বিশ্ব টেলিকমিউনিকেশনে চার ধাপ

বিশ্ব টেলিকমিউনিকেশনে চার ধাপ

6সুমাইয়া রহমান সীমা

সাম্প্রতিক বাংলাদেশে টেলিকম নিয়ে নানান উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে এ খাতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। টেলিকমিউনিকেশন নিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের অবস্থানও পাকাপোক্ত হচ্ছে। এবার আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশনস ইউনিয়ন আইটিইউ-এর তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিবেদনে ৪ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। এই উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আইটিইউর ‘মোস্ট ডায়নামিক কান্ট্রিজ’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পেরেছে।

বিশ্বের ১৫৭টি দেশের মধ্যে পরিচালিত এই জরিপে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে কোরিয়া এবং সবার শেষে অবস্থান করছে নাইজার। আর বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৫।

সবগুলো দেশের তালিকা এবং পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেখা যাবে এই ঠিকানায়।

আইটিইউ-এর তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এখনও শ্রীলংকা, ভারত এবং পাকিস্তান বাংলাদেশের সামনের সারিতে অবস্থান করছে।

আর বাংলাদেশের মতো করে একই ধারাবাহিকতায় ৪ ধাপ করে এগুতো পেরেছে অস্ট্রেলিয়া, ওমান এবং জিম্বাবুয়ে। তবে আরব আমিরাত এগিয়েছে ১২ ধাপ।

সর্বশেষ প্রতিবেদনে ১৫৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৫তম। ২০১১ সালে অবস্থান ছিল ১৩৯তম। শ্রীলংকা তাদের আগে অবস্থান (১০৭তম) ধরে রেখেছে।

ভারত ও পাকিস্তান এক ধাপ পিছিয়ে যথাক্রমে ১২১তম এবং ১২৯তম অবস্থানে নেমে গেছে। পাশের দেশ মিয়ানমারও (১৩৪তম) বাংলাদেশের সামনে রয়েছে।

আইটিইউ’র তালিকায় কোরিয়া এক নম্বরে এবং সুইডেন রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ২০০৯ সাল থেকে আইটিইউ এই তালিকা প্রকাশ করে আসছে।

সব মিলে চারটি ক্ষেত্রে দশ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশের অর্জন ১ দশমিক ৭৩। আগে বছর এটি ছিল ১ দশমিক ৬২।

আইটিইউর মতে, ইন্টারনেট প্রসারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের হিসেবে গড়ে ৫০ শতাংশ হারে ব্রডব্যান্ড ঘনত্বের দিক থেকে সারাবিশ্বের মধ্যে ইউরোপই এগিয়ে।

আইটিইউর ব্রডব্যান্ড তালিকার শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৮টি দেশই এ অঞ্চলের। বাসাবাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগের দিক দিয়ে অবশ্য সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া (৯৭ শতাংশ)। মাথাপিছু ফিক্সড ব্রডব্যান্ড সংযোগের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে সুইজারল্যান্ড।

ব্রডব্যান্ড-সম্পর্কিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, ৫০ শতাংশের বেশি লোক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, বিশ্বে এমন দেশের সংখ্যা ৭০টিরও কম।

অন্যদিকে ৪৯টি স্বল্পোন্নত দেশে মাত্র ১০ শতাংশেরও কম লোক মোবাইল কিংবা ফাইবারনির্ভর ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পায়।

আইটিইউর মহাসচিব ও আইটিইউ ব্রডব্যান্ড কানেকশন শাখার সহ-সভাপতি হামাদুন তুরে বলেন, সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে বিশ্বব্যাপী ব্রডব্যান্ড সংযোগের হার বাড়ছে, কিন্তু যেসব অঞ্চল এ সুবিধা থেকে পিছিয়ে পড়ছে, তাদের দিকে নজর দেয়ার প্রয়োজন আছে।

তুরের মতে, ফিক্সড কিংবা মোবাইল ব্রডব্যান্ডের অভাবে অনুন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক উন্নয়ন ব্যাহত হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট কনটেন্ট ও সেবার সমন্বয়ে স্বাস্থ্য, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও লৈঙ্গিক ক্ষমতায়নে বিদ্যমান ঘাটতিগুলো পুষিয়ে নিতে সহায়ক হতে পারে প্রযুক্তি।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তথ্যের ভিত্তিতে ‘আইসিটি ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ক এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে আইটিইউ। গত ৪ বছর ধারাবাহিকভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করছে সংগঠনটি।

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.