সাক্ষাৎকারে ভিসি, চট্রগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয়

সাক্ষাৎকারে ভিসি, চট্রগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয়

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান পেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থীর সামনে সীমিত সুযোগ আর রাজনৈতিক অস্থিরতার দোলাচল। এই প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো. আনোয়ারুল আজিম আরিফ এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘গণতন্ত্র ও সুশাসনের পূর্বশর্ত সুশিক্ষা, যা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক হানাহানি ও দলীয় স্বার্থচিন্তাকে অবশ্যই শিক্ষাঙ্গনের বাইরে রাখতে হবে।’

সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন নওরীন নাতাশাvc-2

 

প্রশ্ন: বাংলাদেশে বিরাজমান উচ্চশিক্ষা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির মহাসমর নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা চিন্তিত। কিভাবে উচ্চশিক্ষার সুযোগকে সবার মধ্যে সম্প্রসারিত করা যায়।

উত্তর: বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সাম্প্রতিক সময়ে সীমিত পরিসর থেকে ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের শাসনামলে অনেকগুলো পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে কলেজগুলোও উচ্চশিক্ষা বিস্তারে কাজ করছে। অনেকগুলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে। এতে উচ্চশিক্ষাঙ্গনে ভর্তির বেশ কিছু সুযোগ উন্মোচিত হয়েছে। তবে দেশের জনসংখ্যার দিক এবং চাহিদার প্রসঙ্গটি মনে রেখে এ সুযোগ আরও বাড়ানো দরকার। এ পরিস্থিতিতে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের দিকে নজর দিচ্ছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আসন বৃদ্ধি, নতুন বিভাগ স্থাপন, আবাসিক হল নির্মাণসহ  বিভিন্ন দিক দিয়ে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি অধিক হারে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিতে।

 

প্রশ্ন: বিগত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হরতালসহ রাজনৈতিক কারণে বার বার বাধাগ্রস্থ হয়।  দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও এমন পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আপনারা কি পদক্ষেপ নিয়েছেন?

উত্তর: এ কথা সত্যি যে, স্বার্থবাদী দলীয় রাজনৈতিক কারণে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় হরতালজনীত সমস্যায় বার বার রুটিন পরিবর্তন করতে হয়েছে। এজন্য লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীকেও যথেষ্ট বিব্রতকর পরিস্থিতি ও ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। এমন কি, রেজাল্টের ক্ষেত্রেও এসব অনাহুত সমস্যার কারণে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সময় পরিস্থিতি শিক্ষানুকূল থাকবে। রাজনীতিবিদগণকে এটা মনে রাখতে হবে যে, গণতন্ত্র ও সুশাসনের পূর্বশর্ত সুশিক্ষা, যা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক হানাহানি, সংঘাত ও দলীয় স্বার্থচিন্তাকে অবশ্যই শিক্ষাঙ্গনের বাইরে রাখতে হবে। আমরা মনে করি, দেশের শিক্ষা, অর্থনীতি ও জন-জীবনের নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য সকল রাজনৈতিক শক্তিকে এমন একটি ঐকমত্যে উপনীত হবে, যাতে ক্ষুদ্র স্বার্থচিন্তা বা দলীয় প্রয়োজনে শিক্ষা, সমাজ ও অর্থনীতিকে জিম্মি করা না হয় এবং সর্বক্ষেত্রে জনমানুষের সুবিধা ও জাতীয় স্বার্থের বিষয়টি প্রাধান্য পায়।

 

প্রশ্ন: বিসিএসসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ শোনা যায়। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাছাই করার ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?

