অনুগল্প: মায়ের ডাইরি

অনুগল্প: মায়ের ডাইরি

একটা সময়ের পর, ছেলেমেয়েরা আস্তে আস্তে বড় হয়ে যায়, শুধু বড়ই হয় না বড় হওয়ার সাথে সাথে মায়ের সাথে দূরত্বটাও যেন বাড়িয়ে দেয় ।

অথচ এই মা যাকে ছাড়া তার এক মুহুর্ত চলতো না একটু চোখের আড়াল হলেই চোখের জলে গাল ভাসিয়ে দিতো সেও একটা সময় বড় হয়ে যায় নিত্য নতুন বন্ধু, সোস্যাল মিডিয়া, চেনা অচেনা মানুষের ভিড়ে একটা প্রিয় মানুষ খুঁজতে ব্যস্ত, ফোন হাতে পেয়ে মাকেই যেন তারা ভুলে যায় এক নিমেষে, 

আর এটা মায়েদের পক্ষে যেটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন, কিন্তু মেনে নিতে পারলে হয়ত সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টি হয় না। তবে কোন মা কি পারে তার যত্নে লালন করা ছেলেটি বা মেয়েটি ভুল পথে চলে যাক , আর এটাই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের সমাজে , সোস্যাল মিডিয়া তে আমরা নিজেকে ভাসিয়ে দিচ্ছি নিজেদের অজান্তেই, যে মা দশ মাস দশ দিন আগলে রেখে জন্ম দিয়েছে আমরা তাঁকেই ভুলে নিজেদের নিয়ে ভাবতে ব্যস্ত , ওই খানিকটা, যে যার মতন থাকতে দিতে হয়। এই প্রজন্ম যেটাকে বলে প্রাইভেসি। আমরা নিজেদের প্রাইভেসি খুঁজতে গিয়ে কখন যে আমাদের মায়ের সাথে দূরত্ব তৈরি করে ফেলেছি নিজেও যানি না ।

মায়েদেরও কিছু অপূর্ণ শখ যেটা সংসার সামলাতে গিয়ে হারিয়ে গেছে মনের অতলে, প্রতিদিন সময়ের কাঁটা যেন নিজ বেগে ছুটে চলেছে, সোস্যাল মিডিয়া তে কিংবা বাস্তবে আমরা যেন হাঁপিয়ে উঠেছি কিন্তু মায়েরা যেন কখনো হাঁপিয়ে পড়ে না

প্রতিদিন এক নিয়মেই যেন চলছে, নিজেদের ব্যস্ততার ভিড়ে হয়তো মাকে জড়িয়ে ধরে ভালোবাসি বলা হয় নি হয়তো যে যার মতো আছি বলেই, 

 তবে পৃথিবীটা সত্যি বড়ই অদ্ভূত যে যেমন করবে সে হয়তো ফলস্বরূপ সেটাই পাবে তবে মাকে জড়িয়ে ধরার মাঝে নতুন করে খোঁজার অদ্ভুত অনুভূতি খুঁজে পাওয়া যায়।

-অর্পিতা ঐশ্বর্য

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.