ভালো থাকার লড়াই

ভালো থাকার লড়াই

তুমি কি মাঝে মাঝে নিজেকে অক্ষম মনে করো, মনে করো গোটা পৃথিবী একদিকে আর তুমি অন্য দিকে, 

সময়ের সল্পতায় কি সব কিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে 

নিজেকে আজ সব কিছুর থেকে হারিয়ে নিতে ইচ্ছে করছে,  মরে যেতে ইচ্ছে করছে 

তাহলে আজকের আমার এই লেখা তোমার জন্য …..

ধরো তুমি  রান্নার জন্য চাল , ডাল আরো সব কিনে এনেছো কিন্তু লবণ আনতে ভুলে গেছো , এদিকে তোমার প্রচন্ড খিদে পেয়েছে তুমি কি আদো না খেয়ে থাকবে নাকি যে করে হোক যেখান থেকে হোক লবণ নিয়ে এসে রান্নার কাজ শুরু করে দিবে ? 

ঠিক তেমনি ভাবে তুমি কিংবা আমি কেউই নিজেকে আড়াল করে রাখতে জন্ম নেই নি বা হেঁড়ে যাওয়ার জন্য জন্ম নেই নি তাই নিজেকে কোনোদিনও অক্ষম মনে করো না। 

দেখো আমরা প্রতি প্রত্যেকটা মানুষ কিছু বিশেষ কাজের জন্য ব্রতী এবং কিছু বিশেষ কাজের জন্য জন্মগ্রহণ করেছি।

মহান আল্লাহ্ তালা তোমাকে মানুষ হিসেবে শুধু পাঠিয়েছেন শুধু তাই নয় উনি তোমাকে তোমার জন্য রেখেছেন বিশাল সমাহার তাই 

তোমার কোনো কাজে অক্ষমতা এটা প্রকাশ করে না যে তুমি সব কাজেই অক্ষম। 

হতে পারে তুমি আর পাঁচটা লোকের মতো নও 

হতে পারে তুমি  সবার মতো সবার মানসিকতায় পড়ো না। 

কিন্তু তার মানে এটা প্রমাণ হয় না যে তুমি  মানসিক ভাবে স্বাভাবিক নও বা তুমি  মানসিক ভাবে অক্ষম।

ভিন্ন মানুষের ভিন্ন মতামত, সবার দৃষ্টিভঙ্গিও সেক্ষেত্রে আলাদা আলাদা। তাই সবসময় মনে রাখবে যে তুমি তোমার মতো, আর তোমার মতো কেউ দ্বিতীয় হওয়াটা যেমন কঠিন অথবা বিরল,

ঠিক তেমনি তোমার মতো হয়ে তোমাকে কেউ বুঝে নেওয়াটাও খুব কঠিন। কারণ ওই যে বললাম সবার মতামত আলাদা, তাই সবাই যে তোমাকে তোমার মতো করে বুঝে নেবে সেটা খুব অস্বাভাবিক যুক্তি। সেই অস্বাভাবিক যুক্তি থেকে একটু বেরিয়ে এসো।

সময় সাপেক্ষে অথবা পরিস্থিতির উপরও কিন্তু আমাদের মানসিকতা এবং অক্ষম-সক্ষমতার প্রকাশ পায়। অনেক সময় হতে পারে তুমি  তোমার  মানানসহী কোনো কাজ পেলে সেখানে কিন্তু তুমি  সক্ষম।

কিন্তু যদি একই জায়গায় তুমি  হয়তো এমন এক পরিস্থিতির শিকার হলে যেখানে কিছুতেই তুমি  মানিয়ে নিতে পারছো না তখন কিন্তু তুমি সেখানে অক্ষম।

হয়তো এখন ভাবছো  “আমাকে কেউ নিজের মতো করে বুঝে না” এই উক্তিটি করার আগে একবার ভাবুন তো আমি তো আমার নিজেকে বুঝে উঠতে পারছি; তাহলে কেনো বলছি যে আমাকে বোঝার মতো কেউ নেই।

আমিও তো একটা মানুষ, আমার পাশে তো আমি দাড়িয়ে আছি, সেটাই কি কোনো একটা জায়গায় গিয়ে যথেষ্ট নয়! তবে যাইহোক, সবসময় নিজের পাশেও নিজে দাড়াবো আর চেষ্টা করবো সবাইকে কিছুটা হলেও সবার মতো করে মানিয়ে নিয়ে চলা। এটাই সবার করা উচিৎ।

এটা শুধুমাত্রই একটা সময়ের উপর দাড়িয়ে আছে মনে রাখবে। সেটা নিয়ে মন ভারী করার কোনো সেরকম বৈধ কারণ নেই। আবার বিভিন্ন সময় দেখা যায় মানুষ কিছু পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে না নিতে পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে দিতে বাধ্য হন। ভেবে দেখুন আত্মহত্যা কি সত্যি কোনো সমাধান?

না আত্মহত্যা কোনো সমাধান কোনদিনও হতে পারে না, এতে আরোও প্রমাণ হয় যে তুমি কতটা আসলে ভীতু এবং অক্ষম। তুমি নিদৃষ্ঠ কিছু সময়ের শিকার অথবা নিদৃষ্ঠ কোনো এক পরিস্থিতির শিকার। তাহলে কেনো তুমি এই জীবন ত্যাগ করার সিদ্ধান্তে আসছো,

কেনো বুঝতে চেষ্টা করছো না যে আমি এই সময় থেকে মুক্তি চাই, গোটা জীবনটা থেকে নয়।

চেষ্টা করো সেই সময়কে ভালো করার, সেই সময়ের সাথে নিজেকে তৈরি করে নেওয়ার, ভালো দিন নিশ্চয়ই একদিন তোমারও আসবে, কিন্তু তার জন্য যে বহুপথ লড়ে যেতে হবে। তাই ব্যার্থতা, অক্ষমতা, এগুলোকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেবে না। এসব আসবেই জীবনে, আর যেমন ভাবে এগুলো আসবে ঠিক তেমনি কিন্তু তোমার দিনও একদিন আসবে।

তুমি যেটাতে মানানসহী সেই পরিস্থিতিও একদিন নিশ্চয়ই আসবে, তখন নাহয় নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করে নিও। মনে রাখবে, সময় বদলায়, সবার একদিন সময় আসবেই। অপেক্ষা করো, অপেক্ষাতেই ভালো বস্তু পাওয়া যায়। নিজের দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করো,

নিজেকে ভেঙে ফেলার আগে মনে রেখো তুমি কিন্তু নিজেকে তৈরি করোনি, তাই তোমার কোনো অধিকার নেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার। হ্যাঁ জীবনটা তোমার তাই তোমার অধিকার আছে তোমার জীবনকে তোমার মত করে সাজিয়ে গুছিয়ে মানিয়ে তুলে নেওয়ার।

নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্বটা তোমার নিজেরই। অন্যের তোমাকে বোঝা বা না বোঝার মধ্যে তুমি আসতে যেও না। তুমি নিজেকে নিজের মতো বুঝে মানিয়ে চলো জীবনের শেষ বিন্দু সময় অব্দি। এই অনেক! তোমাকে লড়াই করে যেতে হবে শেষ পর্যন্ত তাই হতাশ হয়ে নিজেকে শেষ করে দিও না 

ভালো থেকো সবসময়  …

মন খুলে হাসতে থাকো , জীবন সুন্দর ।

– অর্পিতা ঐশ্বর্য কামাল কাছনা রংপুর ।।

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.