আমাজন মনকাড়া এক সবুজ বন

আমাজন মনকাড়া এক সবুজ বন

আমাজন

 

প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের এক আশ্চর্য হওয়ার স্বীকৃতি লাভের অনেক আগে থেকেই চিত্তকাড়া সবুজ বন  হিসেবে বিখ্যাত আমাজন জঙ্গল। অফুরাণ সবুজের মহা সমারোহ সমৃদ্ধ সে নয়নাভিরাম বন নিয়ে লিখেছেন তৌফিক অপু

চিরহরিৎ বৃক্ষের বন বলা হয় একে। অনেক রহস্য এবং গল্পগাথা রয়েছে এই বনকে ঘিরে। রয়েছে অনেক কুসংস্কার। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে এর অবস্থান। ৫৫ লাখ কিলোমিটার বিস্তৃত এই বন।

সাতটি দেশকে স্পর্শ করে গেছে বনটি। এই দেশগুলো হচ্ছে বলিভিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, ফ্রেঞ্চ গায়না, পেরু, সুরিনাম, গায়না এবং ভেনিজুয়েলা।

পৃথিবীর অন্যতম বড় নদী আমাজনের পাশ ঘেঁষেই এই বন। যে কারণে বনটির নামকরণ হয়েছে আমাজন বন। এত ঘন চিরসবুজ বৃক্ষের বন অন্য কোথাও নেই। সূর্যের আলো ভেদ করতে পারে না বনের মধ্যে।

বিভিন্ন নাটক-সিনেমায় যেসব অদ্ভুত জীবজন্তু দেখানো হয় এর বেশিরভাগই রয়েছে এ জঙ্গলে।

আকাশ সংস্কৃতির কারণে এনাকন্ডা ছবিটি মোটামুটি সবারই দেখা, ছবিতে বিশালাকায় অজগর সাপ দেখানো হয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, এই এনাকন্ডার বসবাস এই আমাজনে। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি প্রজাতির প্রাণী রয়েছে এই বনে। প্রায় ২.৫ মিলিয়ন প্রজাতির পোকামাকড় রয়েছে।

১০ হাজারেরও বেশি প্রজাতির গাছ, ২২০০ প্রজাতির মাছ এবং ২ হাজারেও বেশি প্রজাতির জন্তু রয়েছে যা সত্যিকার অর্থেই এক বিস্ময়।

১৯৬০ সালের আগে এই বনে প্রবেশধিকার সংরক্ষিত ছিল। কারণ মোটেও নিরাপদ স্থান ছিল না এটি।

এর পর কিছু কিছু মানুষ যেখানে চাষাবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করলে জঙ্গলের সৌন্দর্য কিছুটা হানি হয়। তার পরেও এই বনের রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি। গহিন বনে কি কি ঘটে তা অজনাই রয়েছে। অজানা রয়েছে জঙ্গলের আদিবাসী রহস্য। সব মিলিয়ে বর্তমান সময়ের এক বিস্ময় আমাজন চিরহরিৎ বৃক্ষের বন।

প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক পর্যটক ভ্রমণ করে এ বন...

প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক পর্যটক ভ্রমণ করে এ বন…

এ বন কার না ছুঁয়ে যায় মন......

এ বন কার না ছুঁয়ে যায় মন……

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.