কভিড১৯ এবং নিজস্ব কিছু ভাবনাঃ

কভিড১৯ এবং নিজস্ব কিছু ভাবনাঃ

রিপন কুমার দেঃ প্রতি মুহূর্তে যখন কভিড১৯ এর আপডেট এর চিত্র টা চোখের সামনে ভেসে আসে, তখনি বুকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে, বুকটা হাহাকার করে উঠে। পুরো পৃথিবীতে এই মুহূর্তে ৬৮০,০০০ জন মানুষ আক্রান্ত, এবং ৩২,০০০ জন মানুষকে ইতিমধ্যে মৃত ঘোষনা করা হয়েছে। এই ভয়ঙ্কর, কুৎসিত নাম্বার গুলো যখন কেউ দেখে, কোনও স্বাভাবিক মানুষই আর স্বাভাবিক থাকতে পারে না। নিজেকে আরও অসহায় লাগে যখন ভাবি, nanotechnology, micro-electronics এই সব ভারি ভারি বিষয় নিয়ে আমরা কতই না research করি, আর দিনশেষে এই আণুবীক্ষণিক অতি ক্ষুদ্র (২০০ ন্যানোমিটার সাইজ) virus এর কাছে আজ মানবজাতি পরাজিত, পুরো পৃথিবী আজ ধরাশায়ী। তাহলে, আমাদের হন্তা-কন্তা, world leader দের research and development (R&D) এর prirotize field গুলো কি এমন বিষয়ই choose করা ঠিক না, যেখানে পুরো মানবজাতির অস্তিত্ব-টাই নির্ভরশীল?

১। এই কভিড১৯ এর এখন পর্যন্ত যেহেতু কোনও vaccine নাই, Lengthy FDA Approved হয়ে সহসা consumer মার্কেটে আসারও কোনও সম্ভাবনা নাই, তাই এর বিস্তার রোধ করাই এখন সকলের লক্ষ্য । “Stay at home” এই নীতিবাক্যই এখন প্রতিকারের একমাত্র উপায়। “Social isolation” -ই এখন ‘mendatory’ স্তবক/মন্ত্র। কাছের মানুষকেও এখন আর কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না, ‘কিরে দোস্ত’ বলে এক বন্ধু আরেক বন্ধুর কাধে চাপড় দিতে পারছে না। সকলকেই ২ মিটার (৬ ফুট) দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হচ্ছে। এরপরও কি এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব? আমরা সকলে ঘরবন্দি থাকতে চাইলেই কি এটা সম্ভব? আমাদের উদরপূর্তির জন্য কি বাইরে যেতে হচ্ছে না? হাসপাতাল, ফার্মাসি তে emergency situation এ যেতে হয়, কিন্তু খাবারের (গ্রোসারি) এর প্রয়োজন তো সকলেরই। ফুড আইটেম কিনার জন্য কি আমাদের প্রতিনিয়ত বেরুতে হচ্ছে না? তাহলে এই গ্রোসারি স্টোর গুলোতে “Social get-together” এর সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে না? সেদিন একটি গ্রোসারি স্টোর এর আপেল এর স্তূপ এর উপর দেখলাম একজন মহিলা প্রচণ্ড জোরে হাঁচি দিয়ে সরে গেলেন। সেই মহিলা যদি আক্রান্ত হন, তাহলে কি এটি ১০০ টি পরিবার এ চলে গেল না? এই ১০০ কি ২০০ হবে না? একটি ডাল এর প্যাকেট কি সবাই ধরে ধরে expire date চেক করে দেখছে না?  পরশুদিন কানাডার একটি শহরের একটি পরিবার থেকে বলা হয়েছিল, তাদের ৭ জনের পরিবারের কেউই একটি ইন্ডিয়ান গ্রোসারি স্টোর এবং Costo গ্রোসারি স্টোর ছাড়া অন্য কোথাও বের হননি গত তিন সপ্তাহ ধরে। এত নিয়ন্ত্রণ করা সত্ত্বেও তাদের সকলেই আজ আক্রান্ত, একজন বয়স্ক ইতিমধ্যে মারাও গেছেন। একটি statics এ বলা হচ্ছে, গ্রোসারি স্টোর থেকে এখন এক- ত্রিতায়াংশ virus spread হচ্ছে।

