শেখ হাসিনার ভারত সফর ও আশা-নিরাশার দোলাচল

শেখ হাসিনার ভারত সফর ও আশা-নিরাশার দোলাচল

মোনায়েম সরকার: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সরকারের আমন্ত্রণে ৭-১০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত সফর করবেন। এ সফরকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখা প্রকাশ হচ্ছে, বিভিন্ন তাত্ত্বিক ও রাজনীতিক বিশ্লেষক নানা দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ উপস্থাপন করছেন, আমি আজকের লেখায় কোনো জটিল তত্ত্বের অবতারণা করবো না, ইতিহাসের আলোকে এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে দুই একটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই মাত্র।

বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন ভারতে বিজেপি দলের জন্ম হয়নি, যেমন হয়নি বিএনপির জন্ম। রক্ষণশীল ও প্রতিক্রিয়াশীল দল ভারতীয় জনসংঘের খোলস ভেঙ্গেই বিজেপির জন্ম হয়। তাই জন্মমুহূর্ত থেকেই এই দলটি প্রতিক্রিয়াশীল ও উগ্রপন্থায় বিশ্বাসী। মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির যে মিল-বিজেপির সাথেও আরেক প্রতিক্রিয়াশীল দল আরএসএসের তেমনি মিল। বিজেপি ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। বিজেপির মতাদর্শ হলো, রক্ষণশীলতা, সামাজিক রক্ষণশীলতা, একাত্ম মানবতাবাদ, হিন্দু জাতীয়তাবাদ, হিন্দুত্ব। আরএসএস (রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ)-এর সঙ্গে বিজেপির আদর্শগত ও সংগঠনগত নৈকট্য রয়েছে এ কথা যেমন সত্য তেমনি সত্য হলো ভারতীয় জনসংঘ দল। বলা হয়ে থাকে, বিজেপির উৎস ১৯৫১ সালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় জনসংঘ দলটি। ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থার পর জনসংঘ একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিশে জনতা পার্টি গঠন করে।

শুনতে যেমনই শোনাক না কেন তবু বলতে হবে বাংলাদেশের প্রকৃত দোসর ভারতের কংগ্রেস দলই, কংগ্রেসের সীমাহীন সহযোগিতা না পেলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আরো বিলম্বিত হতো, দুর্ভোগ পোহাতে হতো বাঙালিকে। তৎকালীন কংগ্রেসের দল ও ইন্দিরা গান্ধি যেভাবে বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করেছেন এবং অপমান-অমর্যাদা সহ্য করেছেন তা ইতিহাসে বিরল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ইন্দিরা গান্ধীকে নানাভাবে অপমান করেছিলেন। “Old witch” বলে কটূক্তি করার মধ্যেই তাদের অপমান সীমাবদ্ধ ছিল না, পুরো ভারতবাসীকে আমেরিকানরা “Bastard” বলে গালি দিয়েছিল।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধি ও ভারত শুরু থেকেই সাহায্য করছিল, অন্যদিকে ভারতবিরোধী চক্র ও পাকিস্তানের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো ভারতের এই পদক্ষেপকে নেতিবাচক বলেই উল্লেখ করে আসছিল। ইন্দিরা গান্ধি যদি জোরালো ভূমিকা পালন না করতেন স্বাধীন বাংলাদেশের ভাগ্যে কি ঘটতো তা ভবিষ্যৎই জানে।

ইন্দিরা গান্ধি ছিলেন অকুতোভয় রাষ্ট্রনায়ক, অত্যন্ত দূরদর্শিতা ছিল তার চিন্তা-চেতনায়। যে কাজ তার পিতা জওয়াহের লাল নেহেরু করতে পারেননি, সেই কাজ তিনি অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে সম্পূর্ণ করেছিলেন। গতি এনেছিলেন কংগ্রেস পার্টির অভ্যন্তরে ও পুরো ভারতবর্ষে। তার নেতৃত্বেই কংগ্রেস দল ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক দলে রূপান্তরিত হয়েছিল।

