রাজপথ উত্তপ্ত, মানুষের বুকে জমানো কষ্ট মায়ের মুখের মিষ্টি কথার উপর নিষেধাজ্ঞা এ কেমন শাসক, মা মাটিকে অপমান অবজ্ঞা! বুকের রক্তে রঞ্জিত রাজপথ,নেই কোন মতামত। মা বলেছিল ছেলেকে” যা বাবা স্নানটা সেরে আয়” গরম ভাত, ডিম, আলু ভর্তা ডাল, সবই তোর প্রিয়, কাঁধে গামছা নিয়ে সেই যে গেলো আর এলো না ভাত বেড়ে কতকাল বসেছিলেন, আসবে বলে কিন্তু আর এলো না! একবুক অভিমানে গেল চলে আজো কেঁদে খুঁজে পিপাসিত আত্মা বিস্মৃতির অতলে। অফিস যাবার সময় পথ আগলে দাঁড়িয়েছিল “আজ না গেলে হয়না” বলেছিল ছোট্ট বোনটা তার গায়ে হলুদ,কেঁদেছিল, তুমি না এলে কিন্ত হলুদ পরব না মেহেদীও লাগাবো না দু হাতে স্মিত হেসে পরম আদরে বলেছিল ভালবেসে হলুদ নিয়ে নিস, মেহেদী আমি পরাবো ফিরে এসে। এসেছিল ফিরে ভাইটি,বুকের তাজা রক্তে এঁকেছিল আলপনা পরম মমতায় সেদিন রক্ত দিয়েই রক্ষা করেছিল মায়ের মুখের বুলি সে দিন সেই মাস, আমরা সবাই কি করে ভুলি? মায়ের অপেক্ষা, বোনের চাওয়া স্মৃতির কাঠগড়ায় সমস্ত বাংগালী আজো ভোলেনি, আজো কাঁদায়। নতুন বৌকে ঘরে রেখে বাজারে গেল আসছি বলে আর আসেনি বাজার নিয়ে,বৌটা চেয়ে থাকে দরজায় কি জানি হঠাৎ এসে যদি বলে” কই গো তুমি কোথায়?” একবুক কান্না দিয়ে, রক্ত ঢেলে,রাখতে ভাষার মান রেখেছিল বাংগালী, উৎসর্গ করেছিল তাজা প্রাণ। ভাষার জন্য এমন ত্যাগ, এমন আত্মাহুতি সারা দুনিয়ায় কোথাও নেই, দেয়নি কোন জাতি, বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি, মিছিলে অগণিত বাংগালী জয় করেছে মায়ের ভাষা বুকের রক্ত ঢালি, বাংলা ভাষায় কথা বলি, বাংলায় লিখি পড়ি কেমন করে ভুলব আমরা রক্তে লিখা ফেব্রুয়ারি? আলোর সারথি, লন্ডন ০১/০২/২০১৯ইং |
Comments are closed.