সময়ের কথার মুখোমুখি গাড়িওয়ালা

সময়ের কথার মুখোমুখি গাড়িওয়ালা

 

সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘গাড়িওয়ালা’ মুক্তি পাবার আগেই আলোচনায় উঠে এসেছে…..কেন? কি এমন আছে ছবিটাতে? এসব নিয়ে সময়ের কথা’র মুখোমুখি হয়েছেন ছবিটির নির্মাতা আশরাফ শিশির। তার সাথে আলপচারিতা নিচে তুলে ধরা হলো-

শিমির

সময়ের কথা : গাড়িওয়ালার কাজ এখন কোন পর্যায়ে? কবে নাগাদ ছবিটি মুক্তি পেতে পারে?

 

আশরাফ শিশির : গাড়িওয়ালার পোষ্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ পর্যায়ে। বিশ্ব শিশু দিবসে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার একটা চিন্তাভাবনা চলছে।

 

সময়ের কথা : গাড়িওয়ালা সরকারী অনুদানে নির্মিতব্য একটি চলচ্চিত্র। অতীতে সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত কোনো কোনো ছবির কাহিনী, মান, নির্মাণশৈলী নিয়ে নানা প্রশ্ন ঊঠতে দেখা গেছে, এ ক্ষেত্রে গাড়িওয়ালা কতোটা সমৃদ্ধ বলে আপনি মনে করেন?

 

আশরাফ শিশির : গাড়িওয়ালা আমার জীবনের গল্প অথবা বলতে পারেন জীবন-বাস্তবতার সাথে এক চিমটি কাল্পনিক কিছু ঘটনার সংমিশ্রণ করা হয়েছে। একজন শিল্পী কখনোই তার শিল্পকর্ম নিয়ে ১০০% তৃপ্ত হতে পারে না। তবে এইটুকু আশ্বাস আপনাদের দিতে পারি যে, গাড়িওয়ালার কাহিনী ( আগেই যেটা বললাম আর কী !), মান ( সেটা দর্শক ও বোদ্ধাদের উপর ছেড়ে দিতে চাই), নির্মাণশৈলী ( আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডিসিপি প্যাকেজে টু কে রেজুলেশনে নির্মিত এবং বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে, দূর্দান্ত কালার গ্রেডিং, সারাউন্ড সাউন্ড, নির্মাণশৈলীতে আনা হয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন)নিয়ে প্রশ্নের চেয়ে ইতিবাচক সাড়া পাবো বলে আশা করছি। আর গাড়িওয়ালা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত প্রথম ছবি যা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মন্ত্রাণলয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।

 

সময়ের কথা : কোন পটভূমির ওপর গড়ে উঠেছ গাড়িওয়ালা ছবির কাহিনী? কাহিনীতে কি কোনো চমক আছে?

 

আশরাফ শিশির :  গাড়িওয়ালা দুই ভাই এবং তাদের মায়ের গল্প – গ্রামের মাঠে-নদীতে ভেসে বেড়ানো দুই ভাই, জীবন সংগ্রামে বিপর্যস্ত তাদের মা, তাদের স্বপ্ন-স্বপ্নভঙ্গ আর জীবনের কষাঘাতে এক রাতে ছোট্ট এক শিশুর সামর্থ্য পুরুষ হয়ে ওঠার গল্প, তারা প্রচণ্ড দারিদ্রের মধ্যে কিভাবে গাড়িওয়ালা হয়ে উঠেছিল সেই গল্পগাঁথা..যে গাড়িকে কেউ কোনদিন হারাতে পারেনি সেই গল্প গাড়িওয়ালা।

 

কাহিনীতে অবশ্যই একটি চমক আছে। স্বাভাবিকভাবেই তা আপাতত: গোপন রাখতে চাইছি। শুধু পাঠকদের জন্য একটা ক্লু দিয়ে যেতে চাই, “যে গাড়িকে কেউ কোনদিনও হারাতে পারেনি, সেই গল্প গাড়িওয়ালা”

 

সময়ের কথা :  আমাদের শিশু-কিশোর সমাজের কোন কোন বিষয় ছবিটিতে প্রাধান্য পেয়েছে? এর কল্যাণকর দিকগুলোর ব্যাখ্যা করবেন কি? এতে কি কোনো দিকনির্দেশনা আছে?

