জাতীয় শোক দিবস : ১৯৭৬ থেকে ২০১৬

জাতীয় শোক দিবস : ১৯৭৬ থেকে ২০১৬

munaemমোনায়েম সরকার: বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর দূরদর্শী ও ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে একটি পরাধীন জাতি পায় স্বাধীনতার স্বাদ। বহু বছরের শোষণ-দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে তিনি গড়ে তুলেন এক সমৃদ্ধিশালী, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। একটি দেশকে ঘিরে, একটি জাতি ও তার ভাষাকে ঘিরে সংগ্রাম করার মতো নেতা পৃথিবীতে বিরল। শেখ মুজিবুর রহমান সেই বিরল নেতা। প্লেটোর লেখায় আদর্শ রাষ্ট্রশাসকের যে সব গুণাবলির কথা উল্লেখ আছে তার মধ্যে সেই সব বৈশিষ্ট্যই ছিল। তিনি রাষ্ট্রদরদি রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন, প্রজাপ্রেমী ও সংস্কৃতিমনা ভাবুক ছিলেন। যে মানুষটি কখনোই একটি বাঙালিকেও অবিশ্বাস করেননি, শত্র“ মনে করেননি, সেই বিশুদ্ধ মনের মানুষটিকে কিছু বিপথগামী নিকৃষ্ট কীট শেষ করে দিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড শুধু একটি হত্যাকাণ্ডই নয়, একটি স্বাধীন, অসাম্প্রদায়িক জাতিকে পরাধীন ও সাম্প্রদায়িক করার পাশবিক চক্রান্তও বটে। আমরা যদি যৌক্তিক বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখবো, একটি জাতিকে পরাধীন করা এবং সেই জাতিকে সাম্প্রদায়িক করে তোলা বর্তমান সাম্রাজ্যবাদের নতুন কৌশল। সুতরাং যারা সাম্রাজ্যবাদী এবং সাম্রাজ্যবাদের ক্রীড়নক তারাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনাকারী হতে হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নকারী পর্যন্ত সকলেই অপরাধী, সকলেই মুজিব হন্তারক।

মুজিব হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ থমকে গিয়েছিল। বজ্রাহত মানুষের মতো হয়ে গিয়েছিল বাংলার শোকাহত মানুষ। ঘনিষ্ঠ স্বজন মারা গেল কোনো কোনো মানুষ বাকরুদ্ধ-কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যান। সেদিন শোকে-দুঃখে পুরো জাতি পাথর হয়ে গিয়েছিল। সেই মৃত পাথরে ধীরে ধীরে আজ প্রাণ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। ’৭৫-এর পর প্রায় অর্ধশতাব্দী কেটে যাচ্ছে এখন মুজিবপ্রেম যাচাই করা অর্বাচীনতা নয়। আজ মুজিব সেনারা সংখ্যায় কত হলো এবং কিভাবে, কতদূর এগুলো, তার শত্র“পক্ষের অবস্থানইবা কেমনÑ তা তুলনা করা দরকার। সেই তুলনা দেখানোর জন্যই আজকের এই লেখার প্রচেষ্টা। এই লেখাকে বাংলাদেশে মুজিবপ্রেমীদের পরিসংখ্যানপত্রও বলা যেতে পারে।

’৭৫-এর ২০, আগস্ট আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর নূরুল আমীন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. ম. আখতারুজ্জামান একটি লিফলেট তৈরি করি। সেটার হেডলাইন ছিল ‘মীরজাফররা হুঁশিয়ার’। আর ভেতরের বক্তব্য ছিল, ‘তোমরা যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সহযোগিতা করবে, তাদের সবংশে নির্বংশ করা হবে,’ লিফলেটের হাতের লেখা ছিল প্রফেসর নূরুল আমীনের। যা হাত মেশিনে ফটোকপি করা হয়।

পরে এই লিফলেট ছাপিয়ে বিলি করা হয়। এই লিফলেটটি আমরা মন্ত্রী, এম.পি, সচিব, ডিসি ও এস.পি-দের কাছে ডাকযোগে পাঠাই এবং তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সে দিনের মতো এমন ভয়াল মুহূর্তে এই কাজটি ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এরপরে কিছু সাহসী যুবকের নেতৃত্বে ‘এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়’ নামে একটি কবিতা সংকলন প্রকাশিত হয়। এই বইটি পরে আমরা ভারতে থাকা অবস্থায় ছাপাই এবং কলকাতা, দিল্লি, লন্ডনসহ বিভিন্ন শহরে প্রেরণ করি। কবি সাহিত্যিকরাই যে জাতির দুঃসময়ে বিভ্রান্ত জাতিকে স্বপ্ন দেখায় ‘এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়’ গ্রন্থটি তারই দৃষ্টান্ত।

