অবৈধ হলে দশ বছরের জেল

অবৈধ হলে দশ বছরের জেল

আদম

বৈধপথে কাউকে বিদেশ পাঠানো হলে যিনি পাঠাবেন তার ১০ বছরের জেল ও পাঁচলাখ টাকা আর্থিক জরিমানা এবং মিথ্যা বেতন-ভাতার আশ্বাস দিয়ে কাউকে বিদেশ পাঠালে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল ও  কমপক্ষে এক লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা।

 

এ ছাড়া মিথ্যা বেতন-ভাতা ও সুবিধার আশ্বাসে অননুমোদিত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলে সাত বছরের জেল ও কমপক্ষে তিন লাখ টাকার আর্থিক জরিমানার বিধান রেখে ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন-২০১৩’ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

 

সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা এ তথ্য দেন।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিসভার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, ‘প্রবাসী কর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় ১৯৮২ সালের অভিবাসী আইনটি যুগোপযোগী করে তৈরি করা হচ্ছে।’

 

তিনি বলেন, ‘মিথ্যা বেতন-ভাতা ও সুবিধার আশ্বাসে অননুমোদিত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলে সাত বছরের জেল এবং কমপক্ষে তিন লাখ টাকার আর্থিক জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে এই খসড়া আইনে।’

 

তিনি জানান, চাহিদাপত্র, ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিটের ক্ষেত্রে অবৈধভাবে পাঠানো হলে সাত বছরের জেল এবং কমপক্ষে তিন লাখ টাকা আর্থিক জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে খসড়া আইনে।

 

এ ছাড়াও ইমিগ্রেশন ছাড়া বাঁকাপথে (অবৈধ পন্থায়) কর্মী পাঠালে ১০ বছর কারাদণ্ড ও কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে যা আইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই, সেসব ক্ষেত্রে ছয় মাস কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

 

সচিব ভূঁইঞা বলেন, ‘প্রতারণা করে বিদেশে কর্মী পাঠালে ১৯৮২ সালের আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল এক বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা।’

 

তিনি বলেন, ‘প্রবাসী কর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় ১৯৮২ সালের আইনটি যুগোপযোগী করে শাস্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এর মাধ্যমে একটি পরিপূর্ণ আইন করা হয়েছে।’

 

তিনি আরো জানান, লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনে সুনির্দিষ্ট বিধান রাখা হয়েছে। এই আইনটিতে প্রবাসীদের উপার্জন ও রেমিট্যান্স পাঠানো সহজ হবে। আর যারা বিদেশে যাবেন, তারাও প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

 

 

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.