নীনা দাভুলুরি মিস আমেরিকা

নীনা দাভুলুরি মিস আমেরিকা

আমেরিকা

তার এ সাফল্য মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে অনেক আমেরিকানের। তার যেনো কোনোবাবেই মেনে নিতে পারছেন না যে, আমেরিকা জুড়ে সাদা সুন্দরীদের টেক্কা দিয়ে একটি ইন্ডিয়ান মেয়ে কি করে জয় করে নিলো আমেরিকার খেতাব!

হ্যাঁ পাঠক, বলছিলাম ভারতীয় বংশোদভুত নীনা দাভুলুরির কথা। যিনি সদ্য সমাপ্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুন্দরীদের প্রতিযোগিতায় মিস আমেরিকার মুকুট পরেছেন।

প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ইন্দো-মার্কিন কোনো নারী এই মুকুটটি জয় করলেন। আর তাতেই সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট টুইটারে ছড়িয়ে পড়ছে নানা সামপ্রদায়িক মন্তব্য। এটাকে অনেকেই ‘বিচারকদের অন্যায়’ বলতেও পিছপা হচ্ছেন না।

বস্তুত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সিরাকুজের বাসিন্দা নীনা দাভুলুরি। ১৫ সেপ্টেম্বর আটলান্টা সিটিতে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতাটির গ্র্যান্ড ফিনালেতে সাবেক মিস আমেরিকা ম্যালোরি হেগেনের কাছ থেকে আমেরিকার সেরা সুন্দরীর মুকুট গ্রহণ করেন নীনা।

দেশটির ৫০ টি অঙ্গরাজ্য থেকে ৫৩ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। নীনা ‘সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বৈচিত্র্য উদযাপন’ বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রতিযোগিতার একটি অংশে ভারতীয় নাচেও অংশ নেন, যাতে বলিউডের ছাপ ছিল।

অবশেষে সবাইকে টপকে সেরাদের মুকুটটি লাভ করেন নীনা। পুরস্কার হিসেবে তিনি পাবেন ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। জয়ের পরই টুইটারে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়। শ্যান ম্যাককান নামের একজন টুইটারে লিখেন, মিস আমেরিকা না কি মিস আল-কায়েদা?

কেউ কেউ আবার বিচারকদের বিচার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বিচারকদের আল-কায়েদা প্রভাবিত করেছে বলেও মন্তব্য করা হয়। একজন বলেন, মিস আমেরিকা হতে চাইলে তোমাকে আমেরিকান হতে হবে।

টুইটারে আরো অনেকেই অনেকরকম মন্তব্য করেছেন। তাদের মধ্যে, কারো মত হচ্ছে : ,‘মিস নিউইয়র্ক একজন ভারতীয়! এই হল আমাদের আমেরিকা!’

কারো ভাষায় :  ‘আমি শপথ করে বলতে পারি, আমি বর্ণবাদী নই। কিন্তু এটাই আমেরিকা!’

কেউ বলেছেন :  ‘চারদিন আগেই হয়ে গেল নাইন ইলেভেন। আর সে (নীনা) হয়ে গেল মিস আমেরিকা?’

কারো মন্তব্য : ‘এবার হয়তো আরবরাও মিস আমেরিকা হবে। অদ্ভূত!’

অন্যদিকে, খেতাব জয়ের পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, “আমি দারুণ খুশি যে, শেষ পর্যন্ত আমেরিকা জনগণের মধ্যকার বৈচিত্র্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমি দারুণ কৃতজ্ঞ আয়োজকদের প্রতি।’’

অনলাইনে তাকে নিয়ে এমন বর্ণবাদী মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনো প্রতিবাদ ব্যক্ত করেননি নীনা। তবে তিনি বলেছেন, “ওইসব মন্তব্য নিয়ে আমি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছি না। কারণ, আমি সবসময়ই সবার প্রথমে নিজেকে একজন আমেরিকান হিসেবেই পরিচয় দিয়ে এসেছি।”

মন্তব্যকারীদের এটাও ভাবা উচিত যে, যারা তাঁকে সুক্ষ্ণ বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে মিস আমেরকিার মুকুটটি পরিয়েছেন তারা কিন্তু আমেরকিানই।

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.