মন্ট্রিয়লের কুদ দে নেইজ এবং নটর্ডাম ডো গ্রাস এলাকার ব্যুরো মেয়র লায়নেল পেরেজ। সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছিলেন সময়ের কথা’র। মতামত গ্রহণ করেন সুহেল মিয়া…নিচে সে আলাপনের উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরা হলো-
মন্ট্রিয়ল। কানাডার একটি ঐতিহ্যবাহী সুন্দরতম নগরী। ক্যুইবেক প্রভিন্সের এই চমৎকার শহরটিতে বাস করে থাকেন উল্লেখযোগ্য পরিমানের বাঙ্গালী। মূলত শহরের পার্ক এক্সটেনশন ও কুদ দে নেইজ এলাকাতেই বসবাস করে থাকেন অধিকাংশ বাঙ্গালী। আর এ এলাকারই ব্যুরো মেয়র হচ্ছেন লায়নেল পেরেজ। বাঙ্গালী অধ্যুষিত এ দুটো এলাকার ব্যুরো মেয়র বলেই তার সাথে এ এলাকায় বসবাসকারী বাঙ্গালীদের একটা সম্পর্ক সদা বিদ্যমান। আর পদ-পদবীর কারণেই বাঙ্গালীদের আচার-অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে অনেক অফিসিয়াল কর্মকান্ডের সাথে তিনি যুক্ত।
লায়নেল পেরেজ ১৯৭০ সালে মন্ট্রিয়লে জন্মগ্রহণ করেন। রাজনীতিতে তার আগমন খুব বেশী দিন নয়। এর আগে তিনি ছিলেন একজন তুখোড় আইনজীবী। ২০০৯ সালে তিনি ইউনিয়ন মন্ট্রিয়ল পার্টির ব্যানারে ডার্লিংটন এলাকা থেকে মন্ট্রিয়ল সিটি কাউন্সিলর পদে মনোনীত হন। এবং ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর সিলেকশনের মাধ্যমে পার্ক এক্সটেনশন ও কুদ দে নেইজ এলাকার সাবেক ব্যুরো মেয়র মাইকেল আপলবাম-এর স্থলাভিষিক্ত হন।
আমরা ব্যুরো মেয়রের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, আইন পেশা ছেড়ে কেনো তিনি রাজনীতিতে যোগ দিলেন?
উত্তরে পেরেজ জানালেন, রাজনীতিতে আমি একেবারেই নতুন এটা আসলে ঠিক নয়। বস্তুত রাজনীতিতে আসার আগে থেকেই এ অঙ্গনে আমার বিচরণ ছিলো। আমি জড়িত ছিলাম বিভিন্ন কমিউনিটি ও সংস্থার সাথে।
পেরেজ বলেন, রাজনীতি এমন একটা ক্ষেত্র যার মাধ্যমে সরাসরি জনগণের সাথে সম্পর্ক স্থাপিত হয়, এবং খুব সহজে জনগণের কাছাকাছি থাকা যায়। আমি চাই জনগনের কাছাকাছি থাকতে এবং জনসেবা করতে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে পেরেজ বলেন, সত্যি বলতে কি, আগে বাঙ্গালী কমিউনিটি সম্পর্কে আমার তেমন একটা ধারণা ছিলো না। দিনে দিনে এই কমিউনিটির যতো কাছাকাছি হচ্ছি, তাদের সম্পর্কে জানছি, বুঝতে চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে এই কমিউনিটির অনেক অনুষ্ঠানে আমি যোগ দিয়েছি। তাদের কৃষ্টি-কালচারের সাথে পরিচিত হচ্ছি। বাঙ্গালীদের অনুষ্ঠানগুলো আমার বেশ ভালো লেগেছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে পেরেজ বলেন, খুব বেশী না জানলেও; যতোটুকু জেনেছি, তাতে আমার বিচারে বাঙ্গালীরা এমন একটি কমিউনিটি যারা কিনা খুব সহজে অন্য কমিউনিটির সাথে মিশতে পারে। গড়ে তুলতে পারে চমৎকার সম্পর্ক। আসলেই তারা খুব মিশুক।
পরিশেষে পেরেজ পেশাগত দায়িত্ব পালনে সুখে-দুখে সব সময় বাঙ্গালী কমিউনিটির পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এবং সময়ের কথা’র মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান তার এলাকার সকল বাঙ্গালীকে।