ওয়ার্ল্ড মুসলিমার মুকুট জিতলেন ওবাবিয়ি

ওয়ার্ল্ড মুসলিমার মুকুট জিতলেন ওবাবিয়ি

মুসলিম সুন্দরি

 

রেহানা আক্তার লুনা : নাজনীন সুলতানা লিজাকে নিযে আমাদের চোট্ট একটা স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু সে স্বপ্ন বাস্তব রূপ পেলোনা। অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিযে ওয়ার্ল্ড মুসলিমার মুকুট জিতলেন কৃষ্ণাঙ্গ সুন্দরী ওবাবিয়ি আয়েশা আজিবোলা। শীর্ষ ২০ সুন্দরীর মধ্যে সেরা সুন্দরীর খেতাব জিতে নিলেন এই নাইজেরীয় তরুণী। বাংলদেশের মেয়ে লিজা এই চূড়ান্ত বিশ প্রতিযোগিনীর একজন।

১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় মুসলিম তরুণীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমা’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। সেরা সুন্দরী হিসেবে যখন ওবাবিয়ির নাম ঘোষণা করা হয় তখন তিনি কোরআন তেলাওয়াত করছিলেন। তার চোখ বেয়ে ঝরছিলো আনন্দ অশ্রু। একটা অনেক বড় প্রাপ্তির আলোকোজ্জ্বল আভা ছড়িয়ে ছিলো মুখমন্ডল জুড়ে। উচ্ছ্বাস-উল্লাস ও করতালিমুখর বর্ণাঢ্য পরিবেশে এই নতুন সুন্দরীকে বরণ করে নেয় উপস্থিত দর্শক-স্রোতারা।

প্রতিযোগিতায় যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন ইন্দেনেশিয়ার নুর আসপাসিয়া ও ইভাওয়ানি এফলিজা।

এখানে একটি দিক বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়া ২০ সুন্দরীর মধ্যে ১৪ জনই ইন্দেনেশিয়ার। অন্যরা বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া,  ব্রুনাই, মালয়েশিয়া ও ইরানের প্রতিযোগী।

‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমা’ প্রতিযোগীয় প্রতিযোগীদের প্রত্যেককে সৌন্দর্য ও ফ্যাশন সচেতনতা এবং ইসলামি জ্ঞানসহ ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।

সেরা সুন্দরী হিসেবে ২১ বছর বয়সী আয়েশা পেলেন ২ হাজার ২শ’ ডলার। এছাড়াও পাচ্ছেন সৌদি আরবে হজ পালনসহ তুরস্ক ও ভারত ভ্রমণের সুযোগ।

বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিযোগি নাজনীন সুলতানা লিজা

বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিযোগি নাজনীন সুলতানা লিজা

আবার আসা যাক আমাদের প্রতিযোগিনী লিজা প্রসঙ্গে- বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ নেয়া ৮০ জন সুন্দরীকে পেছনে ফেলে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের জন্যে মনোনীত হন বাংলাদেশের চট্রগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মেয়ে লিজা। যেখানে সর্বশেষ ২০ জনের মধ্যে থেকে চূড়ান্ত বিজয়ী নির্বাচিত করা হয়। যদিও চূড়ান্ত লড়াইয়ে লিজা দশ জনের মধ্যে স্থান করে নিতে পারেননি।

নাজনিন সুলতানা লিজা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে গত ৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। তার আসা-যাওয়ার খরচ বহন করছেন প্রতিযোগিতার আয়োজকরা। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নাজনিন সুলতানা লিজা জানিয়েছেন, তিনি ‘চেঞ্জিং বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’-নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করেন। সেখানে তিনি সমাজসেবা মূলক কাজ করেন। ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমা’-য় অংশ নিতে গেলে এমন অভিজ্ঞতা থাকাও জরুরি। আসন্ন ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ কিংবা সুন্দরী-সেরা নির্বাচনের আরেক প্রতিযোগিতা ‘মিস ইউনিভার্স’-এর চেয়ে ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমা’-র নিয়মকানুন একেবারে আলাদা। সেখানে দেহপ্রদর্শনীকে অনেকটা মুখ্য করে তোলার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিযোগিতার প্রতিষ্ঠাতা একা শান্তি জানিয়েছেন, এখানে অংশ নিতে হলে প্রতিযোগীকে হিজাব পরতে হবে আর স্মার্ট, ধার্মিক এবং স্টাইলিশ হতে হবে। এসব গুণের প্রমাণ হিসেবে নিজের সম্পর্কে একটা রচনা লিখে পাঠিয়েছিলেন বিশ্বের নানা দেশের মুসলিম মেয়েরা। সঙ্গে ছিল একটা ভিডিও, যাতে প্রতিযোগীরা কোরান তেলাওয়াতের দক্ষতাও দেখিয়েছেন।

 

 

চূড়ান্ত পর্বের প্রতিয়োগিনীরা

চূড়ান্ত পর্বের প্রতিয়োগিনীরা

 

 

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.