ঈদুল আযহা। আমাদের ধর্মীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ স্বীয় ত্যাগের মহিমায় এক সমুজ্জ্বল উৎসবমূখর দিবস। বিপুল ত্যাগ-তিতিক্ষা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে দেশব্যাপী।
ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে সারাদেশে কোরবানির পশুর হাট ছিলো জমজমাট। রাজধানী ঢাকার বাইরে বিভাগীয় মহানগরী এবং অন্যান্য নগর-মহানগর, জেলা শহর, উপজেলা সদর ও ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পশু ও হাট-বাজারে জমে উঠেছিলো এসব গরুর হাট।
প্রতিবারের মতো এবারো চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে বিক্রেতাদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশেষভাবে লক্ষণীয়, সীমান্তবর্তী জেলা ও সেখান থেকে নৌ ও সড়কপথে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় এসে জমা হওয়া বিপুল সংখ্যক ভারতীয় গরু এবং যেহেতু ভারতীয় গরু স্বাভাবিকবাবেই তা প্রধানত চোরাচালান হয়ে আসছে, যার বিপরীতে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হচ্ছে না রাজস্ব। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীই এই চোরাচালান প্রক্রিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ বলে সকলের বিশ্বাস। দেশের প্রায় সকল স্থানেই কোরবানির হাটে ভারতীয় গরুর আধিক্য লক্ষ্য করা গেছে এবারো। বিশেষভাবে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ভারতীয় গরুর আধিপত্য। তবে দেশীয় জাতের গরু এবং দেশীয় ছোট আকারের গরু বা ছোট ষাঁড় গরুর চাহিদা সাম্প্রতিককালে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারো কোরবানির হাটে এই জাতীয় দেশি গরুর উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। ক্রেতারাও বিশেষ উৎসাহহ দেখিয়েছেন এসব দেশীয় জাতের গরুর প্রতি। এবারে পশুর হাটে দাম তুলনামূলকভাবে কম ছিলো বলে জানা যায়। বিক্রেতাদের আক্ষেপ সে কারণে গরু ব্যবসা-মন্দার শিকার হয়েছেন। চোরাচালান হয়ে আসা ভারতীয় গরুর সামনে অসম এবং ক্ষতিকর প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছেন দেশীয় গরু খামারি ও ছোট পশু পালকরা। এ ক্ষেত্রে তারাই বেশী ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন বলে দাবী তাদের।
-সময়ের কথা ডেস্ক