আজ যদি বিজেপির সুসময়ে এবং কংগ্রেসের দুঃসময়ে আমরা বিজেপির সঙ্গে গাটছড়া বাঁধি ও কংগ্রেসকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করি সেটা হবে হঠকারিতা ও বাংলাদেশের জন্য ক্ষতির কারণ। পররাষ্ট্র নীতি অনুযায়ী আমরা আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র বা প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ওইটুকু শোভন আচরণই করবোÑ যতটুকু ভদ্রতার খাতিরে করতে হয়, এর বাইরে আমাদের যাওয়া ঠিক হবে না, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে বাঁধা। ভারতবাসীর রক্ত ১৯৭১ সালে বাংলার মাটিতে রক্তের আল্পনা এঁকে যে সম্পর্ক তৈরি করেছে সে সম্পর্ক আমরা কোনোদিনই ভুলতে পারবো না। কিন্তু বিজেপি বা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেবল আনুষ্ঠানিকতার হওয়া উচিত, আন্তরিকতার নয়। কেননা তারাও আমাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকতাই দেখায়  অন্তরঙ্গতা দেখায় না।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন যথেষ্ট এগিয়ে গেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, কূটনীতি সব ক্ষেত্রেই শেখ হাসিনা সরকারের সাফল্য উল্লেখ করার মতো। শেখ হাসিনা নিজের যোগ্যতা বলেই এখন বিশ্ব নেতায় নিজেকে উত্তীর্ণ করেছেন। ভারতের নরেন্দ্র মোদি একজন প্রধানমন্ত্রী বটে, কিন্তু এখনও তিনি বিশ্বনেতায় পরিণত হতে পারেননি। ভারতবর্ষে মোদি সরকার সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবৃক্ষ বপণ করছেন, প্রদেশে প্রদেশে যেভাবে উস্কে দেওয়া হচ্ছে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধরন তাতে মোদির ভাবমূর্তিতে কালো দাগ পড়তে আর কিছু বাকি নেই।

ভারত বাংলাদেশকে সম্ভবত অবহেলার চোখেই দেখে, বন্ধুর চোখে দেখে না, কিন্তু ভারতের আজ স্মরণ রাখা দরকার, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৭ সালের বাংলাদেশ এক নয়। বাংলাদেশ এখন ভারতকে অনেক ব্যাপারেই ‘না’ বলার সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশকে ধমকে বা ভয় দেখিয়ে ভারত এখন যা ইচ্ছে তাই করে ফেলবে এমনটি ভাবা ভারতের জন্য বোকামি হবে বলেই আমার ধারণা।

ভারত এখনো আমাদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করতে চায়, তারা গঙ্গার পানি নিয়ে দীর্ঘদিন আমাদের সঙ্গে টালবাহান করেছে, তিস্তা চুক্তি নিয়ে বহুদিন ধরেই নাটক করছেন মমতা, বাংলাদেশে গরু বিক্রির ক্ষেত্রেও ভারতের আপত্তি আছে, ভিসা জটিলতা নিয়ে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলোও অমীমাংসিত, সীমান্তে বাঙালি হত্যার ব্যাপারেও ভারতের কোনো মাথা ব্যথা নেই। এসব বিষয় চূড়ান্ত মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত ভারতকে আর কোনো ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না।

২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মান্যবর নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে এসে বলেছিলেন, ‘জল, বায়ু ও পাখির কোনো ভিসা লাগে না’, তাহলে মানুষের ভিসা লাগবে কেন? মোদি মহোদয়ের কথার সঙ্গে আমিও সম্পূর্ণ একমত। বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভারতের ভিসা পাওয়া ভোগান্তির চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক ভারতে যায়। এদের বেশিরভাগই যায় চিকিৎসা, তীর্থস্থান দর্শন, পড়াশুনা, কেনাকাটা, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মিলিত হতে ও সভা-সেমিনারে যোগদান করতে। এছাড়া ভারত ভ্রমণ ও ব্যবসার উদ্দেশ্যেও অনেকে ভারত গমন করেন অথচ ভিসা পাওয়ার বিষয়টি যদি আরও একটু সহজ হতো তাহলে ভারত আরও বেশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতো, বাংলাদেশের মানুষও উপকৃত হতো।

বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র। ধর্মীয় কারণে কোরবানিসহ মুসলমানদের খাদ্যতালিকায় গরুর মাংস অগ্রগণ্য। শুধু খাদ্য হিসাবেই নয়, কৃষিপ্রধান দেশ হিসাবে কৃষিতেও গরুর চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ভারত ও নেপাল থেকে গরু আসে বলেই বাংলাদেশে গরুর চাহিদায় ভারসাম্য বজায় থাকে। কিন্তু ইদানীং উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। ভারত ও নেপাল থেকে পর্যাপ্ত গরু না পাওয়ায় বাংলাদেশ গো-সংকটে পড়েছে। ভারত যদি গরুর চোরাচালান বন্ধ করতে চায়, সেটাকে আমরা অবশ্যই সাধুবাদ জানাব। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, যখন ভারত থেকে ফেনসিডিলের চোরাচালান ঢোকে, ইয়াবা-কোকেনের মতো ভয়ংকর মাদকের চোরাচালান ঢোকে তখন ভারত তা থামাতে পারে না। তাহলে গরুর বেলায় এত আপত্তি কেন?  বছরের প্রায় প্রতিদিনই দেখা যায়, বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হচ্ছে, কিন্তু কোনোদিন কোনো ফেনসিডিল ব্যবসায়ী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছে, এমন খবর শোনা যায়নি। বাংলাদেশের জঙ্গিরা যে সকল অস্ত্র ব্যবহার করে তা-ও ভারত থেকেই আসে। কই কোনোদিন তো বিএসএফের গুলিতে কোনো অস্ত্রব্যবসায়ী মারা গেল না। গরিব গরু ব্যবসায়ী গুলিতে প্রাণ হারাবে আর মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের টিকিটিও কেউ ধরতে পারবে না এটা কোনো ভালো কথা নয়। অবশ্যই এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জোরালো ভূমিকা পালন করা দরকার।

