রিবেরু সামাদ
নতুন প্র্রেমে মজেছেন বিশ্ব টেনিসের লাস্যময়ী ললনা মারিয়া শারাপোভা। তবে অনেকটা গভীর জলেই সাঁতার কাটছেন তিনি। সম্প্রতি একটি ফ্যাশন শোতে অংশ নিয়েছিলেন চারবারের গ্র্যান্ডস্লাম বিজয়ী এই টেনিস তারকা। সেখানে তাঁর অনামিকায় দেখা গেছে একটি এ্যানগেজমেন্ট রিং। এটি কি তাঁর বিয়ের আংটি কিনা, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে কেবল হেসেছেন লাস্যময়ী শারাপোভা। কোন জবাব দেননি। এতে করে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে আরও।
বুলগেরিয়ান টেনিস খেলোয়াড় গ্রিগর দিমিত্রোভের সঙ্গে রোমান্স করছেন রুশ টেনিস তারকা মারিয়া শারাপোভা, সেটা কোনো নতুন খবর নয়। এখন তরতাজা খবর হচ্ছে, গ্রিগরকে কবে বিয়ে করছেন তিনি। এখন সবার মনে সে প্রশ্নটিকে ঘিরেই ছড়িয়ে পড়েছে কৌতুহল।
প্রেমিক সেস্তাভিনিয়ান বাস্কেটবলার সাশা ভুয়াচিচের সঙ্গে সম্পর্কের অবসান ঘটে যাবার পর কিছুদিন একাই ছিলেন ২৬ বছর বয়সী শারাপোভা। অবশ্য তাকে খুব একটা বেশীদিন একা থাকতে হয়নি। আর এমন সুন্দরীদের একা খুব বেশিদিন থাকারও উপায় নেই।
এরই মাঝে খুঁজে নিলেন টেনিস কোর্টেরই আর এক তারকাকে। নোভাক জোকোভিচের মাধ্যমে যা সাথে পরিচয়। এরপর শুরু প্রেমপর্ব।
নাম গ্রিগর দিমিত্রোভ। বুলগেরিয়ান। খেলার ধরন অনুযায়ী ইতোমধ্যেই তাঁর খেতাব হয়ে গেছে ‘বেবি ফেদেরার’। তবে শারাপোভা শুরুতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন ঘুণাক্ষরেও যেন বিষয়টি কেউ জানতে না পারে। কিন্তু যখন জানাজানি হয়ে গেল, তখন বলেছেন, এটা প্রেম নয়, স্রেফ বন্ধুত্ব!
তবে যত যাই বলুন, এত সহজে যে সবার চোখে ধুলো দেয়া যাবে না, এটা শেষ পর্যন্ত বুঝতে পারেন শারাপোভা। আর তাই সংবাদমাধ্যমে দেন প্রেমের স্বীকারোক্তি! সেখানে তিনি বলেছেন, ‘গ্রিগর বয়সে আমার চেয়ে ছোট (২২) হলেও ও যথেষ্ট ম্যাচিউরড। মনে হচ্ছে আমার নিজের বয়সও অনেক কমে গেছে। ওকে পেয়ে আমি সুখী। পৃথিবীটা অনেক রঙ্গিন মনে হচ্ছে। ওর সঙ্গে রোমান্স করতে পেরে আমি এখন মানসিকভাবে অনেক চাঙ্গা। জীবনটা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর ও অর্থপূর্ণ।’
যুক্তরাষ্ট্রের এনবিএ বাস্কেটবল লীগের সাড়া জাগানো তারকা খেলোয়াড় সাশা ভুয়াচিচের সঙ্গে শারাপোভার কয়েক বছরের প্রেমের সম্পর্কের অবসান ঘটে গত গ্রীষ্মে। ছাড়াছাড়ির কারণ সম্পর্কে শারাপোভার ব্যাখ্যা ছিল, দুজনের ভিন্ন পেশা এবং ব্যস্ত শিডিউলের কারণে পরস্পরকে সময় দিতে না পারা। বছরের চতুর্থ ও শেষ গ্র্যান্ডস্ল্যাম টেনিস আসর ‘ইউএস ওপেন’ শুরুর আগে ডান কাঁধে চোটের কারণে এই গ্র্যান্ডস্ল্যাম টুর্নামেন্ট থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন এ রুশ তারকা। আগামী কয়েক সপ্তাহ কোথাও না খেলে উপযুক্ত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাবেন বলে শারাপোভা জানান। ২০০৮ সালেও ইউএস ওপেন খেলতে পারেননি তিনি। তখনও তাঁর ডান কাঁধে চোট ছিল। এ ছাড়া একই সমস্যায় অংশ নিতে পারেননি ২০০৯ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও।
উইম্বলডনে দ্বিতীয় রাউন্ডে বাদ পড়ার পর সিনসিনাটি মাস্টার্সেও দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরে যান। এর পর কোচ জিমি কর্নসকে ছাঁটাই করেন চারবার। ইউএস ওপেন চলাকালে নিজের ব্র্যান্ডের প্রচারে নাম পাল্টে ‘সুগারপোভা’ রাখার পরিকল্পনাও করেছিলেন। কিন্তু এর জন্য যথেষ্ট ঝক্কি-ঝামেলা পোহানোর কথা বিবেচনা করে শেষে সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। বছরের শেষ গ্র্যান্ডস্ল্যামে খেলতে না পারলে কী হবে, নিজের কোম্পানি সুগারপোভা নিয়ে বেশ ব্যস্তই আছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এ মহিলা এ্যাথলেট। সম্প্রতি সুগারপোভার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্প্রতি নিউইয়র্কে সুগারপোভা এক্সেরি কালেকশন উদ্বোধন করেন তিনি। ব্র্যান্ডের প্রসারে জাপান ও চীন সফর করারও কথা রয়েছে তাঁর।
তবে সব থেকে বড় কথা, টেনিস নয়, তার ব্যবসাও নয়, এখন সকলের দৃষ্টি এই রুশ কন্যার অনামিকার আংটির ভবিষ্যত কি?