 

আশরাফ শিশির : দেখুন, পুরো ছবিটিই আসলে শিশুতোষ। যদিও আমি এটাকে ব্যক্তিগতভাবে অস্বীকার করি। আসলে ছবিটি একই সাথে ছোট ও বড়দের জন্য। আমি হয়ত ছোটদের দিয়ে বড়দের একটা শিক্ষা দিতে চেয়েছি। আমি প্রায় ১০ বছর দেশে ও দেশের বাইরে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করেছি। তাই জানি, শুধুমাত্র সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাই নয় সুবিধাপ্রাপ্ত শিশুরাও নানা রকমের নির্যাতন, অবহেলার শিকার হয়। গাড়িওয়ালাতে আমরা তৃণমূল পর্যায়ের কিছু শিশুকে দেখিয়েছি আর জাগ্রত করতে চেয়েছি তাদের মূল্যবোধ কে।

 

শুধু বলতে চাই যে, গাড়িওয়ালা আমাদের সন্তানদের পিতা-মাতা-সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল হতে শেখাবে। গল্পের ভেতর দিয়ে আমরা দর্শকদের মস্তিষ্কে তা ইনজেক্ট করে দেওয়ার দূরভীসন্ধি এটেঁছি বলতে পারেন।

 

সময়ের কথা : ছবিটির নির্মাণশৈলীতে কি কোনো নতুনত্ব থাকছে?

 

আশরাফ শিশির : আগেই বলেছি, আবার বলব? আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডিসিপি প্যাকেজে টু কে রেজুলেশনে নির্মিত এবং বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে, দূর্দান্ত কালার গ্রেডিং, সারাউন্ড সাউন্ড, নির্মাণশৈলীতে আনা হয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন। ২.৩৯:১ রেশিও তে বড় পর্দায় দেখা যাবে ছবিটি। গাড়িওয়ালা হবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এরকম অনেক কিছু ইন্ট্রোডিউসার। আর ছবির মেকিং-শট ডিভিশন-এডিটিং-স্পেশাল ইফেক্টস্ এও আনা হয়েছে আধুনিক মেথড।

 

সময়ের কথা :  ছবির পাত্র-পাত্রীদের সম্পর্কে কিছু বলবেন কি? কারা এতে অভিনয় করছে এবং কোন চরিত্রে তারা কেমন করছে?

আশরাফ শিশির : “অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী এবং অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ আমার এই শিশুতোষ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এর শিশুশিল্পীরা হল মারুফ, কাব্য, অর্ণব, স্বপ্ন, কিন্নর ও ঋদ্ধ। এতে আরও অভিনয় করেছেন মাসুম আজিজ, সুপার হিরো সুপার হিরোইনখ্যাত ইমরান, সানসি ফারুক, মোসলেম, আর জে মুকুল ও সাকি ফারজানা, মিরাক্কেলখ্যাত সিডর সুমন, মাটির ময়নাখ্যাত মোসলেম, সাজ্জাদ লিটন, মুক্তা, সম্রাট, শুভ, জগন্ময় পালসহ চারশ’ নাট্যকর্মী। চলচ্চিত্রটির সংগীত পরিচালনা করছেন সামিরা আব্বাসী এবং রাফায়েত নেওয়াজ।

স্যুটিং এর প্রস্তুতি .......

স্যুটিং এর প্রস্তুতি …….

 

সময়ের কথা :  আমরা যদ্দুর জানি সরকারী অনুদানের ছবি নির্মাণে নানা প্রতিকুলতার মুখোমুখি হতে হয়। এ সম্পর্কে এ যাবৎ আপনার অভিজ্ঞতা কি? এ ছাড়া ছবিটি নির্মাণের ক্ষেত্রে অন্য কোনো প্রতিকুলতা মোকাবিলে করেছেন বা করছেন কি?

 

আশরাফ শিশির :  দেখুন, এই চলচ্চিত্রের জন্য সরকার আমাকে অনুদান দিয়েছেন ১০ লাখ টাকা। এই টাকা দিয়ে কী এই ধরণের চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্ভব? গাড়িওয়ালা প্রায় ১০০% শুটিং আউটডোরে করা হয়েছে ঢাকা থেকে ৩০০ কিমি দুরে পদ্মা পাড়ের কয়েকটি গ্রামে, আবার গাজীপুর, এফডিসিতেও করা হয়েছে কিছুটা। অভিনয় শিল্পীর সংখ্যা ৪০০ এর অধিক। সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্মাণ নিশ্চিত করতে আমরা প্রচন্ড শীতের মধ্যে প্রতিকূল আবহাওয়ায় কাজটি করেছি। ৩০ দিন এর শুটিং। আমার খরচ হয়েছে অনুদানের অর্থের বেশ কয়েকগুণ বেশী। তবে আমি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ, কারণ তাদের অনুদানটি আমাকে এই কর্মযজ্ঞে নেমে পড়ার তীব্র সাহস জুগিয়েছে, আর অনেক মানুষের ভালবাসা পেয়েছি, তাই নিজের সর্বস্ব এই চলচ্চিত্রের পেছনে বিনিয়োগ করেও তেমন একটা কষ্ট নেই।

 

সময়ের কথা : ছবিটির শ্যুটিং করতে গিয়ে আপনার আনন্দ এবং বেদনার দু’টি অভিজ্ঞতার কথা বলবেন কি?