আমি একদিন ইন্দিরা গান্ধির প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি পি.এন. হাকসারকে কথা প্রসঙ্গে বলেছিলাম, ভারত আমাদের যে উপকার করেছে তার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। আবার ভারত আমাদের যে ক্ষতি করেছে তারও কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। ভারতের প্রতিক্রিয়াশীল মার্কিন গোষ্ঠীর মদতেই জাসদ সৃষ্টি হয়েছিল। এই জাসদ আওয়ামী লীগের একটি বিশাল মিলিট্যান্ট অংশকে বিভ্রান্ত করে তথাকথিত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে বঙ্গবন্ধুকে পলিটিক্যালি হত্যা করেছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অনেক আগেই। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শারীরিকভাবে শহিদ হয়েছেন মাত্র। শুধু তা-ই নয়, বঙ্গবন্ধুর খুনি রিসালদার মুসলেহ উদ্দীনও বহুদিন ভারতে বহাল তবিয়তে পলাতক ছিল। ভারত যদি আজ নিজেকে ‘বিগ ব্রাদার’ মনে করে তাহলে ভারত মস্ত বড় ভুল করবে। কেননা বাংলাদেশ আজ আর আগের জায়গায় নেই। বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। ভারতের সাহায্য আমাদের প্রয়োজন আছে বটে, তবে বাংলাদেশের সহযোগিতাও ভারতের আজ অনেক বেশি দরকার। বিশেষ করে ভারতের পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলোকে দিল্লির সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ট্রানজিটের কথা ভুলে যাওয়া মোটেই উচিত হবে না।  

ভারতের হিন্দুরা (পুরোহিতসহ) এক সময় বাছুর গরুর মাংস ভক্ষণ করতেন, গোমেধ যজ্ঞের কথা যাদের মনে আছে তারা নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে অবগত। অথচ আজ গোমাংসে তাদের এলার্জি। ভারত সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে, তারা বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে রাম মন্দির ও রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। বর্তমান বিশ্ব যেখানে মানবিক বিশ্বব্যবস্থা (Humane World Order) কামনা করছে, সেখানে ভারত যাত্রা করছে অমানবিক সাম্প্রদায়িকতার পথে। তাদের এই ভয়ঙ্কর যাত্রা উপমহাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।

প্রতিরক্ষা চুক্তির ব্যাপারে বেশ তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ কেন প্রতিরক্ষা চুক্তি করবে বা আদৌ করবে কিনা এটা একান্তই বাংলাদেশের ব্যাপার। আমাদের মতো ক্ষুদ্র সামরিক শক্তির দেশের সঙ্গে ভারতের মতো বিরাট সামরিক শক্তি সম্পন্ন দেশ কেন সামরিক চুক্তি করতে চায় সেটা একটু তলিয়ে দেখা দরকার। কংগ্রেস হলেও একটা কথা ছিল, বিজেপি তো বাংলাদেশে গরুই দিতে চায় না, তারা আমাদের সামরিক সহযোগিতা দিতে চায় কোন্ স্বার্থে?

মাননীয় শেখ হাসিনা আপনি বাংলাদেশের কর্ণধার, আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, মাথা বিক্রি করে দেশের ভাবমূর্তি ও ভবিষ্যৎ নষ্ট করে আপনি কোনো পদক্ষেপ নিবেন না এমনটিই বাংলাদেশের মানুষ আশা করে। ভারত বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী দেশ। বাংলাদেশ ভারতের কাছে জন্মসূত্রে ঋণী। বাংলাদেশের মাটিতে বাঙালির রক্ত আর ভারতবাসীর রক্ত মিশে একাকার হয়ে গেছে। দুটি দেশ মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে যেভাবে একসাথে কাজ করেছে এবং এখনও ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে বন্ধুত্বপূর্ণ মানসিকতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তা ভাবতে গেলে বিস্মিত হতে হয়। আমরা বাংলাদেশের পক্ষে থেকে চাই আমাদের এই দুই দেশের বন্ধন অটুট থাকুক। আপনি বারবার বলেন, আপনার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। আপনার একমাত্র চাওয়া-পাওয়া বাঙালির ও বাংলাদেশের সুখ সমৃদ্ধি। তাই যদি হয়, তাহলে ভারত ও বিজেপি সরকারকে খুশি করতে গিয়ে বাংলাদেশ ও পুরো বিশ্বকে অখুশি করবেন না।

০৩ এপ্রিল, ২০১৭

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.