ফেসবুক থেকে: আজ জোহরের নামাজের শেষে ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানিটোবার বাংলাদেশী এক ছেলের জানাজা পড়লাম । ছেলেটি আন্ডার গ্রেড এর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট হিসাবে ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানিটোবা তে ভর্তি হয় । ছেলেটিকে আমি কোনদিন দেখিনি , ধারণা করছি বয়স ২০থেকে ২২ এর মধ্যে হবে । যতদূর জেনেছি ছেলেটি কিছু দিন নিখোঁজ থাকার পর তার বন্ধু-বান্ধব পুলিশকে জানায় । পুলিশ কয়েক দিন পর তার লাশ উদ্ধার করে । বিষয়টি এখন ও পুলিশের তদন্তাধীন রয়েছে । জানা গিয়েছে ছেলেটির মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না এটি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু ছিল ।
জানা গিয়েছে ছেলেটির বাবা মা বাংলাদেশ থাকে না তারা অন্য একটি দেশে থাকে । এখানে ছেলেটির পরিচিত তেমন কেউ ছিলনা । ভায়া মাধ্যম থেকে এখানকার একজন বাংলাদেশী কে প্রথম ব্যাপারটা দেখাশুনা করার অনুরোধ করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে । তিনি এবং পরবর্তী সময়ে সিবিএর নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় কয়েকজন বাংলাদেশী লাশ গ্রহণ প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে জানাযা এবং কবর দেওয়া পর্যন্ত কাজ করেন । উল্লেখ্য বাবা-মার অনুরোধে লাশ আর বাংলাদেশে পাঠানো হয়নি এখানে আজ কবরের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।জানাজার দৃশ্য এবং লাশ আমরা যখন গাড়িতে উঠাই সেই দৃশ্য দেখছিলাম ওই বাংলাদেশী ভাই ছেলেটির বাবা মাকে মোবাইলের মাধ্যমে দেখাচ্ছিল । বাবা মা আত্মীয় স্বজন ছাড়া বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে ছেলেটিকে আজ দাফন করা হলো ।
যদি ছেলেটির বাবা মা কানাডার ভিসা পায় তাহলে হয়তো জীবনে দুই – এক বার এসে ছেলেটির কবর জিয়ারত করে যাবে।
আমরা যারা এই মধ্য বয়সে ছেলেমেয়েদের কথা চিন্তা করে এই দেশে এসেছি তাদের কাছে সন্তান লালন পালন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ এই অর্থে এই দেশে পড়াশোনা করে এই দেশের কালচারে বড় হয়ে বাংলাদেশি culture’ তাদের কাছ থেকে আশা করা ।
এই দেশের অনেকেই আমাদের পারিবারিক মূল্যবোধ কে হিংসা করে । তারপরও আমাদের সংস্কৃতিতে বড় করার চেষ্টা করছি সন্তানদের । বাকিটা আল্লাহ ভরসা ।
–Mohammed Sakibur Rahman Khan
Comments are closed.