উত্তর: এটা খুবই আশার কথা যে, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত গোপনীয়তা, নিরপেক্ষতা ও পক্ষপাতহীনতা বজায় রেখে কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হয়, যাতে কারও পক্ষেই বিন্দুমাত্র প্রভাব বিস্তারের  কোনও সুযোগ নেই। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ যোগ্য ও প্রকৃত মেধাবীদের উচ্চশিক্ষাস্তরে ভর্তির জন্য নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এই প্রত্যয়ের কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থী বাছাই করার প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে এবং সকল শিক্ষকের নানা পর্যায়ের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অত্যন্ত স্বচ্ছ, নিয়মতান্ত্রিক, আইননানুগ ও নিরপেক্ষতার মাধ্যমে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে কখনও কোনও অনিয়মের অভিযোগ শোনা যায় নি।  ভর্তি পরীক্ষার পবিত্রতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অতীতের মতো এবারও আমরা সর্বত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছি।

ভিসি-১

প্রশ্ন: উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব কি কেবল পাঠদান?

উত্তর: উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব কেবলমাত্র পাঠদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। জাতির প্রয়োজন ও চাহিদাকে সামনে রেখে মানব সম্পদ বিকাশ, শিক্ষার্থীদের মনন, মানবিকতা, সাংস্কৃতিক চেতনা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ভাবাদর্শ ও জাতীয় ইতিহাসের পরম্পরায় গড়ে তোলাও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্তব্য। তাছাড়া ছাত্রছাত্রীদের সামগ্রিক চরিত্র গঠন, মূল্যবোধ, ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলার দায়িত্বও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পালন করতে হয়। ফলে আর পাঁচটা পেশার থেকে শিক্ষকতার একটা মৌলিক পার্থক্য আছে। শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ ভাবে গড়ে  তোলার দায়িত্ব অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘শিক্ষাসমস্যা’ প্রবন্ধে লিখেছেন, “আমাদের এখনকার প্রয়োজন যদি আমরা ঠিক বুঝি তবে এমন ব্যবস্থা করিতে হইবে যাহাতে বিদ্যালয় ঘরের কাজ করিতে পারে। বিদ্যাশিক্ষাটা যেন কেবল দিনের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা মাত্র সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র হইয়া উঠিয়া বাস্তবিকতা সম্পর্কশূন্য একটা অত্যন্ত গুরুপাক অ্যাবস্ট্রাক্ট ব্যাপার হইয়া না দাঁড়ায়।” এই সতর্কবাণী অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি এবং এ কারণেই জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষা বিকাশের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মধ্যে আলোকিত জীবনবোধ নির্মাণের কাজে আমরা তৎপর রয়েছি।

 

প্রশ্ন: মনন ও সাংস্কৃতিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ব্যবহারকে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে কতটুকু গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?

উত্তর: শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বিকাশকে আমরা যেমন গুরুত্ব দিচ্ছি, তেমনিভাবে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কলা-কৌশলকে আত্মস্থ করার মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর উপযুক্ত মানব সম্পদে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রেও আমরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত উদ্বুদ্ধ করছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি, এখানে ইন্টারনেট সুবিধা, বিদেশি রিসোর্স সেন্টার ও লাইব্রেরির সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখানে বসেই একজন শিক্ষার্থী যাতে বিশ্বমানের তথ্য, প্রযুক্তি ও জ্ঞান আহরণ, শিক্ষা গ্রহণ ও গবেষনা করতে পারে, প্রশাসনের পক্ষে সেই প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ই ডিজিটাল যুগের চাহিদা অনুযায়ী নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি বেশ আশাব্যাঞ্জক।

 

প্রশ্ন: পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মান ও সুবিধাগত বৈষ্যম সম্পর্কে প্রায়ই কথা ওঠে। এটা কিভাবে দূর করা যায়?

উত্তর: নানা কারণে প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে পার্থক্য হওয়া স্বাভাবিক। অভিজ্ঞ শিক্ষক, শিক্ষা সামগ্রী ও শিক্ষা সহায়ক পরিবেশের কারণে এমনটি হয়। যত দ্রুত সম্ভব এই পার্থক্য দূর করা উচিত। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এখন উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালগুলোও কাজ করছে। সকলের মান যে সমান, সেটা বলা যাবে না। কিন্তু প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সামগ্রিক মানের বিকাশ ঘটাতেই হবে। অবকাঠামোসহ নানাবিধ ক্ষেত্রে নজর দিতেই হবে।

 

প্রশ্ন: উচ্চশিক্ষার মূল দর্শনটি কেমন হওয়া উচিত?