 

আশরাফ শিশির : পুরো ছবিটির শ্যুটিং-ই ছিল আমার আনন্দক্ষণ। এত অভিনয়শিল্পী, কলাকুশলী নিয়ে পুরো প্রযেক্টের নেতৃত্ব দেওয়া যথেষ্ট ঝক্কির হলেও ভেতরে ভেতরে একটি আত্মতৃপ্তি ছিল। আমার লেখা কাহিনীটি প্রতিটি শটে ধীরে ধীরে জীবন্ত হয়ে উঠছিল, আর আমি পুলকিত হয়ে উঠছিলাম।

বেদনার স্মৃতিটুকুও অদ্ভূত। একটু বিস্তারিত বলি : সাপ দেখে আমি ভয় পাই। “গাড়িওয়ালা” চলচ্চিত্রের সেই ১০ বছরের বালকটিও সাপকে ভয় পেতো, কিন্তু কোন একদিন সে ভয় কেটে গেল, প্রচন্ড ক্ষুধায় সে ছোট ভাইয়ের খাবার যোগাড় করতে ন্যাংটো হয়ে নেমে পড়ল সাপে ভর্তি একটা দিঘীতে, একটা ভয়ংকর গোখরা সাপ ওর গায়ের উপর দিয়ে ফোঁস ফোঁস করতে করতে বেরিয়ে গেল, ছেলেটি ভয় পেল না! এফডিসিতে জীবনে প্রথম সাপ নিয়ে কাজ করলাম। সেই দৃশ্যের শুটিং। এক জোড়া সাপ ঘুরে বেড়াচ্ছে আমাদের আশেপাশে। গাজীপুর ফরেষ্ট থেকে ধরে আনা হয়েছে শ্বাসরুদ্ধকর লোমহর্ষক কয়েকটা গোখরা। আমরা গল্পের ভেতরে ঢুকে গেছি দেখে, গল্পের সেই বালকটির মত এই প্রথম সাপ দেখে ভয় পেলাম না!

গাড়িওয়ালা ছবির একটি দৃশ্যে রোকেয়া প্রাচী ও দুই শিশুশিল্পী

গাড়িওয়ালা ছবির একটি দৃশ্যে রোকেয়া প্রাচী ও দুই শিশুশিল্পী

 

এফডিসির ১নং ফ্লোরে ঝড়ের সেট আপ, ব্লোয়ার উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রায় সবকিছু, রেইন মেশিনে পুরো ফ্লোর জুড়ে বৃষ্টি, ল্ইাটিং এ চমকে উঠছে বিদ্যুৎ! সেই সাপের সঙ্গে আবার দেখা ছোট্ট দুই ভাইয়ের, সঙ্গে আছে মৃত্যুপথযাত্রী মা, সাপটা ওদের দেখেই ফনা তুলে ফেললো, কিন্তু ছোবল না মেরে সে পথ করে দিল মা’কে, কারণ, মা পৃথিবীর সেরা সৃষ্টি! শট নেওয়া হচ্ছে.. রোকেয়া প্রাচী, শিশু শিল্পী কাব্য আর মারুফ এর সেই দৃশ্য… আমি ডিরেক্টর চেয়ারে বসে সর্বশক্তি দিয়ে আমার বুকটাকে চেপে ধরে আছি, আমি এই ফিল্মের ডিরেক্টর, আমাকে আরো শক্ত হতে হবে, কোন মতেই আমার চোখের কান্না অন্যদের দেখানো যাবে না.. একদিকে অভিনেতাদের পারফর্মেন্স চলছে, অন্যদিকে আমার বুক-ফাঁটা-কান্না লুকিয়ে রাখার অদম্য চেষ্টা… এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ল, আমি আপ্রাণ চেষ্টা করছি কেউ যেন সেই জল দেখে না ফেলে… পুরুষ মানুষ কাঁদে না…

 

এর আগেও এমন হয়েছে, “আমরা একটা সিনেমা বানাবো” ছবির শুটিং এর সময়, নিজের গল্পের চরিত্রকে জীবন্ত হতে দেখে আমি কেঁদে ফেলেছি, কাউকে বুঝতে না দিয়ে চোখ মুছে ফেলেছি যে কতবার…

 

সময়ের কথা : গাড়িওয়ালা আপনার কতো নম্বর চলচ্চিত্র? এর পর কোন কাজে হাত দেবেন?