এটা কি ভাল হয় না, সকল গ্রোসারি/এজেন্সিয়াল আইটেম এর স্টোরগুলো Front door সম্পূর্ণভাবে shutdown করে দিয়ে “ড্রাইভ থ্রু” (WIndow pickup) অথবা Delivery only ফিচার চালু করা। Open থাকলে তো সেই big scale এ “social get together” এর সুযোগ করে দেওয়া হল। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফোন করে নিকটস্থ  গ্রোসারি স্টোর এ order দেওয়ার পরে দোকান এর কর্মচারীগন বাসায় গিয়ে দিয়ে আসল অথবা pack করে রেখে দিলে, পরে pick up করে নিয়ে আসা হল। গ্রোসারিগুলো items গুলো বাসায় নিয়ে আসার পর, বায়ও ডিগ্রেবল ডিজইনফ্যাক্ট স্প্রে করে দিলে, অথবা ভিনেগার মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে শাকসবজি গুলো রান্না করলেই যথেষ্ট। 

২। বাংলাদেশে -এ কি একটা Online/Apps-based “Self-assesment test” করা যায় না, hotline এর উপর চাপ কমানোর জন্য? কভিড১৯ এর জন্য যেহেতু কোনও এপ্প্রভড treatment নাই, এটা নিরূপণ করার প্রশ্নাবলীও সীমাবদ্ধ, আর hotline এ ফোন করে agent reach করা মুশকিল, তাই এই feature কার্যকরী হতে পারে অসুস্থ রোগীদের চিকিসা সহযোগিতায়। উঠতি বয়সীরা গ্রামবাসীদের technical সয়াহতা দিতে পারে এই ব্যাপারে। “Self-assesment test” এর নমুনা তা হতে পারে এই রকম – এই ধরুন, ১.আপনার সর্দি হয়েছে কিন্তু কাশি নেই। আপনার *করোনা হয় নাই। ২. আপনার সর্দি হয়েছে, কাশি হয়েছে কিন্তু শুকনো কফ হয়নি মানে আপনার *করোনা হয়নি। ৩. আপনার সর্দি হয়েছে, কাশি হয়েছে, শুকনো কফ হয়েছে, কিন্তু জ্বর হয়নি তারমানে আপনার *করোনা হয়নি। ৪. আপনার সর্দি হয়েছে, কাশি হয়েছে, শুকনো কফ হয়েছে, জ্বর হয়েছে কিন্তু জ্বর নেমে গেছে তারমানে আপনার *করোনা হয়নি। ৫.আপনার সর্দি হয়েছে, কাশি হয়েছে, শুকনো কফ হয়েছে, জ্বর হয়েছে কিন্তু জ্বর নামেনি, শ্বাসকস্ট হয়নি তারমানে আপনার *করোনা হয়নি। ৬.আপনার সর্দি হয়েছে, কাশি হয়েছে, শুকনো কফ হয়েছে, জ্বর হয়েছে কিন্তু জ্বর নামেনি, শ্বাসকস্ট হয়েছে তারমানে আপনার করোনা হয়েছে।

৩। আমাদের দেশে অনেক ছিন্নমূল, ভাসমান সবজি বিক্রেতা জীবিকার তাগিদে বাহিরে ঠিকই বের হবে, কারণ তাদের প্রতিদিনের সবজি বিক্রয়কৃত লাভ থেকেই তাদের সংসার চলে, তাদের সবজি আইটেমগুলো কি সরকারি বা স্বেচ্ছা সেবক প্রতিষ্ঠান গুলোর volunteer রা দিগুণ দাম দিয়ে কিনে নিয়ে সুবিধাবঞ্ছিত মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে distribute করতে পারে না?

৪। যারা ঝুঁকিপূর্ণ অথবা virus বহন করতে পারে এমন সম্ভাবনাময় (অর্থাৎ travellers, virus affected family members, etc) মানুষদের হাতে কি তারিখ সম্বলিত সিল (Vote cast করার পর যেরকম সিল দেওয়া হয়) দেওয়া যায় না? যাতে এরাই যখন অন্য কোনও শহরে অথবা হাসপাতাল অথবা বড় কোনও গ্রোসারি স্টোর-এ প্রবেশ করবে চাইবে, তাদের কে যাতে Survellience করার সুবিধা থাকে, অথবা ১৪ দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত যাতে তাদেরকে প্রবেশাধিকার না দেওয়া হয়। অনেক প্রবাসীরা মসজিদ অথবা বড় কোনও জনসমাবেত এ যাওয়ার কারণে ওই এলাকায় ভাইরাস টি অনেক দ্রুত বিস্তার লাভ করতে পেরেছে। এই সুযোগ টি না দেওয়াই সমীচীন। 

নিয়মিত হাত পরিষ্কার করুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.