দ্যা শের বেবাক পত্রিকায় পড়লাম, আমাগো ‘ছো্ট্ট বাক্সের বড়া ইসটার’ আই মিন টিভি ইসটার জাকিয়া বারি মম ম্যাডাম নাকি সুইসাইড খাইবার গিয়া বেশীদূর না যাইবার পাইরা স্কয়ার হাসপাতাল পর্যন্ত গমন করেছিলেন। রাতারাতি গোটা দ্যাশে রটাইয়া পড়লো সংবাদ খানা। যারে কয়, টক অব দ্যা কান্ট্রি!
সর্বত্র রব উঠিলো, হায়, হায়, আমাগো প্রিয় ইসটার এই বুঝি যায়,যায়! কারো কারো বুকটা ফাইট্টা যায়!
কারণ কী? কী কারণ? কেনো এই অকালে মরণকে বরণ? কী কারণ? হগলতের মূখে প্রশ্ন একটাই।
বেবাক চিচিংফাঁক কইরা দিলো বড্ড বেরসিক সাংবাদিক ভাইয়েরা; কারণ? অন্য কিছ্ছু নয়; ইটিস-পিটিস! ফিলিমের পাড়ায় যা নিত্য দিনই হয়।
এক সময় খয়বর আলী তাজা খবর দিলো, ‘আল্লার ইচ্ছায়, আমাগো বড়া ইসটারের জীবন সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
এইবার উঠলো নতুন প্রশ্ন, ‘ক্যামতে কী হইলো? হের লগে কার কি আছিলো? কার লগে হের কি আছিলো? কার লাগি সোনার পুতলা জীবন দিবার চাইছিলো? মিয়া ভাই, কেইসডা কি? জানেন কিছু?’ যে যারে সামনে পায়, হেয়ই ঘটনাডা জানবার চায়।
হেই আন্ধারও ফকফকা কইরা দিলো সাংবাদিক ভাইয়েরা সাংঘাতিক একখান সংবাদ ছাপাইয়া দিয়া। অবশ্যি এইডারে সাংঘাতিক কইয়াও লাভ নাই; হেই ম্যাডামগো দুনিয়ায় এইডা মামুলি ব্যাপার; পান্তাভাত! প্রেম-প্রণয়, পরিণয়, ফিলিমের পাড়ায় নাকি নিত্তদিনই হয়। শুনি তো এমন কথা কত্তোই!
কোনো কোনো সাংবাদিক ভাই তো অতি দরদ দেখাইবার যাইয়া আলমের এক নম্বর পঁচা সাবান দিয়া মম ম্যাডামের চরিত্রডারে এমুনই কাঁচতে শুরু করলো যে, হুদাই কী আর ফকফকা! এক্কেবারে ছাল-বাকল উইঠ্যা ছাফা! কীসব কথা লিখলো হ্যারা,নাট্যকার শিহাব শাহীন নাকি এখন মম ম্যাডামের ভেঁড়া! আইমিন স্বামী। হের কারণেই ম্যাডামের সুইসাইড খাওনের লাইগ্যা নাকি যাওয়া! আসল স্বামী আর এক নাট্যকার এজাজ মুন্নার লগে নাকি তার কাটাপ হইয়া গেছে! হাছা-মিছা জানি নারে ভাই, তয় একখান কঠিন যে গিট্টু আছে হেইডা বেশ বুঝবার পারি।
হেই হানেই নাটকের যবনিকা নয়; নাটকের ল্যাঞ্জা ধইরা আরো যে কত্তো নাটকের সূত্রপাত হয়, ঘটনা না ঘটলে তা জানবার নয়।
হাসপাতাল থন ফেরৎ আইস্যা আমাগো মম ম্যাডাম ফাটাইয়া দিলেন আর এক এটমবোম! তিনি মিডিয়ারে কইলেন, ‘আমি আত্মহত্যার চেষ্টা করি নাই। আমার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছিলো! মঙ্গলবার শিহাব শাহীনের নাটকের সেটে খুবই দুর্বল হয়ে গেলে পরিচালক শুটিং পেকআপ করতে বাধ্য হন। এরপর আমি চিকিৎসা নেবার জন্য স্কয়ার হাসপাতালে যাই। সেখানে রাতে কিছু টেস্ট করানোর পর সেখান থেকে ভোররাতে বাসায় ফিরে আসি। কিন্তু এরই মধ্যে চাউর হয়ে যায় যে আমি আত্মহত্যা করতে চেয়েছি!’
ম্যাডামে অহন এইসব কী কইবার লাগছে! তাইলে আত্মহত্যা করবার গেছিলো কেঠায়? হাসপাতাল-ডাক্তার চিকিৎসাডা করলো কার? হাছাই ডেঙ্গু রোগীর? আর কি এমন ঠ্যাকায় পইড়া হাসপাতাল, ডাক্তার, সাংবাদিক বেবাকতে মিথ্যা কইলো!
