
নাসার এক মহাকাশযান কিছুদিন আগে এক এক্সোপ্ল্যানেটে’র সন্ধান পেয়েছে৷ এরই মাধ্যমে সৌরজগতের বাইরে ক্ষুদ্রতম গ্রহের সন্ধান পেয়ে গেল বিজ্ঞান৷ পাথুরে এই রহস্যময় গ্রহের নাম রাখা হয়েছে এক্সোপ্ল্যানেট৷ মহাকাশ বিজ্ঞানের পরিভাষায় তার নাম কেপলার টেন বি (Kepler-10b)৷ পৃথিবী থেকে ৫৬০ আলোকবর্ষ দূরে থাকা এই গ্রহ তার কক্ষপথে ঘুরে চলেছে৷
গত ছয়মাস যাবৎ একাধিক ছবি তুলে, নানান গবেষণা চালিয়ে যে সব তথ্য পাওয়া গেছে তা বেশ বিস্ময়কর৷ বিস্ময়কর কারণ, আমাদের চেনা সূর্য এবং তার গ্রহ পরিবারের বাইরেও যে কোন দ্বিতীয় তারাকে ঘিরে গ্রহের অস্তিত্ব আছে, সেটা এই প্রথম জানা গেল৷ এই পৃথিবী থেকে সেই এক্সোপ্ল্যানেটের দূরত্বটাও কিন্তু কম নয়, ৫৬০ আলোকবর্ষ৷
কিন্তু দূরের এই গ্রহ, যার আয়তন পৃথিবীর থেকে ১.৪ ভাগ বেশি, তাতে পাথর তো আছে পৃথিবীর মতই৷ প্রাণ আছে কী? এ প্রশ্নের জবাবও দিয়েছে নাসা। বলছে, এই গ্রহটি যেহেতু তার সূর্য বা যে নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, অতএব প্রাণ সেখানে থাকার কোন সম্ভাবনাই নেই৷ প্রবল উত্তাপ আর তীব্র আকর্ষণের অভিঘাতে কোন প্রাণের সেখানে টিঁকে থাকা অসম্ভব৷ যেহেতু তার সূর্যের খুব কাছেই এই এক্সোপ্ল্যানেটের অবস্থান, অতএব বড় নক্ষত্রের ছায়ায় এক্সোপ্ল্যানেটের শরীরের ওপরের দিকটি প্রায় সব সময়েই আচ্ছন্ন৷ নাসার মহাকাশযানের তোলা ছবিতে তাই দেখা যাচ্ছে, এক্সোপ্ল্যানেটের ওপরের দিকটি প্রায় অন্ধকার আর নীচের দিকের রং ঘনলাল থেকে ক্রমশ উজ্জ্বল সোনালি আকার ধারণ করেছে৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহাজাগতিক রশ্মির পরিবর্তনের সঙ্গে তাল রেখে এই এক্সোপ্ল্যানেট নানান সময়ে তার রং বদলে ফেলে৷
অসীম মহাকাশে এ ধরণের এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান আরও মিলবে অদূর ভবিষ্যতে৷ এ সবে শুরু৷ জানিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা৷ কারণ, যত সময় পেরোবে, উন্নত যন্ত্রপাতির কল্যাণে ক্রমশ এ ধরণের আরও গ্রহদের সন্ধানও পাওয়া যাবে৷
কে জানে, সেরকম কোন এক্সোপ্ল্যানেটে হয়তো বা প্রাণের সন্ধানও মিলবে৷ যে প্রাণ সেই ভিন গ্রহের জীবেরা৷ যাদের নিয়ে এই পৃথিবী গ্রহের কৌতূহল হাজার বছর ধরে বাড়ছে, বেড়েই চলেছে৷
সূত্র: নাসা