নামেই যার পরিচয়।বাবার খ্যাতি তো আছেই!কিন্তু এখন আর বাবাকে দিয়ে নয়, নুহাশ হুমায়ুনকে সবাই চেনে তার নিজের পরিচয়েই। নিজ পরিচয়ে এখন স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হুমায়ুন আহমেদ পুত্র নুহাশ হুমায়ুন।ইদানিং ভীষণ ভাবে আলোচিত সময়ের এই প্রতিভাবান নির্মাতা।তার নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘মশারী’ একাধিক জুরি এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে আন্তজার্তিক অঙ্গনে।তুমুল ভাবে প্রসংশিত হচ্ছে ছবিটি এবং সর্বশেষ আলোচিত বিষয়টা হলো,ছবিটা অস্কার মনোনয়নের প্রাথমিক ধারায় আছে সুবিধাজনক অবস্থানে।
একসাথে অনেক সম্ভাবনা।
কিংবদন্তি ঔপন্যাসিক,বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সাহিত্য সংস্কৃতির প্রায় সমস্ত ধারায়ই বিচরণ করেছেন অবলীলায়।তার সন্তান কোনো না কোনো ভাবে,কোনো একটা ধারায় নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে, সেটাই স্বাভাবিক এবং নুহাশ হুমায়ুন চলছেনও সেপথেই।পাশে বাবা নেই, বাবার খ্যাতির ছায়া তো আছে, সেই ছায়ার পথ ধরেই এতো অল্প বয়সেই নুহাশ হুমায়ুন অস্কারে নাম লেখালেন।মনোনয়নের যে ধারায় তিনি আছেন, সেখানে তাঁকে মনোনয়ন দেবার জন্য অনুরোধ করছেন,করে চলছেন অস্কার জয়ী দুই হলিউড তারকা জর্ডান পুল ও রিজ আহমেদ এবং তাদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ।এটা বাংলাদেশের সিনেমা জগতের জন্য ও একটা বড়ো প্রাপ্তী।কারণ ইতিপূর্বে হলিউডের কোনো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের কোনো ছবির মনোনয়ন প্রাপ্তীর জন্য ভোট চাননি,এতো আগ্রহও দেখায়নি।বিষয়টা নিঃসন্দেহে নতুন সময়ের বার্তাবাহক।
৯৫ তম অস্কার মনোনয়নে তারা সরাসরি ভোট চাইবেন নুহাশের ‘মশারি’র পক্ষে।লাইভ এ্যাকশন শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরীতে তাদের প্রচারণায় ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে নুহাশ হুমায়ুন আহমেদ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য সম্মানীয়, সুখময় মর্যাদাকর কিছু বয়ে আনতে সক্ষম হবেন।
নিশ্চয়ই!
শুভকামনা নুহাশ হুমায়ুন। শুভকামনা ‘মশারি’-র জন্য ও।
হোক, নতুন ভোরের সূচনা।