খেলার জন্য তো বটেই, নিজের স্টাইলিস চুলের জন্যও বিশ্বকাপ ফুটবলের দর্শকদের কাছে যে খেলোয়াড়টি ছিলেন বিশেষ জনপ্রিয় সেই ভালদোরামার দল কলম্বিয়া টানা ১৬ বছর পর আবার বিশ্বকপের পুড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
তারা শেষবাবের মতো বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয় ১৯৯৮ সালে।
গেলো ১১ অক্টোবর তিন গোলে পিছিয়ে পড়েও দেশটি চিলির বিপক্ষে ৩-৩ ব্যবধানে ড্র করে এই কৃতিত্ব দেখায়। এটা নিঃসন্দেহে অনেক বড় একটা সাফল্য। তিন গোলে পিছিয়ে তাকার পর সেই দলটিই আবার উঠে আসেত পারে যার কি না রয়েছে উত্তরণের অদম্য মনোবল। কলম্বিয়া যে তেমনই একটি দৃঢ়চেতা ফুটবল দল সেটা নিরেট পরীক্ষিত।
কলম্বিয়ার জয়ের দিনে নায়ক ছিলেন মোনাকো স্ট্রাইকার রাদামেল ফ্যালকাও। দুইবার পিছিয়ে পড়েও শেষের দিকে দুটি পেনাল্টি কাজে লাগিয়ে স্বাগতিকদের এক পয়েন্ট এনে দেন তারকা ফরোয়ার্ডটি। এই এক পয়েন্টেই কলম্বিয়ার ব্রাজিলে খেলা নিশ্চিত হয়ে যায়। এর আগে আরতুরো ভিডালের ১৯ মিনিটের পেনাল্টি এবং বার্সেলোনা উইঙ্গার অ্যালেক্সিস সানচেজের ২২ ও ২৯ মিনিটের গোলে প্রথমার্ধেই ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল চিলি। তবে ৬৬ মিনিটে চিলির মিডফিল্ডার কার্লোস কারমোনার দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হওয়াটাও খেলায় প্রভাব ফেলে। এর ফলে বাকি সময় সফরকারীদের ১০ জনের দল নিয়েই খেলতে হয়। ৬৯ মিনিটে গুটিরেজের গোলে কলম্বিয়া গোল শোধের পালা শুরু করে। বাকি কাজটুকু সারেন ফ্যালকাও। আর ফ্যালকাওয়ের হাত ধরেই দলটি উঠে যায় তাদের স্বপ্নের সীমানায়।
-সময়ের কথা ডেস্ক