কানাডা ব্যুরো: কানাডার নিউ ব্রান্সউইকের হেলিফেক্স শহরে একটি অজগর সাপের আক্রোশে পেঁচিয়ে দু সহোদরের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে।
আর.সি.এমপি জানায়, ঘটনার দিন মধ্য রাতে বাড়ির নীচে একটি পশু বিক্রির দোকান থেকে পালিয়ে একটি সাপ ভেনটিনেশন সিস্টেমের মধ্যে দিয়ে উপরের তলায় বেয়ে সেখানে ঘুমন্ত অবস্থায় ৫ এবং ৭ বছরের দু’টি সহোদর শিশুকে পেছিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
সকাল সাড়ে ছ’টার সময় শহরের প্লিজেন্ট স্ট্রিটের বাসা থেকে পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে সাপ ধরার যন্ত্র দিয়ে সাপটি ধরে ফেলে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আফ্রিকান রক পাইথন নামে এই সাপটি ৪.৫ মিটার দীর্ঘ এবং ওজন ৪৫ কেজি, কিন্তু সাপটি বিষধর নয় বলে জানা গেছে।
পুলিশের ধারনা সাপটি অবুঝ সহোদর দু’শিশুকে পেঁচিয়ে আস্তে আস্তে চাপ প্রয়োগ করে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলেছে। এই অপ্রত্যাশিত অবিশ্বাস্য ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে কানাডার বিভিন্ন শহরে শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানা যায় শিশু দু’টি তাদের বন্ধুর বাসায় স্লিপ ওভার করার জন্য এক রাতের জন্য সেখানে গিয়েছিলো। লিজা জেইন, যিনি একটি লিটন রে রেপটাইল চিড়িয়াখানার মালিক এবং রেপটাইল সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ হিসেবে জানান যে, সাপ কোনো কোনো সময় খুব হিংস্র হয়ে যেতে পারে। কারণ হিসেবে বলেছেন, প্রথমত সাপ যখন ভয় কিংবা হুমকী বোধ করে তখন, দ্বিতীয়তো সাপ যখন খাওয়ার গন্ধ পায়। এই দু’টি কারনে তারা যেকোনো সময় যে কাউকে আক্রমন করতে পারে। তিনি আরো বলেন, সাপ কখনো মানুষকে খাদ্য হিসেবে দেখে না।
নিউ ব্রান্সউইক ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন যে, এটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন যে, হয়তো কোন কারনে সাপটি ভয় পেয়ে গিয়েছিল এবং নিজে বাঁচার জন্য ওদের ওপর আক্রমন করে মেরে ফেলেছে। তিনি বলেন, সাপের কামড়ে যে পরিমান মানুষ মারা যায় তারচেয়ে অনেক বেশী মানুষ মারা যায় কুকুরের কামড়ে। তিনি এটাকে অপ্রত্যাশিত, অবিশ্বাস্য ঘটনা যা ট্রাজেটি হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক।