বাসার পাশে স্কুল জন্য খুব তারাতারি আমাকে স্কুলে প্রবেশ করতে হয় , বয়সে তখন খুব ছোট । আব্বু চাকরির কারনে বাইরে থাকতো তখন
আমি ,আম্মু, আর বড় আপু মিলে থাকতাম বাসায় । আপু মেধাবি হলেও আমি ছিলাম তার উল্টো , এ নিয়ে বাবা মায়ের চিন্তা যেন শেষ হত না ।
যাইহোক আমার প্রথম স্কুল ছিল আমার এক মামার সেই সুবাদে আমার ভাবটাও ছিল একটু বেশি
আমাদের স্কুলে টপ থ্রি ছিল আকাশ ,
ঝৃষি আর সুচি আর আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড ছিল ওরা
একদিন ক্লাস চলছিলো আমি আর ঝৃষি একদিকে সুচি আর আকাশ অন্যদিকে বসেছিলাম
তখন সুমনা ম্যাম এর ক্লাস ছিল বরাবর এর মত
আজও আমি স্কুলে টিফিন নিয়ে এসেছি হয়তো অনেকে ভাব্বে বাসার পাশে স্কুল তাইলে টিফিন কেন আমিও এখন ওটাই ভাবছি কেন নিয়ে যেতাম।
যাই হোক সুমনা ম্যাম এর ক্লাস চলার সময় স্কুলের পিয়ন রফিক আলি আমরা উনাকে দাদু বলে ডাকতাম বয়স টা একটু বেশিয়ে ছিল ,,
উনি এসে বলে গেলো আজ আর টিফিন হবে না , টিফিনে সবার ছুটি
কথাটা শুনে খুঁশি হলেও ব্যাগে আমার টিফিনের বক্স দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেলো
ভাবতে লাগলাম ছুটি হলে এই টিফিনের কি হবে
কি ভাবছেন টিফিনে কি এমন ছিলো আরে ভাই শুধু একটা ডিম সিদ্ধ আর রুটি ছিলো ।
একবার ভাবলাম ম্যাম রাগ করবে আরেক বার মনে পরে আম্মুর সেই মহান বানি ” টিফিন যেন ফেরত না আসে ” ভয় পাইতাম তো তখন আম্মুকে
ম্যাম কি পরাচ্ছে জানি না , জানব কেমনে আমার লক্ষ্য তো তখন টিফিন শেষ করা নিয়ে ছিলো
অনেক ভেবে টিফিনের বক্স হাতে নিলাম ম্যাম যখন বোডে লিখছিলো আমি ডিমে দিলাম এক কামড় খাচ্ছি আর খাচ্ছি আহা কি সুখ ।
এই সুখ বেশিক্ষন স্থায়ী হলো পরের বার ভয়ে যেই পুরোটা মুখে ডুকালাম একি মুখ তো আর নরছে না যাহ এখন কি হবে আর আমার কি চাঁদ কপাল
ম্যাম ধরলো পড়া আমি দারিয়ে কি করবো বুঝতে পারছিলাম না লজ্জায় পরে মুখের খাবার সাবার করছি
আর ম্যাম অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর পুরো ক্লাসের সবাই হাসছে ।
কবি ও লেখক:
অর্পিতা ঐশ্বর্য কামাল কাছনা রংপুর ।