
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আমরা বন্ধুরা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কতোই না মতামত দিয়ে থাকি, বিভিন্ন জনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কতোই না মন্তব্য করে থাকি। কেউ কেউ আবার নানা বিষয়ের ওপর ছবি আপলোড করি। সবাই যে সব কথা ভারো লিখেন, বা ভালো ছবি দিয়ে তাকেন এমনটি নয়। ইদানিং এমনও লক্ষ্য করা যায়, কোনো কোনো বন্ধু এমন ছবি ড়িয়ে থাকেন, বা এমন সব ভাষায় মতামত বা মন্তব্য করে তাকে যা চোখে দেখার বা মুখে আনার মতো নয়। আমার সেই সব ছবি ও মতামত দাতাকে নিরুৎসাহিত করে, সুন্দর মার্জিত ভাষা সমৃদ্ধ রুচিশীল ছবি, মতামত এ মন্তব্য দাতাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। আর সেইসব সুন্দর ছবি ও লেখা তেকে এ বিভাগে সময়ের কথা পাঠকদের জন্য শেয়ার করবো করবো আমাদের নিজস্ব বাছাইকুত সেরা মতামত, মন্তব্য ও ছবি। এ ছাড়া পাঠক আপনিও পাঠাতে পারেন আপনার দৃষ্টি আপনার ফেসবুক বুন্ধুদের সেরা মতামত, মন্তব্য ও ছবি, আমরা আপনার নাম ও ছবিসহ তা সযত্নে প্রকাশ করবো। আশা করি পাঠকদের বিভাগটি ভালো লাগবে……..
এ সং খ্যা র সে রা ছবি
সূত্র : ফেসবুক লিঙ্ক
ফেসবুকের কল্যাণে ১১ বছর পর মাতা-পুত্র মিলন!
মা য়ের সাথে রাগ করে ১১ বছর আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল অঙ্কুশ। তখন তার বয়স ১২ বছর। এক দশকেরও বেশি সময় পরে তার খোঁজ মিলল ফেসবুকের দৌলতে। তবে সেদিনের পুণের সেই কিশোর এখন পুরোদস্তুর শিখ সর্দার।
২০০২ সালে মায়ের উপর অভিমানে বাড়ি ছেড়ে অঙ্কুশ সোজা চলে গিয়েছিল পুণে থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে নানদেদ শহরে। সেখানে কাজ শুরু করেন একটি গুরুদ্বারে। তার কঠোর পরিশ্রম তৈরি করে দেয় সোনালি ভবিষ্যৎ। অঙ্কুশের গুরু তাকে নিয়ে যান লুধিয়ানায়। সেখানে তিনি কাজ শুরু করেন রেরু সাহিব গুরুদ্বারে। ততদিনে তার মাথায় উঠেছে পাগড়ি। নাম পাল্টে হয়ে গেছে গুরবন সিং।
তবু শিকড়ের টানে ফিরে যেতে ইচ্ছে হত অঙ্কুশের। মনে পড়ত মা হেমলতা, দু বছরের ছোট ভাই সন্তোষের কথা। চেষ্টাও চালিয়েছিলেন। সম্বল ছিল একটাই, চাচার বাড়ির ফোন নাম্বর। কিন্তু সেখানে ফোন করেও সাড়া মেলেনি। কারণ ততদিনে বদলে গেছে চাচার ঠিকানা আর ফোন নাম্বর। অন্যদিকে হেমলতাও পাগলের মতো খুঁজেছেন বড় ছেলেকে। শেষে ফেসবুকই ফিরিয়ে দিলো সন্তানকে তার মায়ের কোলে।
ফেসবুক নিজের ভাইকে খুঁজতে শুরু করলেন অঙ্কুশ। দেখতে লাগলেন সন্তোষ নামের অসংখ্য প্রোফাইল। অবশেষে চিনতে পারলেন ছবি দেখে।
তারপর একদিন পুণেতে নিজের গ্রামে ফিরে গেলেন অঙ্কুশ ওরফে গুরবন। কিন্তু কে চিনবে তাকে। চেহারায় যে আমূল পরিবর্তন! কিন্তু ছেলেকে চিনতে কি মায়ের ভুল হয়? হাঁটা আর মুখে কাটা দাগ দেখে হেমলতা বুঝতে পারলেন এই সর্দারজিই তার বাড়ি থেকে পালানো সেই ছোট্ট অঙ্কুশ।-ফেসবুক থেকে
সে রা ভি ডি ও শে য়া র:
উদ্ধারকর্মী সাপ রোবট:
শেয়ারটি দিয়েছে: তানজির রুবেল, বাংলাদেশ থেকে।
উল্লেখ্য, চালচলন সাপের মতোই। সরু-লম্বা শরীরটা অ্যালুমিনিয়ামের। চোখের জায়গায় বসানো ক্যামেরা। এমনই এক ধাতব সরীসৃপ তৈরি করেছেন ভারতের বিজ্ঞানীরা। ভূমিকম্প বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তা করবে এই ‘সাপ রোবট’। ধ্বংসাবশেষের ফাঁকফোকর খুঁজে গলিয়ে দেবে ধাতব শরীর। এর আল্ট্রাসনিক সেন্সর আটকে পড়া মানুষের সন্ধান দেবে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা তাদের ছবি তুলবে, ভিডিও করে উদ্ধারকর্মীদের কাছে পাঠাবে। বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার সেন্টার ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রোবটিক্সের (সিএআইআর) বিজ্ঞানীরা এ সাপ রোবট তৈরি করেন। এর অন্যতম নির্মাতা বিজ্ঞানী সারতাজ সিং বলেন, ‘প্রাকৃতিক বা অন্য কোনো দুর্যোগের সময় উদ্ধারকাজকে সহজ করার বিষয়টি ভাবতে গিয়েই সাপ রোবটের কথা মাথায় আসে।
উদ্ধারকর্মীদের পক্ষে যেখানে পৌঁছানো কঠিন সেখানে অনায়াসে চলে যেতে পারবে এই রোবট। সাধারণত দুর্যোগের পর ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতেই অনেকটা সময় কেটে যায়। কিন্তু এই রোবট দুর্যোগের পরপরই কাজ শুরু করতে পারবে। ফলে বহু জীবন রক্ষা করা সম্ভব হবে।’
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, প্রতিরক্ষার কাজেও এই রোবটকে ব্যবহার করা সম্ভব। এটি নজরদারি করতে পারবে। বোমা খুঁজে বের করার কাজেও সহায়তা করতে পারবে। সূত্র : গালফ নিউজ।