
গোটা বিশ্ব যখন সিরিয়ায় সাম্প্রতিক রাসায়নিক অস্ত্র হামলার পরিণতি নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক তখনই রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংগঠন বা ওপিসিডাব্লিউ-কে চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হলো।
সিরিয়ায় এই মুহূর্তে সক্রিয় রয়েছেন ওপিসিডাব্লিউ-র ৩০ জন বিশেষজ্ঞ৷ বাশার আল আসাদের রাসায়নিক অস্ত্রসম্ভার চিহ্নিত করে ধ্বংস করার কাজ চালাচ্ছেন তাঁরা। এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি-ও তাঁদের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রাশিয়া ও অ্যামেরিকার মধ্যে বোঝাপড়া অনুযায়ী ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ভাণ্ডার পুরোপুরি ধ্বংস করতে হবে।
১৯৯৩ সালের ১৩ই জানুয়ারি রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন স্বাক্ষরিত হয়। সেই বোঝাপড়া কার্যকর করার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে ওপিসিডাব্লিউ গঠিত হয়। এর ঘোষিত উদ্দেশ্য, বিশ্বব্যাপী সব রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা। নেদারল্যান্ডস-এর রাজধানী দ্য হেগ-এ সংগঠনের দপ্তর। প্রায় ৫০০ কর্মী সেখানে কাজ করেন। ১৮৯টি দেশ এই সংগঠনের সদস্য।
নোবেল শান্তি পুরস্কারের বর্তমান অর্থমূল্য সাড়ে বারো লক্ষ মার্কিন ডলার। নরওয়ের রাজধানী অসলোতে আগামী ৬ই ডিসেম্বর এই পুরস্কার ওপিসিডাব্লিউর প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
নোবেল কমিটির মূল ঘোষণার আগেই নরওয়ের এনআরকে টেলিভিশন ওপিসিডাব্লিউ-র নোবেল জয়ের খবর ফাঁস করে দিয়েছিল৷ এর কয়েক ঘণ্টা পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়।
-সময়ের কথা ডেস্ক ।