![মানুষের মরদেহ পচিয়ে তৈরি হবে জৈব সার মানুষের মরদেহ পচিয়ে তৈরি হবে জৈব সার](https://somoyerkotha.com/wp-content/themes/stylebook/timthumb.php?src=https%3A%2F%2Fsomoyerkotha.com%2Fwp-content%2Fuploads%2F2023%2F01%2FBest-Organic-Fertilizers-1200x667-1-e1674278114555.jpg&q=90&w=795&zc=1)
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে মানুষের মরদেহ পচিয়ে জৈব সার তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরফলে কেউ মারা গেলে তাদের স্বজনেরা চাইলেই তাদের মরদেহ জৈব সারে পরিণত করতে পারবেন। খবর বিবিসির।
গেলো বছর (৩১ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হকুল এই অনুমোদন দেন। দাফন কিংবা দাহ করার পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবে নেয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।
মানুষ মারা যাওয়ার পর তার দেহ মাটিতে দাফন করা সবচেয়ে পরিবেশ বান্ধব বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য সহজ উপায়ে প্রাকৃতিক জৈবপদ্ধতি হিসেবে এটিকে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণে এ পদ্ধতিতে আবদ্ধ অবস্থায় থাকলে কয়েক সপ্তাহ পর মরদেহ পচে যায়।
শুরুতে এ পদ্ধতির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন। ২০১৯ সালে তারা এটিকে অনুমোদন দেওয়ার পর কলোরাডো, ওরেগন, ভার্মন্ট ও ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যেও এ পদ্ধতির অনুমোদন দেওয়া হয়।
জৈব সার বানাতে আবদ্ধ জায়গায় মরদেহ রাখা হয়। এর সঙ্গে কাঠের গুঁড়া, বিশেষ ধরনের লতাপাতাও রাখা হয়। এভাবে প্রায় এক মাস এভাবে রাখা হয়। জীবাণুমুক্ত করার জন্য তাপ প্রয়োগ করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই মরদেহ জৈব সারে পরিণত হয়। এটি মাটিতে মিশিয়ে ফুলগাছ, সবজি চাষে বা বৃক্ষায়নে ব্যবহার করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রিকম্পোজ বলেছে, এতে এক টন কার্বন সংরক্ষণ করা সম্ভব। আর এতে জলাবায়ূর পরিবর্তন রোধ করা সম্ভব।
তবে এই পদ্ধতির বিরোধিতা করছেন নিউইয়র্কের ক্যাথলিক বিশপ।