সফলতার জন্য ভালো চিন্তা

সফলতার জন্য ভালো চিন্তা

জীবনে সফলতা হচ্ছে ব্যর্থতা কীভাবে মোকাবিলা করা হয় সে বিষয়টি বোঝা। বিকাশমান মানসিকতার মানুষ এভাবেই ব্যর্থতাকে গ্রহণ করে।

তাঁদের কাছে ব্যর্থতা হলো তথ্য। এটাকে ব্যর্থতা হিসেবে লেবেল লাগানো হয় মাত্র। বিকাশমান মানসিকতার ব্যক্তির কাছে সমস্যা সমাধানের ভিন্ন পথে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ। সহজ হিসেবে সাধারণ বুদ্ধি আত্মবিশ্বাসী হতে উৎসাহ জোগায়।

কিন্তু জীবনের সিদ্ধান্ত নির্ণয় করার ক্ষেত্রে কীভাবে বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবেন তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিকাশমান মানসিকতার ব্যক্তিরা এসব বিপত্তি খোলামনে স্বাগত জানান।
সবার জীবনেই কঠিন সময় আসতে পারে।

তাই বলে নিজেকে পুরোপুরি অসহায় ভাববেন না। অসহায়ত্বের অনুভূতিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন, সেটাই আসল পরীক্ষা। এটা থেকে কিছু শিখতে পারেন এবং সামনে এগিয়ে যেতে পারেন। তা না হলে আরও করুণ অবস্থায় পড়ে যাবেন।

অনেকেই অসহায় অবস্থা থেকে নিজেকে সফলতার শীর্ষে নিয়ে গেছেন।
একজন সফল মানুষ নিরলসভাবে তাঁর অনুভূতি অনুসরণ করে থাকেন।

প্রাকৃতিকভাবে কেউ হয়তো আপনার চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান হতে পারে। কিন্তু বুদ্ধিতে আপনার ঘাটতি থাকলে তা আবেগ দিয়ে পূরণ করতে পারেন। যাঁরা সফল হয়েছেন,

তাঁরা আবেগের কঠোর সাধনা করে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসেছেন।
বিকাশমান মানসিকতার ব্যক্তিরা জানেন, তাঁরা সময়-সময় ব্যর্থ হতে পারেন। তবে তারা ফলের আশা করতে ছাড়েন না।

ফলের প্রত্যাশা থাকার অর্থ নিজেকে অনুপ্রাণিত রাখা এবং সফলতার চক্রে জ্বালানি জোগানো। যদি ভালো ফলের আশা না থাকে তবে কেন এত কিছু করার তাড়া থাকবে?
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সবাই সাফল্যের দেখা পেতে চায়; কিন্তু, কজনাই বা সেই সাফল্যের স্বর্ণতোরণে পৌঁছাতে পারে?

খুব সামন্য কজন, তা নায় কি? কিন্তু কেনো? সবাই তো মানুষ, যে সাফল্যের স্বর্ণতোরণে পৌঁছায় সে তো আর ভিন গ্রহের কেউ নয়! বা নয় ঐশ্বরিক শক্তি প্রাপ্ত কেউ।

সূত্রঃ গুগল

তাহলে সফলতা পেতে হলে কি কিছু গুণাবলি অর্জন করতে হয়? হ্যাঁ, সফলতা পেতে হলে কিছু গুণাবলি অবশ্যই অর্জন করতে হয়।

যদি মনের মাঝে বিশ্বাসই না থাকে যে আমি পারবো, তাহলে কিন্তু বিপদ। দেখা যাবে, সঠিক আত্মবিশ্বাসের অভাবে নিজের সবটুকু সামর্থ্য দিয়েও কাজে ব্যর্থ হতে হবে।

তাই, সবসময় ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখতে হবে। দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে যে, ‘আমি যেভাবে চিন্তা করি, সেভাবেই সবকিছু পরিবর্তন করতে পারবো।

গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, যারা এই ধরনের ইতিবাচক মনোভাব ধারণ করে ।

কোন ব্যাপারে হুট করে কিছু সিদ্ধান্ত নিলে পরবর্তীতে আমাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হলেও সেই ঘটনাটি সম্পর্কে আমাদের আগের মনোভাবে কোন পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়ে উঠে না।

তাই, কোন কিছু নিয়ে উপসংহারে পৌঁছাতে চাইলে আগে প্রমাণ দেখতে হবে, যুক্তি দিয়ে মিলিয়ে সবকিছু বাছবিচার করে তবেই নিজের মতামতকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।


তবেই সফলতা আসবেই ।

● অর্পিতা ঐশ্বর্য , কামাল কাছনা রংপুর ।

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.