বাংলাদেশের প্রখ্যাত বিউটিশিয়ান কানিজ আলমাস খান সময় কথার সাজ- ফ্যাশন সচেতন পাঠকদের জন্য লিখেছেন কয়েকটি বিউটি টিপস। নিচে তা তুলে ধরা হলো…
চোখের পাপড়িতে খুশকি
মাথা ও ত্বক পরিষ্কার না থাকলে এ ধরনের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। ক্যাস্টর অয়েলে খুশকি দ‚র হয়। অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। তেল লাগানোর সময় খুশকি উঠে আসে। ক্যাস্টর অয়েল কিংবা অলিভের তেল যা-ই ব্যবহার করুন, জোরে ঘষবেন না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লাগিয়ে নিন। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন।
চুল ঝরা
হরমোনাল ইমব্যালেন্স, ফাংগাল ইনফেকশন ও খুশকির কারণে চুল ঝরে যেতে পারে। প্রথমে চুলের খুশকি দ‚র করতে হবে। এছাড়া চুলের গোড়া শক্ত করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে মেহেদি লাগাতে পারেন। মাসে একবার। মেহেদির সঙ্গে লেবুর রস ও তেল ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করে লাগান। যাদের ঠান্ডার সমস্যা, তারা বেশিক্ষণ মেহেদি মাথায় রাখবেন না। তবে প্রয়োজনের বেশি লাগাতে নেই। চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে। পেঁয়াজের রস ও সরিষার খৈল মিশিয়ে চুলে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। প্রোটিন ট্রিটমেন্ট বা হেয়ার ট্রিটমেন্ট ও এই সমস্যা থেকে রেহাই দেবে। বিভিন্ন ধরনের ই-ক্যাপসুল ও হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। আর চুল পড়ার মাত্রা বেশি হলে ডাক্তার বা হেয়ার এক্সপার্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ক্লিন শেভ
অনেকেই ক্লিন শেভ করতে পারেন না। ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়, বেশ কিছু সমস্যা হয়। যেমন চুলকানি, চামড়া ওঠা, ব্রণ ইত্যাদি। এছাড়া শেভ করলে পরের দিনই দাড়ি গজাতে থাকে। টমেটোর রসের সঙ্গে গাজরের রস মিশিয়ে মুখে লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ক্লিন শেভের সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন। আর যাদের ত্বক রুক্ষ তারা শেভিং ক্রিম ও জেল ব্যবহার করুন। এছাড়া শেভ করার পর আফটার শেভ লোশন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। প্রতিদিন শেভ করলেই দাড়ির গ্রোথ কমে যাবে।
বয়সের ছাপ
বাদামি তিলের মতো ছিট-ছিট দাগগুলো ম‚লত এইজ স্পট। বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে এটি বাড়তে থাকে। অনেকক্ষণ রোদ ও চুলার পাশে থাকলে এ ধরনের স্পট দেখা যায়। দইয়ের ঘোল কটনে নিয়ে দিনে ২ বার দাগের উপর লাগাতে পারেন। ৩ মাস এই প্যাক লাগালে উপকার পাবেন। বাজারে এখন ভালো ব্র্যান্ডের এইজ স্পট ক্রিম, লোশন বা সানবাক পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
ফেস পাউডার
ফেস পাউডার দিয়ে বের হলে রোদে ঘোরাঘুরি করার পর মুখ কালো হয়ে যায়। এটা আসলে সঠিক নিয়মে মেকআপ ও রঙ নির্বাচন না করার জন্য হয়ে থাকে। মেকআপ করার আগে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে মুছে নিন। কটনে করে টোনার লাগাতে পারেন। ফেস পাউডার লাগানোর আগে লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করা ভালো। তারপর ফেস পাউডার ত্বকে মিশিয়ে নিতে হবে। প্যানকেকও ভালোভাবে মেশান। মেকআপ বেন্ড না হলে ত্বক ভালো দেখা যায় না। ফাউন্ডেশন ব্যবহারের পর ফেস পাউডার লাগানো জরুরি। তা না করে রোদে ঘুরলে মেকআপ গলে মুখত্বকের রঙ নষ্ট হয়ে যায়।