আমাগো সাংবাদিক ভাইরাও অবশ্যি পরে আবরো হাসপাতালের লগে কানেকশন লাগায়া নিশ্চিত হইছে, ‘ মম’র এই সব কথা বানানো এবং মিথ্যা। স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্র বলেছে, মূলত তিনি আত্মহত্যা করতেই চেয়েছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার শিহাব নামে এক ব্যাক্তি মমকে হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসকরা শিহাবের পরিচয় জানতে চাইলে মম বলেন তিনি আমার স্বামী।’
মনে লইতাছে, মম ম্যাডামের মাথাডা আসলেই বিগড়াইয়া গেছে। স্ক্রু দুই’একখান অবশিষ্ট আছে কিনা সন্দেহ। তা না হইলে দিনের আলোর লাহান ফর্সা ব্যাপারডারে ক্যামতে তিনি রাইতের আঁধারে ঢাকবার চেষ্টা করতাছেন!
হেইডা তো অহন হগলতেরই জানা যে, জাকিয়া বারী মম। লাক্স সুন্দরী। এই মডেল-অভিনেত্রী নিজের অভিনয় গুণে ছোটপর্দায় খুব ভালো একটি অবস্থান করে নিয়েছেন। তবে গত কয়েকমাস ধরেই সাংসারিক সম্পর্কের টানাপোড়েন, অন্য এক পরিচালকের সঙ্গে প্রেম এবং নাটকে অভিনয় কমানো—এসব নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি মিডিয়ার বিভিন্ন জনপ্রিয় তারকার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বেফাঁস কথা বলেও সমালোচিত হয়েছেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। অবশ্য মম আত্মহত্যার সংবাদটিকে পুরোপুরি অস্বীকার করছেন। তবে তার স্বামী ও চিকিৎক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।’ এইডা হইলো গিয়া বিনোদন প্রতিদিন-এর সাথে মম ম্যাডামের সাখ্সাৎকারের ইনট্রো। হেরাও কি মিথ্যা কইলো?
পাঠক ভাইসাবেরা, আপনারা বুঝবার পারছেন তো? বেবাক ক্লিয়ার।
তারপরও যদি ম্যাডম ক্ষ্যান্ত দিতেন! হাসপাতাল থন ফেরৎ আইস্যা আবার তিনি উইঠ্যা-পইড়া লাগছেন অন্য তিশা, বিদ্যা সিনহা মীম, বিন্দু, অপু বিশ্বাসসহ একাধিক অভিনেত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে। কইয়া বেড়াইতেছেন বেফাঁস সব কথা। এই প্রসঙ্গে কী বলবেন? কন তো দেহি, হেইডা কইয়া বেড়াইবার লাহান কুনো বিষয় হইবার পারে?
বাংলাদেশের শো-বিজে শিক্ষার দরকার কি খুব বেশী জরুরী? কার থাকলো; আর কার না থাকলো, তাতে কি আসে যায়!
হেইহানেও শ্যাষ না! ম্যাডাম আবার হগলতেরে ডেমোক্রেসি শিখাইবার চান! এক সাক্ষাৎকারে তিনি কইলেন, ‘যা সত্যি তাই তো বলব। এই দেশে তো ডেমোক্রেসি নেই। আমি ডেমোক্রেসির কথা বলি। সত্য কথা বলতে হবে। সবার বলতে শেখা উচিত সত্য কথা। আর সত্য কেউ বলেনা বলেই তো দেশের এই অবস্থা।’ কী মারাত্মক সব কথাবার্তা ম্যাডামের কন্ঠে! হ্যাডম আছে বটে! মনে হইতাছে, আমাগো রাজনীতিতে আমরা আর একখান নারীনেত্রী পাইয়াই গেলাম! বহুত খোব! বহুত খোব!
মম ম্যাডাম আরো কইছেন, ‘আমি তো কোনোটা মিথ্যে বলিনি। এখনও বলছি, তিশা লেখাপড়া কমপ্লিট করেনি। কোথাকার কোন টেলিকমিউনিকেশনে পড়ত, সেই কত বছর আগে শুনেছি। এখনও শুনছি। আজীবন পড়েই যাচ্ছে। বিন্দু জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে। এমনি এমনি তো কেউ বহিষ্কৃত হয় না। বিদ্যা সিনহা মীম জাহাঙ্গীরনগরে আমার ডিপার্টমেন্টেই পড়ত। পরপর দুইবার ফেল করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মীমের পক্ষে বাংলাদেশের কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সম্ভব নয়। শুধু সরকারি কেন, যেকোনো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা সে হারিয়েছে। শুধু তারা নয়, খোঁজ নিলে দেখা যাবে। এ দেশের অধিকাংশ শিল্পীরই একই অবস্থা।’
সময়ের কথা’র পাঠক ভাইয়েরা, মনোযোগ দিয়া অহন আমার একখান কথা হোনেন, আমিও একখান জব্বর সিদ্ধান্ত লয়া ফাইলাইছি। ভাবতাছি, এই জাকিয়া বারি মম ম্যাডামরে প্রিন্সিপাল বানায়া বাংলাদেশের তিশা, বিদ্যা সিনহা মীম, বিন্দু, অপু বিশ্বাসগো লাহান স্বল্প অভিনেত্রীগো স্টুডেন্ট কইরা একখান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওপেন করবো। এতে আমাগো শো-বিজ বহুত উপকৃত হইবো। অভিনেত্রীরা ভি মম ম্যাডামের টিচিংয়ে-চিটিংয়ে সুশিক্ষিতও ভি হইবার পারবো। কেমুন হইবো? আপনারা কি আমারে মদদ করিবেন?