মা-ছেলের লড়াই : নির্বাচন

মা-ছেলের লড়াই : নির্বাচন

bagerhat_sadarবাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার রাঢ়ীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে মা ও ছেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে মা তাসলিমা বেগম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে লাভ করেছেন নৌকা প্রতীক। অন্যদিকে তাসলিমার ছেলে মেহেদী হাসান বাবু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তিনি পেয়েছেন আনারস প্রতীক।

তবে এ লড়াইয়ে বাবা এস এম মাহফুজুর রহমানকে সঙ্গে পাচ্ছেন না ছেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী। এস এম মাহফুজুর রহমান সমর্থন দিচ্ছেন স্ত্রী ও মেহেদীর মা তাসলিমা বেগমকেই। তাসলিমার পক্ষে গণসংযোগে অংশও নিচ্ছেন এস এম মাহফুজুর রহমান। এস এম মাহফুজুর রহমান কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

এ ইউনিয়নে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত সাধারণ ভোটারদের ধারণা ছিল ‘ডামি প্রার্থী’ হিসেবে ছেলে তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তবে রাঢ়ীপাড়া ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের ধারণা যে ভুল ছিল, তা প্রমাণিত হয়েছে পোস্টার ও প্রচারপত্রের মাধ্যমে মা ও ছেলের প্রচারের মধ্য দিয়ে।

এ ইউনিয়নে মা ও ছেলের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি ইউনিয়নবাসী প্রথমে কোনো গুরুত্ব না দিলেও মা ও ছেলের নির্বাচনী এ লড়াই এখন রাঢ়ীপাড়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

তবে ইউনিয়নের সাধারণ ভোটার ও বাসিন্দারা মনে করছেন লড়াইটা মূলত বাবা ও ছেলের মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরে বাবা ও ছেলের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন চলছিল, যা এখন প্রকাশ্যে রাজনীতির মাঠ থেকে নির্বাচনের মাঠ পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে ভোটারদের ধারণা, নির্বাচনের মাঠে মা ও ছেলে ভোটের লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডিই হবে।

নির্বাচনের মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাসলিমা বেগম। রাস্তা-ঘাট ও অলিগলিতে শোভা পাচ্ছে তাসলিমার নির্বাচনী পোস্টার। নিজ পক্ষের কর্মী-সমর্থক নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট ভিক্ষা করছেন তিনি।

এদিকে নীরবেই প্রচার চালাচ্ছেন মেহেদী হাসান বাবু। ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট ও অলিগলিতে তেমন নির্বাচনী পোস্টার শোভা না পেলেও নিজ পক্ষের কর্মী-সমর্থক নিয়ে গোপনেই প্রচারণার কাজটা সারছেন তিনি। ইউনিয়নের সমস্যাগুলো তুলে ধরে সেগুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন তিনি।

এদিকে মা ও ছেলে একে অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে মেহেদী হাসান বাবু সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব থাকায় তাঁকে (মেহেদী) দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এমনকি নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তাঁর নামে। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তিনি। এমনকি প্রতীক বরাদ্দের পর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে ছেলে মেহেদী হাসান বাবুর অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে মা  তাসলিমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওএনবি/ এএম

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.