উত্তর: উচ্চশিক্ষা কেবল ডিগ্রি দেবে, তা নয়। শিক্ষার্থীদের জীবন মানের অগ্রগতির বিষয়টিও লক্ষ্য রাখবে। শিক্ষার্থীর মধ্যে জ্ঞান, যুক্তি, নান্দনিক বোধকে বেগবান করবে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মক্ষেত্রে তাদের শিক্ষার্থীদের এমন যোগ্যতাসম্পন্ন করে পাঠাবে, যাতে শিক্ষার্থীরা জীবন, সমাজ ও জগতের নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে উচ্চশিরে টিকে থাকতে পারে। মূল কথায়, শিক্ষার্থীদের মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতা ইত্যাদি নানা গুণাবলির বিকাশ ও চর্চার ক্ষেত্র হিসাবে কাজ করবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উচ্চশিক্ষা একজন ছাত্র বা ছাত্রীর সামনে পৃথিবীর বহু জানালা খুলে দেবে। নিজের মতো করে পুরো বিশ্বের জ্ঞানভাণ্ডারকে আত্মস্থ, অবলোকন ও পর্যবেক্ষণ করে একজন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠক্রম শেষে একজন স্বাধীন, সাবলম্বী, যোগ্য ও পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত হয়ে সাহসের সঙ্গে কর্মজীবনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারবে।

 

প্রশ্ন: উচ্চশিক্ষার দার্শনিক দিকটি বাস্তবে কতটুকু সফল হচ্ছে?

উত্তর: উচ্চশিক্ষার দার্শনিক দিকটিকে যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নানা বাধা কাজ করছে। সমাজ ও সংস্কৃতির মধ্যে ঘাপটি-মারা প্রগতিবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল-অগণতান্ত্রিক অপশক্তি সব সময়ই চায় শিক্ষার প্রসার ও মানবিক উন্নতিকে রোধ করতে। সন্ত্রাস, সংঘাতের হিংস্র দানবও উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে মানব সম্পদের মানবিক-আলোকিত উত্থানকে মেনে নিতে পারে না। ফলে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাঙ্গনের নিবেদিতপ্রাণ ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের সব সময়ই উচ্চশিক্ষাবিরোধী নানা ধরনের নেতিবাচক অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে। এই লড়াই কখনও আদর্শিক, কখনও রাজনৈতিক। এই লড়াইয়ের এক পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রবাহের শক্তিসমূহ আর অন্যদিকে আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের পরাজিত পক্ষ। এই লড়াই-সংগ্রামের বিজয়ের মধ্য দিয়ে যেভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিপথ তৈরি করতে হচ্ছে, তেমনিভাবে উচ্চশিক্ষার ধারাকেও এগিয়ে নিতে হচ্ছে। প্রকৃত অর্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিচিন্তার সম্মিলনে জাতিসত্ত্বার যে নবযাত্রা সূচিত হয়েছে, তার আলোকে উচ্চশিক্ষা দর্শনের পুনর্গঠন তথা তাত্ত্বিক ও বাস্তব প্রতিফলন ঘটানোর মধ্যেই উচ্চশিক্ষার সাফল্য নিহিত। বাংলাদেশের সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানই এখন এই জাতীয় গুরুত্বপূণ কর্তব্য-কর্ম সফলতার সঙ্গে সম্পাদন করছে। মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনায় আজকের আধুনিক বাংলাদেশকে জ্ঞান, প্রগতি ও প্রযুক্তিমুখী ধারায় এগিয়ে নিয়ে আলোকিত মানব সম্পদেও যোগ্য নেতৃত্বে পৃথিবীর মানচিত্রে উন্নততর স্থরে উপনীত করাই এখন উচ্চশিক্ষার চ্যালেঞ্জ। আর এভাবেই সমাজ ও রাজনীতির গুণগত রূপান্তর সাধন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-লালিত বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছাতে পারবে।

 

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.