ঈদ এলে এই প্রবাসের জনপদেও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জেগে ওঠে উৎসবের আমেজ। সাধ্য মতো কেনাকাটাও চলে উৎসবমুখর পবিত্র দিনটিকে সামনে রেখে। প্রতিবারের মতো এবারো ঈদুল ফেতরকে সামনে রেখে জেগে উঠেছে প্রবাসের জনপদ। কানাডার বাংলাদেশী এবং ইন্ডিয়ান দোকানগুলোতে ভীড় বেড়েছে। বেড়েছে ব্যস্ততা। কানাডার ঈদ বাজার নিয়ে সময়ের কথা’র পাঠকদের জন্য লিখেছেন অনল হাসান
ঈদ মানে মুসলমানদের ধর্মীয় জীবনের সেরা উৎসব। ঈদ মানে সেরা আনন্দ। ঈদ মানে মানুষ মানুষে সকল ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে দাঁড়ানো। একে অপরের প্রতি ভ্রাতৃত্বের হাত বাড়ানো। এদিন উন্মুক্ত হয়ে যায় সকলের জন্য সকলের দুয়ার।
ঈদ মানে বর্ণিল মোড়কে ঝলমলে একটি দিন। যদিও এই প্রবাস জীবনে ঈদের সেই চিরাচরিত বর্ণময় রূপ খুঁজে পাওয়া দুস্কর; তারপরও প্রবাসীদের জীবনে ঈদ আসে রঙ নিয়ে, আনন্দের ক্ষণ নিয়ে। উৎসবের মেজাজে।
ঈদ এলে এই প্রবাসের জনপদেও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জেগে ওঠে উৎসবের আমেজ। সাধ্য মতো কেনাকাটাও চলে উৎসবমুখর পবিত্র দিনটিকে সামনে রেখে। প্রতিবারের মতো এবারো ঈদুল ফেতরকে সামনে রেখে জেগে উঠেছে প্রবাসের জনপদ। কানাডার বাংলাদেশী এবং ইন্ডিয়ান দোকানগুলোতে ভীড় বেড়েছে। বেড়েছে ব্যস্ততা। টরেন্টো, মন্ট্রিয়ল, ভ্যানক্যুভার, এডমন্টন, ক্যালগেরিসহ বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীরাও ঈদের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত। শহরগুলোর ইন্ডিয়ান ও বাংলাদেশী দোকানগুলোতে কেনাকাটা বেড়েছে। টরেন্টোর …….সবচাইতে বড় ইন্ডিয়ান মার্কেট জেরার্ড এখন সরগরম। সরগরম ড্যানফোর্থের দোকানগুলোও। মন্ট্রিয়লের পার্ক এক্সটেনশনের ইন্ডিয়ান ও বাংলাদেশীদের দোকানগুলোতেও ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। অনুরূপ ব্যাক্যুভারের ইন্ডিয়ান মার্কেট সুরিও এখন বেশ সরগরম। এডমন্টনের বিশ্বখ্যাত মলটিতে সেখানকার বাঙ্গালীরা কেনাকাটর জন্য ছুটছে। ক্যালগেরিতে তেমন বড় কোনো ইন্ডিয়ান বা বাংলাদেশী মার্কেট না থাকলেও বেশ কিছু বড় বড় দোকান রয়েছে। ক্যালগেরিতে রয়েছে ইন্ডিয়ান সেরা পোশাকের দোকান পূজা বুটিক, যে দোকানটি ইন্ডিয়ার জগতসেরা ডিজাইনার সাত্তিয়া পলের শাড়ির জন্য বিখ্যাত। বাঙ্গালী রমনীদের কাছেও সাত্তিয়া পলের শাড়ির চাহিদা ব্যাপক। ফলে ঈদকে সামনে রেখে সেখানে বাঙ্গালী রমনীদের পদচারণাও বেড়ে গেছে। আলাপকালে সাত্তিয়া পলের এক কর্মচারী জানালেন, ঈদ এলে তাদের বেচাকেনা এতোটাই বেড়ে যায় যে, যা কিনা ইন্ডয়ানদের সেরা উৎসব দিওয়ালীতেও লক্ষ্য করা যায়না। পূজা বুটিক ছাড়াও ইন্ডিয়ান দু’টি পোশেকের দোকান ভাটিয়া ও মোহিনীস-এ বলতে গেলে কেনাকাটার ধুম লেগেছে। এখানকার বাঙ্গালীরা এ দোকানদুটোতে বেশ ভীড় করছেন পছন্দের পোশাক কেনার জন্য। এখানে একটা কথা বিশেষভাবে বলা প্রযোজন যে, পোশাক পছন্দের ক্ষেত্রে
প্রবাসের বাঙ্গালীরা বরাবরই ইন্ডিয়ান পোশাককেই এগিয়ে রাখে। এ ক্ষেত্রে মহিলাদের প্রথম পছন্দ হচ্ছে ইন্ডিয়ান সালোয়ার কামিজ, লেহেঙ্গা এবং ক্ষেত্র বিশেষে শাড়ি। বাংলাদেশী পুরুষদের পোশাক অবশ্য তেমন একটা মেলে না। তারপরও ইন্ডিয়ান দোকাগুলোই এগিয়ে। পাঞ্জাবী, পাজামা বা ফতুয়ার তেমন একটা বাঙ্গালী পুরুষদের উপযোগী কালেকশন লক্ষ্য করা যায় না। পোশাকের দোকানের পাশাপাশি গ্রোসারী শপগুলোতেও কেনাকাটা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশী গ্রোসারীগুলো কেনাকাটায় এখন বেশ ব্যস্ত। ঈদে দেশীয় লাচ্চা সেমাইয়ের স্বাদ নিতে চায় সকলেই। এই প্রবাসের জনপদে ঈদের দিন কালিজিরা চালের পোলাও বা মুগডালের খিচুড়ির সাথে হালাল মাংসের পেটে ক্ষিদে তোলা সুগন্ধ ছড়াতে প্রস্তুতি চলছে এখন কানাডার প্রতিটি শহরের প্রতিটি বাঙ্গালী পরিবারে।