একবার বসে বসে ভাবো তো, এই পুথিবীতে কোনো মানুষ নেই। নেই প্রাণের কোনো অস্তিত্ব! কল্পনা করো, এমন একটা পৃথিবীর কথা যেখানে মানুষ কেন, অন্যান্য গ্রহের মতো কোনো প্রাণেরই অস্তিত্ব নেই! কেমন লাগবে ভাবতে? ভয়ঙ্কর!
এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে আসবে, এমনটিও কি হবে কোনোদিন? পৃথিবীর এমন বিরাণভূমির রূপ পরিগ্রহ করার কোনো সম্ভাবনাও কি আছে? আছে। বিজ্ঞানীরা সে কথাই বলছেন। আর বিজ্ঞানীদের কথা যদি সত্যি হয় তবে তেমনটি ঘটতে যাচ্ছে সুদুর ভবিষ্যতে। এর জন্য পৃথিবীকে অপেক্ষা করতে হবে আর একশ’ পঁচাত্তর কোটি বছর।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১৭৫ কোটি বছর পর পৃথিবী আর কোনো প্রাণের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হবে না। এটা যে শুধুই তাদের দাবী তা নয়; এই দাবির পক্ষে যুক্তিও দেখিয়েছেন তারা।
বিজ্ঞানীদের যুক্তি হলো, ১৭৫ কোটি বছর পর সূর্য্যের তাপমাত্রা এত বেশি বেড়ে যাবে যে পৃথিবীর বুকে তরল পানির অস্তিত্ব আর থাকবে না। আর পানিবিহীন জীবনের কথা কল্পনাও করা যায় না। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাংলিয়ার একদল গবেষক একথা বলেছেন।
গবেষকরা বলেছেন, তারা পৃথিবীর জীবন ধারণের অনুপযোগী হবার সময় বের করতে নাক্ষত্রিক বিবর্তন মডেল ব্যবহার করেছেন। তাদের গবেষণা মতে, ১৭৫ কোটি বছর পর পৃথিবীর বুকে একটা চরম পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। এসময় সূর্যের ‘হটজোন’ -এ পরিণত হবে পৃথিবী। পৃথিবীর বুকে তাপমাত্রা এত বেড়ে যাবে যে সাগর-মহাসাগরের পানি বাষ্প হতে হতে একসময় অদৃশ্য হয়ে যাবে। তখন মহাসাগরগুলোও হবে ধু ধু মরুভূমি। ধীরে ধীরে সব প্রাণের করুণ প্রস্থান হবে। গবেষণা দলের নেতৃত্বদানকারী বিজ্ঞানী এন্ড্রু রুশবি অ্যাস্ট্রোবায়োলজি জার্নালে লেখা নিবন্ধে একথা বলেছেন।
![earth-120130919201642[1]](http://90p.301.mywebsitetransfer.com/wp-content/uploads/2013/09/earth-1201309192016421.jpg)









