ব্রিটিশদের হৃদয়ের রাণী ডায়ানার সঙ্গে দোদি আল ফায়েদের সম্পর্ককে মেনে নিতে পারছিল না ব্রিটেনের রাজপরিবার। শেষ পর্যন্ত ডায়ানাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজপরিবার। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রাজপরিবার ব্রিটেনের বিশেষ বাহিনীকে (এসএএস) কাজে লাগায়। কঠোর গোপনীয়তার শেষ পর্যন্ত তা কার্যকরও করা হয়।
প্রথমে দিকে এটা গোপনীয় থাকলেও মৃত্যুর ১৬ বছর তা ফাঁস হতে শুরু করেছে। ১৫ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা ডেইলি মেইল এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিপোর্ট প্রকাশ করে। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের জিজ্ঞাসাবাদে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ডায়ানার মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সৈনিক ‘এন’ এর পরিত্যক্ত স্ত্রীর বরাত দিয়ে মেইলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মিসরের ধনকুবের পুত্র দোদি আল ফায়েদ ও ডায়ানাকে বহনকারী গাড়ি চালককে বিভ্রান্ত করতে তার মুখমন্ডলের লক্ষ্য করে তীব্র আলো ফেলে দ্রুত গতিসম্পন্ন চলন্ত গাড়িটিকে দুর্ঘটনায় ফেলতে বাধ্য করা হয়।
ওই মহিলার দাবি তার স্বামী এসএএস সদস্য তাকে বলেছেন, বাহিনীর এক চৌকস সদস্যকে দিয়ে একাজটি কারানো হয়েছে।
‘এন’ নামক সৈনিকের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী এর আগেও এ ঘটনায় এসএএস বাহিনীর সম্পৃক্ততার কথা বলে সাক্ষ্য দিয়েছিল। এখন দাবি করা হচ্ছে যে, ডায়ানার গাড়ির চালককে ক্ষণিকের জন্য অন্ধ করে দিতে তীব্র আলো ফেলা হয় এবং যাতে করে ট্যানেলের ভেতর দ্রুতগতিসম্পন্ন গাড়িটি দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। স্বামী পরিত্যক্তা ওই স্ত্রী বলেছেন, তার স্বামী তাকে বলেছেন যে রাজপরিবারের সদস্যদের নির্দেশেই ডায়ানাকে ফলো করছিল এসএএস বাহিনীর সদস্য। এক পর্যায়ে গাড়ি চালকের চোখ-মুখে তীব্র আলো ফেললে গাড়িটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ফেলতে সক্ষম হয় এবং এতে গাড়ি চালকসহ তিনজনই মারা যায়। এই অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে ডায়ানার মৃত্যুর ১৬ বছর পর নড়েচড়ে বসেছে ব্রিটেনের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।
জানা গেছে, তারা মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে সানডে মিররের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডায়ানার মৃত্যুর জন্য কেউ না কেউ দায়ী। ডায়ানার মৃত্যুর রহস্য স্বামীর কাছ থেকে জানার পর মহিলা তার স্বামীকে বিষয়টি সবাইকে জানানোর জন্য তাগিদ দেয়। তখন তার স্বামী তাকে বলেন, এটা ছিল সংশ্লিষ্ট সদস্যের চাকরির অংশবিশেষ। তার স্বামী তাকে বলেছে, দোদি আল ফায়েদের সঙ্গে ডায়ানার সম্পর্ক রাজপরিবারের সদস্যরা মেনে নিতে না পারায় রাজপরিবারের সদস্যদের নির্দেশেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ১৯৯৭ সালে ওই দুর্ঘটনায় ডায়ানা (৩৬) তাঁর বন্ধু দোদি (৪২) ও তাঁদের ড্রাইভার (৪১) নিহত হন।
-সময়ের কথা ডেস্ক