সময়ের কথা ডেস্ক: রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জিম্মিকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে পাঁচজন নিহত, ১২ জন আহত হবার খবর নিশ্চিত করেছে গোয়েন্দা সূত্র। রেস্টুরেন্টে আটকা পড়া জিম্মিদের উদ্ধারে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। অভিযানে জিম্মিদের উদ্ধার করা হয়েছে কি না তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
একাত্তর টিভির সাংবাদিক ফারজানা রুপার অনানুষ্ঠানিক তথ্যানুযায়ী গুলশানের হোটেলে ভিতরে জিম্মী থাকা কয়েকজনকে জবাই করে কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আনুমানিক পাঁচ থেকে সাতজন জিম্মী পরে আছেন। রুপা জানিয়েছেন তিনি স্প্যানিশ হোটেলটি থেকে মাত্র পঞ্চাশ গজ দূরে আছেন।
ভিতরে জিম্মী অবস্থায় থাকতে পারেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ইন্দোনিশিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং ভারতীয় দূতাবাসের উপরের সারির কর্মকর্তা এছাড়াও বেশ কয়েকজন বিদেশী। আছেন বাংলাদেশের কোন একটি শীর্ষ পত্রিকার সম্পাদকের নাতনী।
বন্দুকধারীরা নেগুসিয়েশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীরা বিদেশিসহ কমপক্ষে ২০জন নাগরিককে জিম্মি করে রেখেছে। রেস্টুরেন্টের ভেতর থেকেই ৮-৯ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করে। হোটেলের আশপাশ এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছে।
পুলিশ জানিয়েছে সন্ত্রাসীদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র রয়েছে। পুলিশ ও র্যাবের বিশেষ ইউনিট হোটেল থেকে জিম্মিদের উদ্ধারের পরিকল্পনা করছে। হোটেলটির আশে পাশের লোকজন জানিয়েছে সন্ত্রাসীরা আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে।
এরআগে গুলশানের ৭৯ নং রোডের হলি আর্টিজেন বেকারিতে সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়।