সময়ের কথা’র ছোট্ট বন্ধুরা, আজ তোমাদের শোনাবো সাগর তলের পাঁচটি ভয়ঙ্কর প্রাণীর গল্প। সত্যিই এরা ভীষণ ভয়ঙ্কর! একবার কাউকে হাতের নাগারে পেলে তার আর রক্ষে নেই! কি ভয় পেলে? না বন্ধুরা, ভয়ের কিচ্ছু নেই। আমরা তো আর ভয়ঙ্কর প্রাণীগুলোর সাথে লড়তে যাচ্ছি না; আমরা পড়তে যাচ্ছি তাদের কথা।জানবো, কেন তারা এতো ভয়ঙ্কর। তোমাদের জন্য প্রতিবেদনটি তৈরী করেছেন তোমাদের এক ভাইয়া ইমরান আহমেদ
সাগরের পানিতে নেমে গোসল করতে কে না ভালোবাসি ? আর যদি সমুদ্রের মাঝখান হয়, যেখানে নীল পানি টলটল করে সেটা হলে তো কথাই নেই। সেন্ট-মার্টিনে বোধোহয় এরকম সুন্দর পরিষ্কার পানি চোখে পড়ে ।কিন্তু সাবধান ! গোলাপ ফুলেও কাটা থাকে, এরকম সমুদ্রে আছে কতগুলো ভয়ংকর প্রানী, যাদের হাতে পড়লে আপনাকে হয়তো পৃথিবী ত্যাগ করতে হতে পারে।
বক্স জেলিফিশ
জেলীর মতো এবং দেখতে খুবই সুন্দর এই প্রানীটি কিন্তু তার সৌন্দর্য্যের মতোই মারাত্নক ।এক একটা জেলিফিশের মধ্যে এরকম বিষ থাকে যে, সে একাই ৬০ জন মানুষ মেরে ফেলতে সক্ষম ! আর এর বিষের কার্যকারীতাও এতো দ্রুত যে, এর আক্রমনের ৩ মিনিটের মাথায় আপনার প্রানপাখী যমের হাত ধরে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে ! সুতরাং এর সৌন্দর্য্যে বিমোহিত হয়ে, এর ফেসবুক আইডি চাওয়ার দুঃসাহসটুকুও দেখাবেন না ।
টাইগার শার্ক
এই পেটুকটি আল্লাহর রহমতে সবই খায়, মানে সর্বভূক (!)। যে কোনো মাছ,ছোটো ডলফিন,স্কুইড,ছোটো হান্গর থেকে শুরু করে গাড়ির টায়ার খেতেও এর কোনো আপত্তি নেই। এরা স্বাভাবিক ভাবে ১ টন ওজনের হয়ে থাকে এবং ২০ ফুটেরও অধিক হয়ে থাকে। অতএব,এর সামনে সাধারনত না যাওয়াই ভালো। সামনে পেলে এ কিন্তু আপনাকে কাচ্চি ভাবতে মোটেও ভূল করবে না !
পফার ফিস
মারাত্নকভাবে প্রানঘাতী বিষ টেট্রোডোটক্সিন এই মাছের ফুলে থাকা শরীরে বিদ্যমান।যা, প্রানীর মৃত্যু এনে দিতে যথেষ্ট পরিমানে সাহায্য করে ! তবে জাপানের গবেষকরা এর শরীর থেকে বিষ আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে বিষ আলাদা করলে এটিকে সুস্বাদু খাবার হিসেবে খেতে আপত্তি নেই !
সাধারনত সাপকে সবাই ভয় পায়। কিন্তু এই সাপ সমুদ্রে লুকায়িত থাকে বা গভীরে থাকে। ফলে এটি মানুষের জন্য সবসময় ক্ষতির কারন নাও হতে পারে । কিন্তু এর বিষ এতো মারাত্নক যে, এক কামড়ে মুহুর্তে শিকারকে প্যারালাইসড করতে পারে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভিকটিম মারা যাতে পারে ! অতএব সমুদ্রের বেশী গভীরে না যাওয়াই ভালো।