শূন্য থেকে মর্ত্তের নৈসর্গিক দৃশ্যাবলী দর্শণ, সে এক অন্যরকম অনুভূতি। ভীন্নরকম উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা! প্রতিটি মুহুর্ত শিহরণময় টান টান উত্তেজনা! একে এক অন্যরকম সুখানুভূতি বলা যেতে পারে। এবার এই সুখের দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের সামনে। সবুজ পহাড়ি বনাঞ্চলের ওপর দিয়ে দেশের দীর্ঘতম ক্যাবল কার চালু হতে যাচ্ছে আগামী মাসেই। আসছে ৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন দেশের প্রথম ও একমাত্র অ্যাভিয়ারি এন্ড রিক্রিয়েশন পার্ক (পক্ষীশালা ও বিনোদন কেন্দ্র)। আর এই পার্কেই দুই কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাদেশের প্রথম ক্যাবল কার স্থাপন করা হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা বন বিটের চন্দ্রঘোনা ও হাসনাবাদ ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৫ শ একর বনভূমি জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই অ্যাভিয়ারি এন্ড রিক্রিয়েশন পার্ক। কাজটি করছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পে ক্যাবল কার স্থাপনের কাজ করছে ভারতীয় একটি কোম্পানী।
জানা যায়, এটা শুধু শুধুমাত্র পাখি ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষনের জন্য একটি অভয়ারন্যভিত্তিক প্রকল্প নয়। দেশে প্রথম প্রতিষ্ঠিত এটি এমন একটি পার্ক- যেখানে বৃক্ষ আচ্ছাদিত সবুজ পাহাড়ি বনে হাজার হাজার বুনো পাখি উড়ে বেড়াবে। তাদের কলতানে মুখরিত হবে সবুজ বন। আর বুনো পথে ঘুড়ে বেড়াবে বিনোদন প্রেমী মানুষ। আকাশ পথে ক্যাবল কারে চড়ে দেখতে পারবে নিচের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। এটি হবে দেশের ব্যতিক্রমী প্রাকৃতিক, অত্যাধুনিক এবং আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র। মাটির মানুষের ক্ষনেকের জন্য আকাশচারী হয়ে পাখিদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর সাধকে সাধ্যের মধ্যে এনে দিতে পারাটাই এ প্রকল্পের অন্যতম পরিকল্পনা।
দীর্ঘ ক্যাবল কার ও পাখিদের ব্যতিক্রমী অভয়ারন্য দেখার জন্য দেশের বাইরে থেকেও পর্যটকরা এই পার্কে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়েরও সুযোগ রয়েছে। বিশ্বে এধরণের অ্যাভিয়ারি এন্ড রিক্রিয়েশন পার্ক মাত্র গুটি কয়েক। আশপাশে বলতে মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় আছে। আর উদ্বাধন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এর নাম দেওয়া হয়েছে শেখ রাসেল অ্যাভিয়ারী এন্ড রিক্রিয়েশন পার্ক।
-নূরুল আলম