ক্রিসমাস উপলক্ষে ৩৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণাকে ‘অক্সিজেন’ খোঁজার চেষ্টা বলে মনে করছেন পুতিন।
এর আগে, ক্রেমলিন জানায়, ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ বাহিনীর উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার এক লিখিত আদেশে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, শুক্র ও শনিবার (৬ ও ৭ জানুয়ারি) যেন রুশ সেনারা যুদ্ধ থেকে বিরত থাকেন। পুতিনকে উদ্ধৃত করে ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুতিন বলেছেন, ‘আমি রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে একটি যুদ্ধবিরতি ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দিচ্ছি…’
প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুতিন যা বলেছেন সে সম্পর্কে মন্তব্য করতে ইচ্ছুক নন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘নতুন বছর উপলক্ষে রুশ প্রেসিডেন্টের ইচ্ছা ছিল হাসপাতাল, নার্সারি ও চার্চে হামলা করা। বাইডেন বলেন, আমার মনে হয় তিনি কিছু ‘অক্সিজেন’ খোঁজার চেষ্টা করছেন।’
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি এটিকে একটি কৌশলগত চক্রান্ত বলে মনে করেন। জেলেনস্কি বলেন, প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি হল পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর অগ্রগতি রোধ করার এবং মস্কোকে আরও সৈন্য আনার অনুমতি দেওয়ার একটি কৌশল।
জেলেনস্কি অভিযোগ করে বলেন, ‘মস্কো বারবার কিয়েভের শান্তি পরিকল্পনা উপেক্ষা করেছে। মস্কো অধিকৃত ভূমি থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ হবে না।
তবে যুদ্ধবিরতি রাশিয়ার হামলা ও প্রতিরক্ষামূলক অপারেশন উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে কিনা তা উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া, ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে গেলে রাশিয়া পাল্টা আঘাত করবে কিনা তাও স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি, রাশিয়ার অধিকৃত ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে একটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইউক্রেনীয় বাহিনী। এতে অন্তত ৪০০ রুশ সেনা নিহত হয় বলে দাবি করে কিয়েভ। তবে রাশিয়া সেই হামলায় ৮৯ জন সেনা নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। মস্কো বলছে, সৈন্যরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় এই হামলা করতে সক্ষম হয় ইউক্রেন।
সূত্র: রয়টার্স, এএফপি, আলজাজিরা