কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে ছাত্র-জনতা।
এদিকে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। ওএনবি/এসএস