গির্জা পিরামিড রহস্য উদ্ঘাটনে রোবট

গির্জা পিরামিড রহস্য উদ্ঘাটনে রোবট

গিজা পিরামিডের সাড়ে চার হাজার বছরের পুরনো অমীমাংসিত রহস্যের উদঘাটন করবে একুশ শতকের রোবট। জানা গেছে, গিজা’র পিরামিডের বন্ধ দরজার পেছনের গুপ্তকক্ষটির অমীমাংসিত রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে যৌথভাবে একটি রোবট তৈরি করছে মিসরের সুপ্রিম কাউন্সিল অব অ্যান্টিকুইটি এবং লিডস ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী। সংবাদ মাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, ‘পিরামিড অব খুফু’ নামে পরিচিত এই পিরামিডটি তৈরি হয়েছিল যিশুখৃস্টের জন্মেরও ২৫৬০ বছর আগে। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো স্থাপত্যগুলোর অন্যতম হলেও সাড়ে চার হাজার বছর পরও প্রায় অক্ষত অবস্থাতেই আছে এই প্রাচীন পিরামিডটি।
পিরামিডটির কেন্দ্রে রয়েছে রাজা এবং রাণীর দুটি কক্ষ। দুই স্তরবিশিষ্ট রাজার কক্ষটি থেকে ৪৫ ডিগ্রি কোণে বাইরে বেরিয়ে এসেছে একটি সুড়ঙ্গ। রানীর কক্ষটিও দুই স্তরবিশিষ্ট হলেও সেখান থেকে পিরামিডটির বাইরে বেরুনোর কোনো পথ নেই।
জানা গেছে, ১৯৯২ সালে বিজ্ঞানীরা রাজার কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসা সুড়ঙ্গটিতে দিয়ে একটি ভিডিও ক্যামেরা ঢুকিয়ে আবিষ্কার করেছিলেন যে, সুড়ঙ্গটি একটি লাইমস্টোনের দরজা দিয়ে বন্ধ। ঠিক ১০ বছর পর আবারও গিজার এ পিরামিডের রহস্য উদঘাটনের আশায় মাঠে নামেন বিজ্ঞানীরা। এবারে লাইমস্টোনের সেই দরজাটি ড্রিল করে আবারও একটি ভিডিও ক্যামেরা ভেতরে পাঠিয়েছিলেন তারা। কিন্তু এবারও বিজ্ঞানীদের আশায় জল ঢেলে দিয়েছে সাড়ে চার হাজার বছরের পুরনো পিরামিডটি। লাইমস্টোনের দরজাটি ফুটো করে ভেতরে ভিডিও ক্যামেরা পাঠানোর পর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন ঠিক আট ইঞ্চি দূরেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আরও একটি দেয়াল। তবে এবারে দীর্ঘদিনের শ্রম আর অপেক্ষার ফল শিগগিরই পেতে যাচ্ছেন বলেই আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন রোবটটির সাহায্যে দেয়ালটি ফুটো করে ভেতরে রহস্য উদঘাটন করতে পারবেন বলেই মনে করছেন তারা। বিজ্ঞানীরা ওই দরজাটির পরই সুড়ঙ্গটি শেষ হয়েছে বলে মনে করছেন।
আর সুড়ঙ্গটির শেষ মাথায় না পৌঁছানো পর্যন্ত এ অভিযান চালিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছেন ‘দ্য লিডস ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর গবেষক ডক্টর রবার্ট রিচার্ডসন। এ প্রসঙ্গে ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট’-কে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে ডক্টর রিচার্ডসন বলেছেন, ‘আমরা এ প্রজেক্টটি নিয়ে পাঁচ বছর ধরে কাজ করছি। আমরা রোবটটিকে তৈরি করছি এবং আশা করছি, এ বছরের শেষে কাজ শুরু করতে পারব। এটা খুবই বিপজ্জনক একটি কাজ। পিরামিডটির কোনো ক্ষতি যেন না হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখব। আমরা কি আবিষ্কার করতে যাচ্ছি! সে সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণাই নেই। তবে আমাদের প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়ার আগ পর্যন্ত কাজ করে যাব আমরা।’

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.