অনেক পুরনো দুর্ঘটনা। স্মৃতির অতলান্তে ঢাকা পড়ে যাবার কথা। কিন্তু না, ঢাকা পড়ে যায়নি। বরং সময়ে সময়ে সে বিষয়ের রেশ ধরে উঠে আসে এমন সব তথ্য-উপাত্ত যা আবার কৌতুহলী মানুষদের টেনে নিয়ে যায় পুরনো সেই দিনের কথায়।
এবারের বিষয় ‘নিহতদের সমাহিত করার ছবি প্রকাশ।’ সে ছবি রীতিমতো আবার আলোচনায় তুলে এনেছে ডুবে যাওয়া সেই মহাসৃষ্টি টাইটানিককে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, এই প্রথমবারের মতো আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিক জাহাজ ডুবে নিহতদের সমাহিত করার আগে অনুষ্ঠিত সৎকারের ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত এই জাহাজটি।
সেই ঘটনায় ১৫২২ জন বা এর চেয়ে বেশি যাত্রীকে সমাহিত করা হয়। তবে নিহতদের ঠিক কীভাবে সমাহিত করা হয়েছিলো এবং তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল এ নিয়ে এতদিন পর্যন্ত অস্পষ্টতা ছিল। ছিলো বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কৌতুহলি মানুষের হাজারো প্রশ্ন। ২ অক্টোবর যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম মিররে প্রকাশিত ওই সাদাকালো ছবিতে দেখা যায়, ব্যাগভর্তি মৃতদেহগুলো উদ্ধারকারী জাহাজ ম্যাকে বেনেটের ওপর একটি উঁচু স্থানে রাখা হয়েছে এবং লোকজন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
দুর্ঘটনার কদিন পরই ছবিটি ক্যামেরাবন্দি হয়েছিল। নিলামদার অ্যান্ড্রু অলড্রিজ জানান, টাইটানিক দুর্ঘটনায় নিহতদের সলিল সমাধি বা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া নিয়ে যে অস্পষ্টতা ছিল এই ছবি তা দূর করে দেবে। জানা গেছে, ১৯ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের উইল্টশায়ারের ডেভিজেসে এই ছবিটি নিলামে তুলবে প্রখ্যাত নিলামদার প্রতিষ্ঠান হেনরি অলড্রিজ অ্যান্ড সন। এর দাম ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার পাউন্ড।
ছবিটি নিলামেই উঠুক বা যেবাবেই এর হাত বদল হোক না কেনো, সব চাইতে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, এতোদিনের জমে থাকা অনেক প্রশ্নেরই উত্তর মিলেছে সাদা কালো সে ছবিটি প্রকাশের মাধ্যমে।
গ্রন্থণা : নূরুল আলম