(উৎসর্গ/প্রজন্ম চত্বরের তরুণযোদ্ধাদের)
বিষাদে ছিলো জাতি— হতাশ নিরুপায়
নেতারা টাকা গোণে— ত্রস্ত ভীরু পা-য়
ঘাতক কাদেরের— ‘বিজয় চিহ্ন’
জাতির বক্ষ— ছিন্নভিন্ন
খুনি কি ছাড়া পেলো?—জানি না জানি না
আজব এই রায়—মানি না মানি না…
অচেনা ছেলেমেয়ে—সহসা জুটিলো
সেদিন শাহবাগে—কুসুম ফুটিলো
একটি দুটি করে—হাজারে লক্ষে
মানুষ ছুটে এলো—ওদের পক্ষে
মোমের আলো হাতে—মশালে অগ্নি
এসেছে জননীরা—এসেছে ভগ্নি
যুদ্ধাহত যাঁরা—তাঁরাও আসিলো
প্রাণের ধ্বনি ‘জয়—বাংলা’ ভাসিলো
স্লোগানে প্রতিবাদে— উঠিলো ক্ষেপিয়া
আগুন ছড়ালো যে—বিশ্ব ব্যাপিয়া
এ রায় তামাশার— এ রায় মানি না
নতুন রায় চাই—কী করে? জানি না।
খুনির ফাঁসি চাই— কেবলই ফাঁসি ফাঁসি
সোনার বাংলাকে—আমরা ভালোবাসি।
গিয়েছে তাজা প্রাণ—ঝরেছে রক্ত
তরুণ যদি জাগে—থামানো শক্ত
আপিলে কাদেরের—আখেরে হলো ফাঁসি
দেশ ও স্বাধীনতা—আমরা ভালোবাসি।
খুনি ও ধর্ষক—কাদের, ঘৃণ্য!
আর কি দেখাবি রে—বিজয় চিহ্ন?
কোথায় গেলো তোর—সঙ্গি সাথীরা?
ঘাতক সহযোগী—পুতি ও নাতিরা?
শাবাশ শাহবাগ—হেঁইও হেঁইও
কোথাও নেইও—কোথাও নেইও…
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