১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে ছাত্র-শিক্ষক-জনতার শোক মিছিল যায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে শ্রদ্ধা জানাতে। একই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ওই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়। ১৯৭৭ সালে বাংলা একাডেমি একুশে উদ্যাপন মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে কবি নির্মলেন্দু গুণ কবিতা আবৃত্তি করেন, ‘আমি কারও রক্ত চাইতে আসিনি’।

বঙ্গবন্ধু শহীদ হওয়ার পরে ১৯৭৬ সালে সর্বপ্রথম শোকসভা হয়, লন্ডনের কনওয়ে হলে। সেদিন শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন গাউস খান, রুহুল কুদ্দুস, স্থপতি মাজহারুল ইসলাম, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী প্রমুখ, কিন্তু জিয়ার অনুগত পেটোয়া বাহিনী লন্ডনের সেই সভাকেও পণ্ড করার জন্য হামলা করে, তখন লন্ডন আওয়ামী লীগ সভাপতি গাউস খানের হুংকার শুনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, রুহুল কুদ্দুস ও ড. মতিন চৌধুরীর ছেলেসহ অন্যান্য ছাত্র-যুবা মিলে জিয়ার অনুগত দু:কৃতদের পিটিয়ে হল ছাড়া করে।

এরপর ১৯৭৭ সালে আমরা দিল্লির গান্ধী মেমোরিয়াল হলে শোকসভার আয়োজন করি। এই শোকসভায় ভারতের সকল রাজনৈতিক দলের নেতাই কমবেশি অংশগ্রহণ করেন। এই শোক সভায় বক্তৃতা দেন ইন্দিরা গান্ধীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পি এন হাকসার, বিশ্ব শান্তি পরিষদের সভাপতি রমেশ চন্দ্র, কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি ভি ভি রাজু, জনতা পার্টির নেতা কৃষ্ণ কান্ত (যিনি পরবর্তীতে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন) এবং সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ও লেখক মন্মথ নাথ গুপ্ত। সেদিনের সেই শোকসভা ভারতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে দারুণ সাড়া ফেলেছিল।

১৯৭৯ সাল, তখনও স্বাভাবিক হয়নি বাংলাদেশের রাজনীতি, আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা কেউ জেলে, কেউ স্বেচ্ছা নির্বাসনে কেউবা জেল-জুলুমের ভয়ে পলাতক। প্রফেসর মতিন চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত হয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ। এই পরিষদই প্রথম টিএসসির উন্মুক্ত প্রান্তরে বঙ্গবন্ধু স্মরণে শোকসভার আয়োজন করে এবং খালি পায়ে প্রভাত ফেরি করে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ির রুদ্ধ দ্বারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে। এই ১৯৭৯ সালের শোকসভাতেই বঙ্গবন্ধু পরিষদ বঙ্গবন্ধুর বিশেষ কয়েকটি বক্তৃতার সংকলন ‘বাংলাদেশের সমাজবিপ্লবে বঙ্গবন্ধুর দর্শন’ নামক গ্রন্থ নিউজ প্রিন্টে প্রকাশ করে। বইটির মূল্য ছিল ২৫ টাকা। সেদিন এই বই কেনার মতোও ক্রেতা ছিল নগণ্য।

১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মুজিব আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের ধারা পুনরুজ্জীবিত করতে তার নেতৃত্বে সংগঠিত হয়। নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি খুঁজে পায় শেখ হাসিনার মধ্যে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি মানুষের আবেগ-অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনা দলের হাল শক্ত করে ধরেন। আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতির কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে। এ জন্য বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ৪১ বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। মনে হয় সেদিনের ঘটনা, কিন্তু মাঝখানে ব্যবধান প্রায় অর্ধশতাব্দীর। এই চার দশকের ঘটনা হাতড়ালে অনেক কথাই ভেসে ওঠে মনের কোণে, অনেক স্মৃতিই জেগে ওঠে দু’চোখের পাতায়। বঙ্গবন্ধু শাহাদাত বরণ করার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে মেঘ জমেছিল। ’৭৫-পরবর্তী কালপর্বে এদেশের বুকে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা ছিল নিষিদ্ধ। তবু বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী কিছু মানুষ মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে গোপনে গোপনে চালিয়েছে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা, লড়াই করেছে মুজিববিরোধী শিবিরের সঙ্গে। আজ সেই স্মৃতি হয়তো ইতিহাসের মলিন কাহিনী মাত্র। কিন্তু একদিন এই মলিন স্মৃতিগুলোই ছিল বাস্তব সত্য। আজ যারা উদার, উন্মুক্ত আলোর নিচে দাঁড়িয়ে এই শোকদিবস উদ্যাপন করছেন, তারা হয়তো জানেন না, একদিন কী ভয়ংকর সময় ছিল আওয়ামী লীগের জন্য, কী পরিমাণ হুমকি ছিল বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য। সেই ভয়ংকর মেঘ কেটে গেছে আওয়ামী লীগের আকাশ থেকে, দিন বদলে গেছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন আওয়ামী লীগ তার জীবনের স্বর্ণযুগ পার করছে, চতুর্দিক হতে নতুন নতুন দলছুট নেতাকর্মীরা এসে আওয়ামী লীগে ভিড় জমাচ্ছে। দলের পদ-পদবি পাচ্ছে, কখনো কখনো দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে কেউ কেউ আবার দলের মুখে চুন-কালিও মাখাচ্ছে। আমার মনে হয় আওয়ামী লীগের এই স্বর্ণযুগ আনতে যারা জীবনবাজি রেখেছিলেন আজ তারা অনেকেই মৃত, জীবিতরাও বয়সের ভারে গৃহবন্দি, যেই দুই-একজন এখনো রাজনীতি করছেন, তারাও খুব ভালো আছেন তা নয়, আমি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দেখছি, প্রবীণদের চেয়ে নবীনদের উচ্ছ্বাসই বর্তমানে আওয়ামী লীগে বেশি। এটা নিঃসন্দেহে ভালোদিক, আবার এর একটা খারাপ দিকও আছে। আবেগ আর অভিজ্ঞতার মূল্য কোনোদিনই এক হতে পারে না।

জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী ২১ বছর জেনারেল জিয়া, এরশাদ গং বাংলাদেশের রাজনীতিকে পাকিস্তানি মৌলবাদী ধারায় নেয়ার প্রয়াস শুরু করে তা এখন অনেকটাই অপসৃয়মান। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগকে আরো শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। মূল্য দিতে হবে ত্যাগী নেতাদের, দল থেকে দুর্নীতিবাজদের বিদায় করতে হবে। সাবধান থাকতে হবে দলছুট নেতাদের থেকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল সংগঠন আওয়ামী লীগ, যার আদর্শের মূলে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও কর্ম। কোনো ষড়যন্ত্রের মেঘই তার আলো ম্লান করতে পারবে না। উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা বজায় রাখার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংগঠনকে সৎ ও সক্রিয় নেতাকর্মী সমন্বয়ে গড়ে তুলতে হবে।

উপসংহারে বলতে চাই, এত দিন মুজিবপ্রেম ছিল বাঙালির বাইরে, এখন তা ভেতরে ঢুকতে শুরু করেছে। এটা শুভ লক্ষণ। আগে জাতীয় শোক দিবসে নেতাকর্মীরা মাইক বাজাতো, তোরণ বানাতো আর খিচুড়ি খেতো, এখন এই প্রবণতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রচনা প্রতিযোগিতা, কুইজ ও নানামুখী সাংস্কৃতিক কর্ম। আজ বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর হয়েছে, প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’। তার এবং স্বাধীনতার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হচ্ছে নানা রকম ভাস্কর্য ও স্মৃতিসৌধ, যেমন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গ্লাসটাওয়ার, শিখা চিরন্তন, শেখ মুজিবের জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ইত্যাদি। ’৭৫-এর মুজিব সমাধির যে চেহারা ছিল আজ তা নেই। তার বাড়ির ভাঙা দরজাও আজ বদলে গেছে। এই ছবিগুলো আছে ‘হু কিলড মুজিব’ আর ‘বাংলাদেশের সমাজবিপ্লবে বঙ্গবন্ধুর দর্শন’ গ্রন্থে। ছবিগুলো সে-সময়ে দিল্লিতে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার হাত দিয়েই ‘হু কিলড মুজিব’ গ্রন্থের লেখক এ. এল. খতিব (আবদুল লতিফ খতিব)-এর হাতে পৌঁছেছিল। ছবিগুলো সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমারও কিছু ভূমিকা ছিল। কিন্তু আমাদের শুধু এখানেই তৃপ্তির ঢেঁকুর গিললে হবে না, আরো ব্যাপকভাবে কাজ করতে হবে। মুজিব হত্যাকাণ্ডের পর শেখ মুজিবের বিশ্বস্ত কর্মীরা কেউ মাথায় পাগড়ি বেঁধে ফেরিওয়ালা হয়ে পালিয়ে ছিল, কেউ স্বেচ্ছায় গ্রেফতার হয়েছিল ঘরের মধ্যে বসে থেকে। আমার ভয় হয় আবার যদি পনেরো আগস্টের মতো কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের অবস্থা কি হবে? আমরা কি আবারও পতিত হবো অন্ধকারে? নেতৃত্বহীন প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক আবর্তে? আমরা আশা করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের আদর্শ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও সাংস্কৃতিক শুদ্ধতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে এগিয়ে যাবেন।

১৭ আগস্ট, ২০১৬

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.