 

আশরাফ শিশির :  আমার প্রথম চলচ্চিত্রের নাম “আমরা একটা সিনেমা বানাবো”। ২০০৭ সাল থেকে অনলাইন সোশ্যাল নেটওয়ার্কে একটি গ্রুপ পার্টেসিপেটরি পদ্ধতিতে একত্রিত হয়ে ডিজিটাল ফরমেটে চলচ্চিত্র নির্মাণে কাজ শুরু করে। গ্রুপটির নাম “আমরা একটা সিনেমা বানাবো”। ২০০৯ সালে প্রায় ৪ হাজার শিল্পী ও কলাকুশলী নিয়ে ঢাকা থেকে ৩০০কিমি দুরে পদ্মা নদীর পারে শুরু হয় “আমরা একটা সিনেমা বানাবো” চলচ্চিত্রের শুটিং । সম্পূর্ণ সাদাকালোয় নির্মিত একটি রঙ্গিন স্বপ্নের চলচ্চিত্র। । গ্রুপটির মুল উদ্দেশ্য ছিল, শুধু ভাল চলচ্চিত্র নির্মাণই নয়, সেই চলচ্চিত্র প্রদর্শনের প্লাটফরম এবং দর্শকও তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখা কয়েক শ’ তরুণ-তরুণী এই কর্মযজ্ঞে শামিল হয়। একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে যা যা বাধার সম্মুখীন হতে হয়, তার প্রায় সব বাধাই অতিক্রম করতে হয় এই দলটিকে। মজার বিষয় হচ্ছে যে, বিড়ালের গলায় ঘণ্টাটা বাঁধানোর মতো কাহিনী, চিত্রনাট্য, পরিচালনার পাশাপাশি আমাকেই এই চলচ্চিত্রটির একমাত্র প্রযোজক হিসাবে কাজ করতে হয়। ২০০৯ এ শুটিং শুরু করে আজ অবধি প্রায় ৮০% কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আমি নিজে একটু একটু করে আয় করেছি আর কিছু টাকা গুছিয়ে ছুটে গেছি শুটিংস্পটে, এভাবেই এগিয়ে চলেছে ডিজিটাল ফরমেটে নির্মিত চলচ্চিত্র “আমরা একটা সিনেমা বানাবো”।

 

আর্থিক বিনিয়োগের বিষয়টি ছাড়াও আমাদের অন্যতম সমস্যা ছিল, ডিজিটাল চলচ্চিত্রকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি না দেওয়া, ডিজিটাল চলচ্চিত্রের প্রজেকশন সিস্টেম বা ডিস্ট্রিবিউশন না থাকা। আনন্দের বিষয় যে, দেশে এই সমস্যাগুলো ইতিমধ্যেই কেটে গেছে। ‘গাড়িওয়ালা’ মুক্তি দেওয়ার কয়েকমাসের মধ্যে ‘আমরা একটা সিনেমা বানাবো’ সেন্সরে যেতে পারে।

 

২য় চলচ্চিত্র “গাড়িওয়ালা” র কথা তো শুনলেন। আর এই মুহুর্তে কাজ করছি একটি আধা-বাণিজ্যিক ছবি নিয়ে, নাম “একটি অর্ধেক প্রেমের গল্প”। বাংলাদেশে ডিজিটাল চলচ্চিত্রের উত্থান নিয়ে আমি কয়েকবছর আগে আমার চলচ্চিত্রবিষয়ক লেখালেখি বা ওয়ার্কশপে ক্লাস নিতে নিতে যে আশংকার কথা বলেছিলাম, তাই সত্য হতে চলেছে। এমন কী ২০১৩সালের বইমেলায় অন্বেষা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত আমার লেখা চলচ্চিত্র বিষয়ক গ্রন্থ “ডিজিটাল চলচ্চিত্র : আমরা যেভাবে শুরু করতে পারি” বইটিতেও আমি এ কথাগুলো স্পষ্ট করে বলেছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি হস্তগত হওয়ার পরে দেখা যাবে যারা আগে বছরে ৩৫মিমিতে ১/২ টা অশ্লীল ছবি অথবা ভারতের শট-বাউ-শট কপি ছবি বানাতো তারা এখন বছরে ১০/১২টা করে বানাবে। চোখ খুলে দেখুন, তাই হচ্ছে। জ্বী না, এভাবে বাংলা চলচ্চিত্রের কোন উন্নয়ণ হবে না। এখন কিন্তু দর্শক উৎসাহিত হচ্ছে, হলে যেতে শুরু করেছে, কিন্তু গিয়ে যখন দেখছে যে, এই ছবিটি তার আগেই দেখা কোন কোলকাতার বা তামিল বা মুম্বাইয়ের হুবুহ কপি, তখন তারা নিরুৎসাহিত হবে এবং পূনরায় হলে যাওয়া বন্ধ করে দেবে। যাই হোক, এই জায়গা থেকেই আমার “একটি অর্ধেক প্রেমের গল্প” চলচ্চিত্রেরে উদ্যোগ, যেখানে প্রেম-ভালবাসা-অ্যাকশন সবই থাকছে, কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি এটি এমন একটি মৌলিক গল্প যা আপনি আগে কখনও শোনেননি।

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.