২০১৪ সালের মার্চে ঢাকা-কানাডা বিমান

২০১৪ সালের মার্চে ঢাকা-কানাডা বিমান

Biman.bangladesh

সময়ের কথা’র পাঠকদের জন্য প্রতিবেদনটি তৈরী করেছেন : রেহানা রহমান রেনু

কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য সুসংবাদই বটে। আগামী ২০১৪ সালের মার্চ মাসে ঢাকা-কানাডা সরাসরি বিমান চলাচল ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে। এ জন্য ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে কার্যকর পদক্ষেপ। দু’দেশের মধ্যে এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করতে গত ১২ আগস্ট ভোরে ঢাকা ছেড়েছে সিভিল এ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধি দল। সিভিল এ্যাভিয়েশনের সদস্য এয়ার কমোডর এম শফিকুল আলম বলেছেন সফররত বর্তমান প্রতিনিধি দলই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে ইনিশিয়াল এগ্রিমেন্ট সই করবে। তারপর হবে চূড়ান্ত চুক্তি। এদিকে বিমানমন্ত্রী ফারুক খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সফররত বর্তমান প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে আলাদা আলাদা দুটো ইনিশিয়াল এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করবে। তারপর আগামী ২৫ অক্টোবর বিমানমন্ত্রী নিজেই এ দু’দেশ সফরে যাবেন। তখন চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হবে।

 

সূত্র জানায় কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করতে ১২ আগস্ট ভোরে ঢাকা ছেড়েছেন সিভিল এ্যাভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মাহমুদ হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, পরিচালক ফ্লাইট সেফটি উইং কমান্ডার নাজমুল আনাম, উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার ও অপর এক কর্মকর্তা। এ প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রে টানা তিন দিন এয়ারসার্ভিস এগ্রিমেন্ট নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকের পর চুক্তি স্বাক্ষর করবে। সে হিসেবে আগামী শনিবারের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারপর প্রতিনিধিদল সেখান থেকে যাবে কানাডায়। সেখানেও এগ্রিমেন্ট নিয়ে তিন দিন পর্যালোচনা শেষে স্বাক্ষর করবে ইনিশিয়াল এগ্রিমেন্ট।

 

এ ব্যাপারে এয়ার কমোডর এম শফিকুল আলম বলেন, চূড়ান্ত চুক্তির পর কানাডার সঙ্গে বিমান চলাচল চালু করতে আর কোন বাধা থাকবে না। তখন সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স তার সুবিধা অনুযায়ী সেটা ঠিক করে নেবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে বিমান চালু করতে হলে আরও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। তবে ইনিশিয়াল এয়ার সার্ভিস সাইন করার পর এফএএ ঢাকায় আসার সিডিউল দেবে। তারা ঢাকায় সিভিল এ্যাভিয়েশনের সার্বিক অগ্রগতি পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করবেন। তাদের সেই মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করবে বিমানের ভবিষ্যত। এ ক্ষেত্রে আরও কিছুটা সময় লাগবে। এ নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এবারের চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে আরেক দফা অগ্রগতি হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।

 

এ ব্যাপারে বিমানমন্ত্রী ফারুক খান জানান, সফররত বর্তমান প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে আলাদা আলাদা দুটো ইনিশিয়াল এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করবে। তারপর আগামী ২৫ অক্টোবর বিমানমন্ত্রী নিজেই এ দু’দেশ সফরে যাবেন। তখন চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এতে ঢাকা ও কানাডার মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু করা যাবে। ইচ্ছে করলে চুক্তি স্বাক্ষরের পরদিন থেকেই কানাডায় বিমান নিয়ে যাওয়া যাবে। তবে বিমানের সে প্রস্তুতি না থাকায় সেটা হয়ত এখনই সম্ভব হবে না।

 

বিমানের প্রস্তুতি সম্পর্কে ফারুক খান বলেন, কানাডার ফ্লাইট কিভাবে অপারেট করা হবে সেটা নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন দুটো উড়োজাহাজ আসার পর। চুক্তি মোতাবেক বোয়িং থেকে একটি উড়োজাহাজ আসবে ফেব্রুয়ারিতে অপরটি মার্চে। এ হিসেবে এটা নিশ্চিত বলা যায়, মার্চেই কানাডার সঙ্গে বহুল কাক্সিক্ষত সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ঢাকা-লন্ডন-টরেন্টো অথবা ঢাকা-লন্ডন-মন্ট্রিয়লের মধ্যে যেটা বাণিজ্যিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে সেটাই করা হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইনিশিয়াল এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করা হলেও চূড়ান্ত চুক্তি করতে সময় লাগবে।

মতামত১

 

সময়ের কথায় প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Facebook fan page

Leave a Reply

Your email address will not be published.