আমরা ভাবতে পারিনি, বিশ্বব্যাপী এতো পাঠক ‘সময়ের কথা’ নতুন সংখ্যার জন্য এতোটা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন। মাত্র চারটি সংখ্যা প্রকাশের মধ্য দিয়ে গোটা দুনিয়ার বাংলা ভাষাভাষি মানুষের হৃদয়ে এতোটা সুবিস্তৃত জায়গা করে নিয়েছে সদ্য জন্মজাত পত্রিকাটি!
নির্ধারিত তারিখের একদিন পর সময়ের কথা’র এ সংখ্যাটি প্রকাশিত হলো। এই একটি দিন বিলম্বের কারণ জানতে চেয়ে ইতিমধ্যে প্রায় তিন শতাধিক পাঠক আমাদের কাছে মেইল করেছেন।
সুহৃদ পাঠক, এ বিলম্বের কারণ ছিলো অকস্মাৎ গড়ে ওঠা একটি প্রতিকুলতার দেয়াল। সম্পাদককে হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি হতে হলো হাসপাতালে।
সৃষ্টিকর্তার অশেষ ইচ্ছেয় সে শক্ত বাঁধার দেয়াল ডিঙ্গিয়ে অবশেষে পাঠকদের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হলাম সময়ের কথা’র পঞ্চম সংখ্যাটি। আর যার কারণে কিছুটা ক্রুটি-বিচ্যুতিও হয়তো থেকে গেলো সংখ্যাটিতে। আশা করি সুহৃদয় পাঠকরা সেটুকু ক্ষমা সুন্দর চোখেই দেখবেন।
আমরা আমাদের কোনো কিছুই পাঠকদের থেকে আড়াল করতে চাইনা; কেননা আমরা বরাবরই মনে করি, এবং বিশ্বাস করি, পাঠকরাই আমাদের বড় আশির্বাদ এবং পাঠকদের কাছেই আমরা সব থেকে বেশী দায়বদ্ধ। সময়ের কথা পরিবারের সবচেয়ে বড় সন্মানিত সদস্যরা হচ্ছেন আমাদের পাঠকরা।
যদিও একটা শক্ত প্রতিকুলতার দেয়াল ছিলো তারপরও মনে করছি, সংখ্যাটি সার্বিক বিচারে সুন্দর হয়েছে। বাকি রায়টুকু পাঠকদের জন্য তোলা রইলো।
পরিশেষে, নিউইয়র্কের একজন তরুণ পাঠক তানজিনার ই-মেইলে পাঠানো আবেগঘন দীর্ঘ পত্রের কিছু অংশের উদ্ধৃতি দিয়ে শেষ করবো আজকের ছোট্ট সম্পাদকীয়টা। তানজিনা তার পত্রের এক জায়গায় লিখেছেন, ‘আজ ভাবতে অবাক লাগে, মাত্র তিনটি সংখ্যা পড়েই আমি কতোটা প্রেমে পড়ে গিয়েছি সময়ের কথা’র। একটি সংখ্যা পড়ার পর, আর একটি সংখ্যার জন্য অপেক্ষার সময় যেনো গড়াতেই চায় না। কেনোনা এমন পত্রিকা এই প্রবাস জীবনে কখনোই দ্বিতীয়টি চোখে পড়েনি। এভাবে কোনো পত্রিকাই অন্তত আমার মন কাড়তে পারেনি। আর তাই তো কখনো কখনো মনে হয়, কেনো সময়ের কথা প্রতিদিনই একটি করে সংখ্যা প্রকাশ করে না। সত্যিই প্রেমে পড়ার মতোই একটি পত্রিকা হচ্ছে ‘সময়ের কথা’। আশা করি আমার সাথে অনেক পাঠকই আজ একমত হবেন।’
তানজিনার কথাগুলো কতোটা ভালোবাসা আর আবেগসিক্ত সেটা বোধকরি আর ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না।
আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার রোগমুক্তির জন্য আপনাদের দোয়া প্রার্থী। আমার জন্য দোয়া করবেন।
সুহৃদ পাঠক, সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
-মাহাবুবুল হাসান নীরু
ক্যালগেরি, কানাডা।